নরওয়াকে পালশালার বাইরে গুলি বর্ষণের ঘটনায় দুইজন আহত, বন্দুকধারীকে খুঁজছে পুলিশ
মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর
সোমবার জামায়াতের হরতাল
মানবতাবিরোধী অপরাদের দায়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর। শনিবার রাত ১০টা ৩০ মিনিটে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির মঞ্চে এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক সাংবাদিকদের বলেন, রাত ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জে পৌঁছে দেওয়া হবে।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে এটি ফাঁসি কার্যকরের ষষ্ঠ ঘটনা। এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও কাদের মোল্লা এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে।
কারাগার সূত্র বলেছে, পৌনে ৩টার পর পর ফাঁসি কার্যকরের নির্বাহী আদেশ পৌঁছায় কারাগারে। সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে কারাগারে প্রবেশ করেন আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন। রাত পৌনে ৮টার দিকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স। এসময় কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করেন সিভিল সার্জন আলী হায়দার।
একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের দায়ে মীর কাসেমকে ২০১৪ সালে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। চলতি বছর মার্চে আপিল বিভাগেও সেই রায় বহাল থাকায় তিনি রিভিউ আবেদন করেন। আপিল বিভাগ গত ২৮ আগস্ট রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিলে কাসেমের মামলার সব বিচারিক প্রক্রিয়ার পরিসমাপ্তি ঘটে।
এদিকে জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসির প্রতিবাদে সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সারাদেশে অর্ধদিবস হরতাল ডেকেছে জামায়াত।
শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে জামায়াতের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়।
বিবৃতিতে জানানো হয়, মীর কাসেম আলীকে ফাঁসি দিয়ে হত্যার প্রতিবাদে সোমবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সারাদেশে শান্তিপূর্ণ সর্বাত্মক হরতাল আহ্বান করা হলো।
শেয়ার করুন