আপডেট :

        বিদেশি পণ্যের চাপে ধুঁকছে দেশীয় মৎস্য উপকরণ

        চাকরির শৃঙ্খলায় কড়াকড়ি, সরকারি কর্মীদের জন্য নতুন নির্দেশনা

        রাস্তা সংস্কারের নামেই চলছে বালুর অবৈধ কারবার

        মা হারানো সন্তান, সন্তান হারানো মা: ফিরে পাওয়ার করুণ লড়াই

        বিমানবন্দরে ধরা পড়লেন গোপালগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা

        ভ্যাট, ট্যাক্স ও শুল্ক বিভাগে কার্যক্রম বন্ধ থাকছে শনিবার থেকে

        ভ্যাট, ট্যাক্স ও শুল্ক বিভাগে কার্যক্রম বন্ধ থাকছে শনিবার থেকে

        জুনেই রেকর্ড: ২৭ দিনেই পাঁচ মাসের রোগীর সংখ্যা ছাড়ালো

        ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

        খিলক্ষেতের মণ্ডপ সরানো নিয়ে বিতর্ক: সরকার বলছে রেলের জমি থেকে উচ্ছেদ

        মব সন্ত্রাস দমনে সরকারের সক্রিয়তা ফল দিচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

        ‘নতুন বাংলাদেশ’ দিবস নিয়ে আপত্তি, পুনর্বিবেচনায় সরকার

        রেলের জমিতে অনুমতি ছাড়া মণ্ডপ, তাই অপসারণ—পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানালো কারণ

        রাজনীতিতে নতুন মোড়! ১৫০ নেতাকর্মী দল ছেড়ে এলেন এনসিপিতে

        এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করা ছাত্রদল নেতাকে বহিষ্কার

        ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর

        নিজেদের ‘স্বার্থ অনুযায়ী’ নতুন গঙ্গা চুক্তি চায় ভারত

        ডেঙ্গুতে মৃ ত্যু ২, হাসপাতালে ১৫৯

        বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একাধিক চিঠি, আসেনি জবাব

        বাংলাদেশের মানুষ স্বপ্ন দেখেছিল একটি স্বাধীন, গণতান্ত্রিক ও কল্যাণমুখী রাষ্ট্রের

আজ ৩রা নভেম্বর, জেলহত্যা দিবস

আজ ৩রা নভেম্বর, জেলহত্যা দিবস

আজ জেলহত্যা দিবস।১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর চার জাতীয় নেতাকে কারাগারে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছিল।১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর দ্বিতীয় কলংক জনক অধ্যায় এই দিনটি ।

পনেরই আগষ্টের নির্মম হত্যাকান্ডের পর তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী ও চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এএইচএম কামারুজ্জামান এবং ক্যাপ্টেন মনসুর আলীকে এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এর আগে এই চার জাতীয় নেতাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রী সভার সবচাইতে ঘৃণিত বিশ্বাসঘাতক সদস্য হিসেবে পরিচিত এবং তৎকালীন স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোস্তাক আহমদের প্ররোচণায় এক শ্রেণির উচ্চাভিলাসী মধ্যম সারির জুনিয়র সেনা কর্মকর্তারা এ নির্মম হত্যাকান্ড ঘটায়।

দেশের এই চার শ্রেষ্ঠ সন্তানকে ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডের পর কারাগারে পাঠিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা প্রথমে গুলি এবং পরে বেওনেট দিয়ে খুঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। জাতীয় এ চার নেতা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সামরিক জান্তার হাতে আটক বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধেও নেতৃত্ব দান করেন।

বঙ্গবন্ধুর আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণার পর পরই পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে জাতির জনককে তাঁর ঐতিহাসিক ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে। পরে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময় সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাংলাদেশ সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের মুজিবনগর সরকারের সমধিক পরিচিত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দিন আহমেদ একটি স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় কোটি কোটি বাঙালীর স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

বঙ্গবন্ধুর অপর ঘনিষ্ঠ সহযোগি এএইচএম কামারুজ্জামান ও ক্যাপ্টেন মনসুর আলী আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনার ক্ষেত্রে নীতি ও কৌশল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

মোশতাক ক্ষমতায় ছিলেন মাত্র ৮২ দিন । এরেই মধ্যে দেশকে পাকিস্তানীকরণের দিকে এগিয়ে নেয়া ছাড়া তা র সবচেয়ে বড় দুটি কীর্তি হলো জেলে জাতীয় চার নেতাকে খুন এবং ১৫ আগস্টের খুনীদের বিচার করা যাবেনা - দায়মুক্তির অধ্যাদেশ জারি করা । পচাঁত্তরের ২৬ সেপ্টেম্বর তিনি এই অধ্যাদেশ জারি করেন। আর জেলে নির্মম হত্যাকান্ড ঘটান ৩ নভেম্বর ভোর রাতে।

গোলাম মুরশিদ তার ‘মুক্তিযুদ্ধ ও তারপর ’ গ্রন্থে লিখেছেন মোশতাক জেল হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন কেবল ফারুক আর রশিদকে নিয়ে । তিনি ঠিক করেছিলেন যে, যে কোন পাল্টা অভ্যুথান হলে কেন্দ্রিয় কারাগারে আটক তাজউদ্দিন আহমদ , সৈয়দ নজরুল ইসলাম ,মনসুর আলী এবং কামারুজ্জামানকে হত্যা করা হবে। যাতে নতুন সরকার গঠিত হলেও এই নেতারা তাতে নেতৃত্ব দিতে না পারেন।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক  পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা শহীদ জাতীয় চার নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।


এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত