নরওয়াকে পালশালার বাইরে গুলি বর্ষণের ঘটনায় দুইজন আহত, বন্দুকধারীকে খুঁজছে পুলিশ
জেনে শুনে আইন লঙ্ঘন করিনি : মোজাম্মেল হক
আমি জেনে শুনে বঙ্গবন্ধুর রচিত বাংলাদেশের সংবিধান লঙ্ঘন করতে পারি না বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ. ক. ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেছেন, আজ এ বিষয়ে কিছু বলবো না। আইনজীবীর সঙ্গে আলাপ করে এবং আদালতের কাগজপত্র দেখে পরে এ বিষয়ে কথা বলা যাবে। হাইকোর্টের আপিল বিভাগের দুই মন্ত্রী শপথ ভঙ্গ করেছেন এমন পূর্ণাঙ্গ রায়ের প্রতিবেদন প্রকাশের বিষয়ে সংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কখা বলেন।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের হল রুমে ‘জঙ্গি-সন্ত্রাস দমনে প্রয়োজন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ. ক. ম মোজাম্মেল হক বক্তব্যে রাখেন। বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ এ সভার আয়োজন করে।
সভায় তিনি আরও বলেন, রক্তের আখরে লেখা বাংলাদেশের সংবিধানকে আমি লঙ্ঘন করতে পারি না। আমি সংবিধানের একজন রক্ষক হিসেবে নিবেদিত রয়েছি। বাংলাদেশের সংবিধান আমি লঙ্ঘন করতে পারি না। পাকিস্তানের সংবিধান লঙ্ঘন করতে পারি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ মাজা সোজা করে দাঁড়িয়েছে। তাই শেখ হাসিনা কারও কাছে মাথা নত করে না। জঙ্গিবাদ থাকলে কোনো ভাবেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন করা যাবেনা।
মোজাম্মেল হক বলেন, জাতীয় সংসদের পাশে জিয়ার কবরে জিয়াউর রহমানের লাশ নেই। এটাই ঐতিহাসিক সত্য। কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে তাহলে আমি মন্ত্রীত্ব এবং রাজনীতি ছেড়ে দেব।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর মহান জাতীয় সংসদের পাশে থাকতে পারে না মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, 'আমি আবারও চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি ওই কবরে জিয়ার কোন লাশ ছিল না এবং নেই। ডিএনএ টেস্ট করলে তা প্রমাণিত হবে। কেউ যদি মৃত জিয়া বা তার লাশের ছবি দেখাতে পারেন তাহলেও ধরে নেওয়া যাবে যে ওই কবরে জিয়াউর রহমানের লাশ ছিল।
লুই ক্যানের নক্সা বহির্ভূত জাতীয় সংসদ এলাকা থেকে জিয়াউর রহমানের তথাকথিত কবর ও খান এ সবুরসহ কোন কবরই থাকতে দেওয়া যাবে না।
সভায় বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য হোসনে আরা বাবলী, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত কাদির গামা, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম প্রমু্খ। সভাপতিত্ব করেন লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল।
শেয়ার করুন