আপডেট :

        দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে

        দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে উপজেলায় থাকবেন একজন করে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট

        বার্সেলোনার সঙ্গে লিওনেল মেসির চুক্তির গল্পটা সবারই জানা

        সেকেন্ড হ্যান্ড পণ্য কেনার প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়তে শুরু করেছে

        চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের বিলুপ্ত

        চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের বিলুপ্ত

        চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের বিলুপ্ত

        উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা

        উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা

        ডিবি অফিস থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন মামুনুল হক

        ডিবি অফিস থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন মামুনুল হক

        নদীতে গোসল করতে নেমে শিশুসহ দুইজনের মৃত্যু!

        কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ধান কাটা বিরোধের জের ধরে খুন

        ভারতের জনপ্রিয় গায়িকা ও অভিনেত্রী মোনালি ঠাকুর মা কে হারালেন

        পাকিস্তানে দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের একটি মেয়েদের স্কুলের বোমা হামলা

        স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের মূল্যবৃদ্ধি

        কিরগিজস্তানের বিশকেকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করা হামলার ঘটনা

        দমে যাবেন না পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো

        নিজের ৪০তম জন্মদিনে একটু ভিন্নভাবে সেজেছেন মার্ক জাকারবার্গ

        ক্রিকেটার তাসকিনের বদলে যাওয়ার গল্প

ক্যালিফোর্নিয়াতে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যুর মাস জানুয়ারি

ক্যালিফোর্নিয়াতে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যুর মাস জানুয়ারি

ছবি: এলএবাংলাটাইমস

ক্যালিফোর্নিয়ায় করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারিতে৷ এছাড়া লস এঞ্জেলেস কাউন্টিতেও জানুয়ারি মাসেই সবচেয়ে বেশি বাসিন্দা মারা গেছে।

জানুয়ারি মাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ৯৪০ জন বাসিন্দা করোনায় মারা গেছে। করোনার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪১ হাজার হয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ায়।

ফলে প্র‍তি এক হাজার বাসিন্দার মধ্যে একজন বাসিন্দা করোনায় মারা গেছে- এই সমীকরণে দাঁড়িয়েছে ক্যালিফোর্নিয়া।

লস এঞ্জেলেস কাউন্টিতে জানুয়ারি মাসে করোনায় মারা গেছে ৬ হাজার ৪১১ জন। এর আগে ডিসেম্বর মাসে সর্বোচ্চ মৃতের সংখ্যা ছিলো লস এঞ্জেলেসে। ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারিতে মৃতের সংখ্যা ১৩৭ শতাংশ বেড়েছে।

তবে, সাম্প্রতিক সময়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ও হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা অনেক কমে গেছে। লস এঞ্জেলেস কাউন্টিতেও আক্রান্তের সংখ্যা কমছে।

তবে ক্যালিফোর্নিয়ার কাউন্টিগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ মৃতের সংখ্যা লস এঞ্জেলেস কাউন্টিতেই হয়েছে। গত সাতদিনে মৃতের গড় হলো ২১৫ জন।

তবে করোনায় সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সঠিক পথে রয়েছে লস এঞ্জেলেস কাউন্টি- এমনটা দাবি করছেন কাউন্টির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

তবে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ও হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা খুব একটা কমেনি। কিছুদিন আগের অবস্থায় থেকে কিছুটা উন্নতির সম্ভাবনা সবে সৃষ্টি হয়েছে।

থ্যাংকসগিভিং ডে ও বড়দিনের ছুটির পর করোনার সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গিয়েছিলো লস এঞ্জেলেস কাউন্টিতে। জরুরি বিভাগের আসন পূর্ণ হয়ে ছিলো প্রায় এক সপ্তাহের মতো।

তবে সেই সংক্রমণের ঢেউ এবার কিছুটা থেমেছে। তবে এখনো আক্রান্ত ও শনাক্তের সংখ্যা গ্রীষ্মের ঢেউ এর থেকে এখনো বেশি রয়েছে।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা আশার কথা শোনালেও সতর্কতা জারি রেখেছেন। বলছেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে মূখ্য ভূমিকা রাখতে হবে জনগণকেই।

মেন্ড আর্জেন্ট কেয়ারের সিইও ড. এন্থনী কারডিলো বলেন, আমরা সত্যিই এখন সঠিক পথে আছি। এই ধারা অব্যাহত রাখতে পারলে সুফল পাওয়া যাবে।

এছাড়া সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ভ্যাকসিন প্রয়োগের ব্যাপারেও জোর পদক্ষেপ নিয়েছে লস এঞ্জেলেস কাউন্টি কর্তৃপক্ষ।

করোনায় যাদের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি, প্রথমধাপে তাদেরকেই টিকা দেয়া শুরু হচ্ছে৷ মূলত স্বাস্থ্যসেবী, নার্স ও বয়স্ক বাসিন্দাদের টিকা দেয়ার সুফল পেতে শুরু করেছে লস এঞ্জেলেস কাউন্টি।

এদিকে, ক্যালিফোর্নিয়ার স্টে এট হোম অর্ডার উঠে যাওয়ায় উন্মুক্তস্থান ও রেস্তোরাঁয় বসে আহার করার অনুমতি পেয়েছেন বাসিন্দারা। তবে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেন, 'পরিবারের সদস্য ছাড়া অন্য কারো সংস্পর্শে আসাটা ঝুঁকিপূর্ণ'।

ইতোমধ্যে লস এঞ্জেলেস কাউন্টিতে 'যুক্তরাজ্যের' নতুন স্ট্রেইনে আক্রান্ত দ্বিতীয় ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে।

শনিবার (৩০ জানুয়ারি) কাউন্টি পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্ট এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, নতুন স্ট্রেইনে আক্রান্ত দ্বিতীয় রোগী শনাক্ত হওয়ার মানে হলো এই ভ্যারিয়েন্টটি দ্রুত ছড়িয়ে যাচ্ছে। ফলে বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে হবে৷ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। মাস্ক ব্যবহার করতে হবে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে৷

শনিবার লস এঞ্জেলেস কাউন্টিতে করোনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ৯১৮ জন। এছাড়া মারা গেছে ৩১৬ জন। মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছে ১৬ হাজার ৬৪৭ জন। আর মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ১১ হাজার ৮৯ জন।

তবে আক্রান্তের সংখ্যা গত সপ্তাহের থেকে আগের থেকে অনেক কমেছে। গত সপ্তাহে আক্রান্তের হার ছিলো ১৫ শতাংশ। এই সপ্তাহে আক্রান্তের হার হলো ৯ দশমিক ৯ শতাংশ।

তবে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা আগের মতোই রয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৬৬৯ জন বাসিন্দা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে ২৬ শতাংশ বাসিন্দা জরুরি বিভাগে ভর্তি রয়েছে।

এলএবাংলাটাইমস/ওএম

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত