দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় বিক্রি হওয়া টিকিটে ৫ কোটি ডলারের জ্যাকপট
নতুন কৌশলে জঙ্গিরা!
বাংলদেশের ডজন খানেক মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে জেএমবির সংগঠন গড়ে তোলা ও বিস্তারে কাজ করেছে। নিজেদের অবস্থান পাকা করার কৌশল হিসেবে তারা স্থানীয় মেয়েদের বিয়ে করেছে। মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় নিজেদের জাহির করেছে পরহেজগার ব্যক্তি হিসেবে।
কোলকাতায় এনআইএ'র সাথে বৈঠকে এসব তথ্যসহ পশ্চিমবঙ্গ জেএমবির সাংগঠনিক কাঠামোর বিস্তারিত জানতে পেরেছেন বাংলাদেশের গোয়েন্দারা।
বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে মুর্শিদাবাদের এক মেয়েকে বিয়ে করা জেএমবি সদস্য শাকিল গাজী পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার খাগড়াগড়ের একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন স্থানীয় এক মসজিদের মুয়াজ্জিনের নাম ভাঙ্গিয়ে। বাড়িওয়ালারা জানালেন, ধর্মীয় পরিচয় এবং পশ্চিমবঙ্গের ভাষা ও সংস্কৃতির খুটিনাটি আয়ত্ব করে শাকিলরা আরো অনেককে ধোকা দিয়েছেন।
ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান গদাধর চট্টপাধ্যায় বলছেন, "পশ্চিমবঙ্গ এবং আসামে এই কৌশলেই সংগঠিত হয়েছে জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ জেএমবি।"
গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে জেএমবিকে সংগঠিত করেছে বাংলাদেশ থেকে পলাতক ১২ জঙ্গি। নসরুল্লাহ পরিচয়ে প্রায় এক'শো জনশক্তির পশ্চিমবঙ্গ শাখার নেতৃত্ব দিতেন হাতকাটা মাহফুজ ওরফে সোহেল মাহফুজ। সামরিক শাখার কামাণ্ডার ছিলেন বোমা মিজান। আদর্শিক বা রাজনৈতিক দিক দেখতেন সালেহীন।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, "গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি তাদের মূল আমির এখনো সাইদুর রহমান, তিনি জেলে থাকায় এখন অ্যাকটিং আমীর হিসেবে কাজ করছে তাসনিন।"
খাগড়াগড়কাণ্ডের পর প্রাচীন শহর কোলকাতার আশপাশে জঙ্গি তৎপরতার যে চিত্র পাওয়া যাচ্ছে তাতে নড়েচড়ে বসছেন দু'দেশের গোয়েন্দারাই।
শেয়ার করুন