নরওয়াকে পালশালার বাইরে গুলি বর্ষণের ঘটনায় দুইজন আহত, বন্দুকধারীকে খুঁজছে পুলিশ
নারায়ণগঞ্জে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে মোস্ট ওয়ান্টেড তামিমসহ নিহত ৩
নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় জঙ্গি আস্তানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে হলি আর্টিজানে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী তামিম আহমেদ চৌধুরীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। তামিমের সঙ্গে নিহত অন্য দুই জঙ্গির সম্ভাব্য নাম ইকবাল ও মানিক।
শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা থেকে এ অভিযান শুরু হয়।
স্থানীয়রা জানান, পাইকপাড়ার দেওয়ান বাড়িতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। বাড়িটির মালিকের নাম নূরউদ্দিন দেওয়ান।
ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান জানান, অভিযানে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জের পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ওই বাসাটিকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুলি করে। এ সময় বাসায় অবস্থানরত জঙ্গিরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা ছোড়ে। এক পর্যায়ে পুলিশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড হামলা করে। প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে গোলাগুলির পর সেখানে মৃত অবস্থায় তিনজনকে দেখতে পায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ওই বাসা থেকে ১টি পিস্তল, ১টি পয়েন্ট টুটু রাইফেল, ৬টি হ্যান্ড ইপ্রোভাইজ গ্রেনেড (দেশীয় তৈরি গ্রেনেড), বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক, জিহাদি বইসহ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
জেএমবি নেতা তামিম আহমেদ চৌধুরীর সঙ্গে আরেক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর যোগাযোগ ছিল। কানাডার প্রবাসী তামিম আহমেদ চৌধুরী দুই বছর আগে দেশে ফিরে জঙ্গি সংগঠনগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। তার সঙ্গে সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকের সরাসরি যোগাযোগ হয়। মূলত, তামিম ও জিয়া গুলশান-শোলাকিয়ায় হামলার মূলপরিকল্পনাকারী।
রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজানে হামলার পর থেকে পুলিশ তাদেরকে খোঁজ করছিল। তাদেরকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য পুলিশ পৃথকভাবে ২০ লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করে। তামিমের বাড়ি সিলেটের বিয়ানি বাজার। নারায়ণগঞ্জের পাইক পাড়ার অভিযানে তামিমসহ তিনজন নিহত হলেও সেখানে চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াউল হক নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ।
News Desk
শেয়ার করুন