ফ্লোরিডার হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তির রেকর্ড
ছবি: এলএবাংলাটাইমস
ফ্লোরিডায় একদিনে সর্বোচ্চ করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পরদিন হাসপাতালে সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী ভর্তি হয়েছে।
রোববার (১ আগস্ট) ফ্লোরিডার হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা ছয় মাস আগের সর্বোচ্চ রেকর্ড টপকে গেছে।
দ্য সানশাইন স্টেট নামে খ্যাত রাজ্যটিতে বর্তমানে ১০ হাজার ২০৭ জন বাসিন্দা করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিস তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ফ্লোরিডা হসপিটাল অ্যাসোসিয়েশন সূত্র জানিয়েছে, প্রায় ছয় মাস আগে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হওয়ার পূর্বে সর্বোচ্চ সংখ্যক হাসপাতালে ভর্তির রেকর্ড ছিল ১০ হাজার ১৭০ জন।
ফ্লোরিডার হাসপাতালে উচ্চ রোগীর চাপ সামাল দিতে ইমার্জেন্সি রুম ভিজিটর, হলওয়ে এবং অন্য স্থাপনাগুলোয় জরুরি বেড স্থাপন করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে ফ্লোরিডার হাসপাতালে গড়ে প্রাপ্তবয়স্ক বাসিন্দা ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৫২৫ জন। আর শিশু ইউনিটে ভর্তি হয়েছে ৩৫ জন।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে এবং বাসিন্দাদের মধ্যে বিধিনিষেধ মানার প্রবণতা কমে যাওয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে ফ্লোরিডায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
ফেডারেল হেলথ ডাটা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, শনিবার (৩১ জুলাই) ফ্লোরিডায় একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছে সর্বোচ্চ ২১ হাজার ৬৮৩ জন।
ফ্লোরিডার রিপাবলিকান গভর্নর রন ডেসান্টিস মাস্ক ব্যবহার এবং টিকা গ্রহণ বাধ্যতামূলক করেনি। একই সাথে করোনা প্রতিরোধের জন্য স্থানীয় সরকার দ্বারা নেওয়া বিধিনিষেধের ক্ষমতাও খর্ব করেছে৷ শুধু তাই নয়, আগামী মাসে স্কুল খোলার পর মাস্ক ব্যবহারের যেই বাধ্যবাধকতা জারি করে স্কুল ডিস্ট্রিক্ট, সেটিও রদ করে দেওয়া হয়।
ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) সূত্র জানায়, শুক্রবার সর্বোচ্চ সংখ্যক করোনা আক্রান্তের রেকর্ড রাখা হয়েছে এবং শনিবার সেটি প্রকাশ করা হয়েছে। একদিন আগেও ফ্লোরিডায় আক্রান্তের দৈনিক সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ৯৩ জন। এর আগে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত হয় জানুয়ারির ৭ তারিখ ১৯ হাজার ৩৩৪ জন।
এছাড়া চলতি সপ্তাহে ফ্লোরিডায় করোনাতে মারা গেছেন আরো ৪০৯ জন। মহামারির শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৯ হাজার জনে। এর আগে গত বছরের মধ্য আগস্টে ৭ দিনে সর্বোচ্চ ১ হাজার ২৬৬ জন বাসিন্দা মারা যায়।
গভর্নর ডিসান্টিস বলেন, 'করোনার সাম্প্রতিক বর্ধিত সংক্রমণ মৌসুম পরিবর্তনের ফলে হচ্ছে। তীব্র গরম এর ফলে অধিকাংশ বাসিন্দাই ঘরে অবস্থান করছে এবং এয়ার কন্ডিশন থেকে ভাইরাস ছড়াচ্ছে'।
ফ্লোরিডায় এখন পর্যন্ত ১২ থেকে এর বেশি বছর বয়েসী ৬০ শতাংশ বাসিন্দা টিকার পূর্ণ ডোজ গ্রহণ করেছেন।
দ্য ফ্লোরিডা হসপিটাল অ্যাসোসিয়েশন শুক্রবার জানায়, রাজ্যজুড়ে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা প্রায় গত বছরের সমান। ইতোমধ্যে রাজ্যের অন্যতম বৃহৎ হেলথ কেয়ার সিস্টেম অ্যাডভেন্টহেলথ'স সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা ডিভিশন জানায়, করোনা রোগীর জন্য রিসোর্স খালি রাখতে এখন আর ননইমার্জেন্সি সার্জারি করা হবে না।
এছাড়া ইউনিভার্সাল অরল্যান্ডো রিসোর্ট ও সিওয়ার্ল্ড শনিবার আগত দর্শনার্থীদের জন্য ইনডোর প্লেসে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। ইউনিভার্সাল এর কর্মীদেরও মাস্ক ব্যবহার করতে নির্দেশ দেন।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন