আপডেট :

        আবারও একবার টিভি পর্দায় ফিরে এলো ডকুড্রামা ‘হাসিনা

        এশিয়ার ফুটবলে নতুন করে বর্ষপঞ্জি সাজিয়েছে এএফসি

        যারা একবেলা খেতে পারতো না, তারা এখন চারবেলা খায়ঃ শেখ হাসিনা

        এশিয়ার ফুটবলে নতুন করে বর্ষপঞ্জি সাজিয়েছে এএফসি

        দরজায় কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর

        ১০ হাজার বাংলাদেশি অভিবাসীদের ফেরত পাঠাচ্ছে ব্রিটেন

        সহজেই কিছু ফেসপ্যাক বানানোর টিপস

        অন্ততপক্ষে ২০ এমবিপিএসেক আমরা সর্বনিম্ন ব্রডব্যান্ড হিসেবে ঘোষণা করবঃ পলক

        সবজির বাজারে লাফিয়ে বাড়লো কাঁচা মরিচের দাম

        ঝুঁকি বিবেচনায় এআই আইন করা হবে

        গুগল ট্রান্সলেটরে মুখের কথা অন্য ভাষায় অনুবাদ করার পদ্ধতি

        বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ তাই দুই মাস পর পর ঋতু পরিবর্তন

        বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ তাই দুই মাস পর পর ঋতু পরিবর্তন

        বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের রহস্যজনক নিষ্ক্রিয়তায় ছাত্রলীগ হলগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে বলে অভিযোগ

        বাংলাদেশে আসতে চলেছেণ তুর্কি সুপারস্টার অভিনেতা বুরাক ঔজচিভিত

        পিরামিড তৈরির রহস্য সমাধানের আশা গবেষকদের

        সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ঋষি সুনাকের

        সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ঋষি সুনাকের

        ছোট ভাইয়ের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সঙ্গে ছিলেন পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি

        ছোট ভাইয়ের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সঙ্গে ছিলেন পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি

আজহারের মানবতাবিরোধী মামলার রায় কাল

আজহারের মানবতাবিরোধী মামলার রায় কাল

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলার রায় আগামীকাল মঙ্গলবার ঘোষণা করা হবে।বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আজ সোমবার এ কথা জানান।এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর মামলার কার্যক্রম শেষে এ টি এম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় অপেক্ষমাণ রাখেন ট্রাইব্যুনাল। ওই দিন যুক্তি খণ্ডন শেষে ট্রাইব্যুনাল দুই পক্ষকেই ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, মামলাটি রায়ের অপেক্ষায় রাখা হলো (সিএভি-কেস অ্যায়োটিং ভারডিক্ট)। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রস্তুত হলে যেকোনো দিন তা ঘোষণা করা হবে।২০১২ সালের ২২ আগস্ট আজহারুল ইসলামকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত বছরের ১২ নভেম্বর তাঁর বিরুদ্ধে গণহত্যার দুটি এবং হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ প্রভৃতি মানবতাবিরোধী অপরাধের ছয়টি অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে ১৯ জন সাক্ষ্য দেন, আসামিপক্ষে কেউ সাক্ষ্য দেননি।

আজহারের বিরুদ্ধে আনা রাষ্ট্রপক্ষের অভিযোগরাষ্ট্রপক্ষ এ টি এম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে ছয়টি অভিযোগ আনে। আসামির বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ, একাত্তরের ২৪ মার্চ রংপুরের আইনজীবী ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মাহফুজ আলীসহ ১১ জনকে অপহরণের পর আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন। পরে তাঁদের ৩ এপ্রিল শহরের দখিগঞ্জ শ্মশানে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। তবে তাঁদের মধ্যে একজন বেঁচে যান। ২৫ মার্চ রাতে ‘অপারেশন সার্চলাইটের’ মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি সেনারা বাঙালি নিধনের যে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করেছিল, এ ঘটনা তারই অংশ ছিল।

গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ধারাবাহিকতায় একাত্তরের ১৬ এপ্রিল রংপুরের বদরগঞ্জের ধাপপাড়ায় সংঘটিত হত্যা, গণহত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে এ টি এম আজহারুল ইসলাম এ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন। ওই ঘটনায় শহীদদের মধ্যে ১৪ জনের নাম-পরিচিতি শনাক্ত করে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এ অভিযোগের পক্ষে রাষ্ট্রপক্ষের সাতজন সাক্ষী রয়েছেন।

১৭ এপ্রিল রংপুরের ঝাড়ুয়ার বিল এলাকায় নারকীয় গণহত্যার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় প্রায় এক হাজার ২০০ জন মারা যান, যাঁদের মধ্যে ৩৬৫ জনের নাম-পরিচিতি পাওয়া গেছে। শিশু থেকে ৮০ বছরের বৃদ্ধ, কেউ ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বাদ যাননি। হত্যাকাণ্ডের শিকারদের মধ্যে ২০০ জন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছিলেন, যা প্রমাণ করে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংসের উদ্দেশে ওই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল।

একাত্তরের ৩০ এপ্রিল রংপুর কারমাইকেল কলেজের শিক্ষক কালাচান রায় ও তাঁর স্ত্রী মঞ্জুশ্রী রায়, সুনীল বরণ চক্রবর্তী, রামকৃষ্ণ অধিকারী ও চিত্তরঞ্জন রায়কে পাকিস্তানি সেনারা দমদমা সেতুর কাছে নিয়ে হত্যা করে। শিক্ষকদের ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় আজহারুল ইসলামকে পাকিস্তানি সেনাদের গাড়ির পাশে দাঁড়ানো অবস্থায় দেখা গেছে, এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী রয়েছেন।

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত