আপডেট :

        আবারও একবার টিভি পর্দায় ফিরে এলো ডকুড্রামা ‘হাসিনা

        এশিয়ার ফুটবলে নতুন করে বর্ষপঞ্জি সাজিয়েছে এএফসি

        যারা একবেলা খেতে পারতো না, তারা এখন চারবেলা খায়ঃ শেখ হাসিনা

        এশিয়ার ফুটবলে নতুন করে বর্ষপঞ্জি সাজিয়েছে এএফসি

        দরজায় কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর

        ১০ হাজার বাংলাদেশি অভিবাসীদের ফেরত পাঠাচ্ছে ব্রিটেন

        সহজেই কিছু ফেসপ্যাক বানানোর টিপস

        অন্ততপক্ষে ২০ এমবিপিএসেক আমরা সর্বনিম্ন ব্রডব্যান্ড হিসেবে ঘোষণা করবঃ পলক

        সবজির বাজারে লাফিয়ে বাড়লো কাঁচা মরিচের দাম

        ঝুঁকি বিবেচনায় এআই আইন করা হবে

        গুগল ট্রান্সলেটরে মুখের কথা অন্য ভাষায় অনুবাদ করার পদ্ধতি

        বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ তাই দুই মাস পর পর ঋতু পরিবর্তন

        বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ তাই দুই মাস পর পর ঋতু পরিবর্তন

        বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের রহস্যজনক নিষ্ক্রিয়তায় ছাত্রলীগ হলগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে বলে অভিযোগ

        বাংলাদেশে আসতে চলেছেণ তুর্কি সুপারস্টার অভিনেতা বুরাক ঔজচিভিত

        পিরামিড তৈরির রহস্য সমাধানের আশা গবেষকদের

        সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ঋষি সুনাকের

        সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ঋষি সুনাকের

        ছোট ভাইয়ের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সঙ্গে ছিলেন পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি

        ছোট ভাইয়ের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সঙ্গে ছিলেন পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি

অবশেষে মারা গেলেন 'বর্ণবাদের' অভিযোগ তোলা সেই চিকিৎসক

অবশেষে মারা গেলেন 'বর্ণবাদের' অভিযোগ তোলা সেই চিকিৎসক

ছবি: এলএবাংলাটাইমস

এবার আমেরিকার করোনা চিকিৎসাতেও লাগলো বর্ণবাদের কালি। চিকিৎসার ক্ষেত্রে বর্ণবাদের শিকার হওয়া কৃষ্ণাঙ্গ নারী চিকিৎসক সুসান ম্যুর মারা গেছেন।

করোনাভাইরাসের সাথে যুদ্ধ করেই ইন্ডিয়ানার একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।

এর আগে এই নারী চিকিৎসক ডিসেম্বরের ৪ তারিখ ভিডিও বার্তায় জানায়, তাঁকে হাসপাতালে চিকিৎসা পেতে রীতিমতো ভিক্ষা করতে হচ্ছে। তাঁর শ্বেতাঙ্গ চিকিৎসক তাঁকে ছুঁয়েও দেখছেন না। কোনো কথা শুনছেন না।

সুসান জানিয়েছিলেন, তাঁর ফুসফুসের স্ক্যান করার জন্য ও ওষুধ পেতে রীতিমতো ভিক্ষা করতে হয়েছে। শ্বেতাঙ্গ চিকিৎসক এমন ভাব দেখাচ্ছিলেন যেন তিনি মাদকাসক্ত। অথচ তিনি জানতেন, সুসানও একজন চিকিৎসক ও মাদক নেন না।

তখন তিনি মেডিকেল আইনজীবীকে লেখেন, তাঁকে ওই হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে অন্যত্র ভর্তি করার জন্য। তাঁকে ডিসচার্জ করা হয়। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আবার ভর্তি করতে হয়। কারণ, তাঁর শরীরের অবস্থা খারাপ হয়ে গেছিল। সুসান জানিয়েছিলেন, ''আমার মনে হয়েছে, আমার গায়ের রঙ সাদা হলে আমাকে এই কষ্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হতো না। এই ব্যবহার পেতে হতো না।''

সুসান জানিয়েছিলেন, বার বার ব্যথা হওয়া সত্ত্বেও তিনি চিকিৎসা পাননি। হাসপাতালের চিকিৎসক সে সব আমলই দেননি। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ায় তিনি কেঁদে ফেলেছিলেন। কিন্তু ওই শ্বেতাঙ্গ চিকিৎসক তাঁর কোনো শারীরিক পরীক্ষা করেননি।

পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তিনি বলেন, তারা (চিকিৎসক) আমাকে স্পষ্টত মেরে ফেলতে চাইছে।

তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, রোগীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে পক্ষপাতের ঘটনাকে তাঁরা খুবই গুরুত্ব দেন। তবে নির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নিয়ে তাঁরা কিছু বলবেন না।

গত ২৯ নভেম্বর তাঁর করোনা ধরা পড়ে। তখন তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুসানের জ্বর ছিল। কাশির সঙ্গে রক্ত উঠছিল। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। তিনি নিজে চিকিৎসক হওয়া সত্ত্বেও হাসপাতালে চিকিৎসা পেতে বেগ পেতে হয়েছিল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, 'ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার' নিয়ে আমেরিকায় যতো আন্দোলনই হোক না কেন, আমেরিকা বর্ণবাদের ক্ষেত্রে মোটেও বদলায়নি।

এলএবাংলাটাইমস/ওএম

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত