ফ্লোরিডার হাসপাতালে করোনা রোগীর ঢল
ছবি: এলএবাংলাটাইমস
ফ্লোরিডার হাসপাতালগুলোতে করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। পূর্বের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে ফ্লোরিডার হাসপাতালগুলোয় বর্তমানে সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী ভর্তি আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফ্লোরিডার হাসপাতালে বর্তমানে ১১ হাজার ৫১৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। আগের মহামারির ঢেউ এর থেকে এবারের আক্রান্তরা বয়সে তরুণ এবং তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি কম ছিল।
এর পাশাপাশি শনিবার (৩১ জুলাই) ফ্লোরিডায় একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী করোনা আক্রান্তের রেকর্ড করেছে।
তবে রিপাবলিকান গভর্নর রন ডিসান্টিস বরাবরই টিকা গ্রহণ অথবা মাস্ক ব্যবহারের বিষয়ে উদাসীন ভূমিকা পালন করেছেন।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে মোট সংক্রমণের তিনটির মধ্যে একটি ফ্লোরিডা বা টেক্সাসে হয়েছে।
ফ্লোরিডার হাসপাতালগুলোর খালি আসন দ্রুত পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। কিছু হাসপাতালের আসন ইতোমধ্যে পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় হলওয়ে, লবি, ওয়েটিং রুমে রোগী রাখা হচ্ছে।
ফ্লোরিডায় টিকা গ্রহণের হার অত্যন্ত কম। বসন্তের পর থেকে টিকা গ্রহণ কার্যক্রম প্রায় স্থবির রয়েছে। ফলে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রভাবে করোনা সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ৭০ ভাগ বাসিন্দা টিকার এক ডোজ হলেও গ্রহণ করেছেন। এর আগে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৪ জুলাই এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে আশা প্রকাশ করেন।
ফ্লোরিডায় বর্তমানে মাত্র ৫০ শতাংশ বাসিন্দা টিকার পূর্ণ ডোজ গ্রহণ করেছেন। ফ্লোরিডার জনসংখ্যার অনুপাতে এই হার খুবই কম।
ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) সূত্র জানায়, শুক্রবার সর্বোচ্চ সংখ্যক করোনা আক্রান্তের রেকর্ড রাখা হয়েছে এবং শনিবার সেটি প্রকাশ করা হয়েছে। একদিন আগেও ফ্লোরিডায় আক্রান্তের দৈনিক সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ৯৩ জন। এর আগে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত হয় জানুয়ারির ৭ তারিখ ১৯ হাজার ৩৩৪ জন।
এছাড়া চলতি সপ্তাহে ফ্লোরিডায় করোনাতে মারা গেছেন আরো ৪০৯ জন। মহামারির শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৯ হাজার জনে। এর আগে গত বছরের মধ্য আগস্টে ৭ দিনে সর্বোচ্চ ১ হাজার ২৬৬ জন বাসিন্দা মারা যায়।
গভর্নর ডিসান্টিস বলেন, 'করোনার সাম্প্রতিক বর্ধিত সংক্রমণ মৌসুম পরিবর্তনের ফলে হচ্ছে। তীব্র গরম এর ফলে অধিকাংশ বাসিন্দাই ঘরে অবস্থান করছে এবং এয়ার কন্ডিশন থেকে ভাইরাস ছড়াচ্ছে'।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন