বাংলাদেশ পুলিশের বহরে আগামী জুলাইয়ে এবং আগস্টে হেলিকপ্টার সরবরাহ
স্বয়ংক্রিয়ভাবে জ্বলবে-নিভবে ঘর ও রাস্তার বাতি
মো. ফিরোজ শিকদার একজন ইলেক্ট্রিশিয়ান। ইলেক্ট্রিসিটি নিয়ে কাজ করতে করতে টুকটাক গবেষণাও করেন। গবেষণার ভাবনা থেকেই উদ্ভাবন করলেন কম দামের স্বয়ংক্রিয়ভাবে সুইচ চালু ও বন্ধ করার যন্ত্র। মানুষের উপস্থিতিতে আলো জ্বলবে; আবার অনুপস্থিতিতে নিভে যাবে। ইচ্ছা করলে রাস্তায় এ যন্ত্র ব্যবহার করা যাবে। এতে সন্ধ্যা হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রাস্তার আলো জ্বলবে; আবার সকালবেলা নিভে যাবে। এই সুইচ বাসা, অফিস, কনফারেন্স রুমে ব্যবহার করলে বাড়তি বিলের ঝামেলায় পড়তে হবে না। যতটুকু বিদ্যুৎ দরকার, ঠিক ততটুকুই খরচ হবে। বাসা, অফিস, কনফারেন্স রুমের যে সুইচ বক্স থাকে তার পাশে জ্বালানি সাশ্রয়ী সুইচ বক্সটা লাগাতে হবে। এই সংযোগ যে কোনো ইলেক্ট্রিশিয়ান দিতে পারবেন। কখনও ঘরে মানুষ না থাকলে আলো জ্বলবে না। আবার যখন কেউ ঘরে ঢুকবে তখন জ্বলবে। ঘর থেকে বের হওয়ার সময় সুইচ বন্ধ করার প্রয়োজন নেই।স্বয়ংক্রিয়ভাবে জ্বলবে-নিভবে ঘর ও রাস্তার বাতি
ঘরের ফ্যান, এসি, লাইট, টেলিভিশন, কম্পিউটারসহ অন্যসব ইলেক্ট্রনিক্স জিনিসে এটা ব্যবহার করা যাবে। ঘর থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর এনার্জি সেভিং সুইচ বক্স সবকিছু নিজেই বন্ধ করে দেবে। যতক্ষণ না আবার ঘরে কেউ ফিরে আসছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো ক্ষতি না করেই বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী অবস্থায় থাকবে।
ফিরোজ শিকদার বলেন, জাতীয় সম্পদ বিদ্যুতেরএকটি ওয়াটও অকারণে জ্বলতে দেব না। এটা আমার চ্যালেঞ্জ। দীর্ঘ আট বছর ভেবেছি কীভাবে কমানো যায় বিদ্যুতের অপচয়। অবশেষে আসে সফলতা। এই সুইচ বক্সটা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা করানো হয়েছে। তিনি বলেন, এতে একদিকে গ্রাহক যেমন বাড়তি বিলের ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবেন, অন্যদিকে বেঁচে যাওয়া বিদ্যুৎ পেঁৗছে যাবে অন্য কোনো বিদ্যুৎ না পাওয়া গ্রাহকের কাছে।ঢাকাসহ সারাদেশে রাস্তার লাইট সুইচ দিয়ে চালু করতে হয়। অনেক স্থানে দিনের বেলায়ও আলো জ্বলতে থাকে। এই আলো জ্বালানো এবং নেভানোর জন্য অনেক লোকবল নিয়োগ দেওয়া হয়। একটি নির্দিষ্ট স্থানে সেন্সর সুইচ বসিয়ে দিলে সে নিজেই এগুলো নিয়ন্ত্রণ করবে। শুধু সময় নিদিষ্ট করে দিতে হবে। তাহলে নিদিষ্ট সময়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আলো জ্বলবে আর বন্ধ হবে। একটি যন্ত্র দিয়ে ত্রিশটি লাইট নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। প্রয়োজনে আরও বেশি লাইট এক যন্ত্রের নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে।ঘরের লাইট, ফ্যান, টেলিভিশনের জন্য এ সুইচ কিনতে প্রায় আটশ' টাকা প্রয়োজন হবে। লাইট, ফ্যান, এয়ার কন্ডিশন, কম্পিউটার হলে প্রায় দুই হাজার পাঁচশ' টাকা লাগবে। রাস্তায় বাতির জন্য টিউব লাইট হলে প্রতিটির দাম ১০০ টাকা এবং সোডিয়াম লাইট হলে ১৫০ টাকা লাগবে।
শেয়ার করুন