ব্যাংকের ভেতরে অচেতন হয়ে পড়ে ছিলেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, করছিলেন বমি
ভারত থেকে দেশে ফিরছে নির্মাতা অঞ্জনের মরদেহ
ভারতের বেঙ্গালুরুতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী নির্মাতা জাহিদুর রহিম অঞ্জন। সোমবার রাতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। আজ বুধবার ভারত থেকে দেশে ফিরছে অঞ্জনের মরদেহ।
আজ বুধবার বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ভারতের বেঙ্গালুরু থেকে ঢাকায় আনা হবে তাকে।
জাহিদুর রহিম অঞ্জনের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার বাদ জোহর জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। নির্মাতা মুহম্মদ কাইউম ইত্তেফাক ডিজিটালকে জানান, বিমানবন্দর থেকে অঞ্জনের মরদেহ নেওয়া হবে মোহাম্মদপুরের আল মারকাজুলে। সেখানে গোসল শেষে অঞ্জনকে নেওয়া হবে তার ধানমন্ডির বাসায়। বুধবার রাতে নির্মাতার মরদেহ রাখা হবে বারডেমের হিমঘরে।
বৃহস্পতিবার সকালে জাহিদুর রহিম অঞ্জনের মরদেহ নেওয়া হবে তার কর্মস্থল স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। সেখান থেকে বাংলাদেশ সিনেমা অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটসহ আরও কয়েক জায়গায় অঞ্জনের মরদেহ নেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে।
অনেকদিন ধরেই লিভারের সমস্যায় ভুগছিলেন অঞ্জন। কয়েক মাস ধরে বেঙ্গালুরুর স্পর্শ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অস্ত্রোপচারের পর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দিবাগত রাতে মারা যান এই গুণী নির্মাতা।
জাহিদুর রহিম অঞ্জনের প্রথম ছবি ‘মেঘমল্লার’ মুক্তি পায় ২০১৪ সালে। তিনটি শাখায় জাতীয় পুরস্কার পায় ছবিটি। কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ‘রেইনকোট’ গল্প অবলম্বনে নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘মেঘমল্লার’ ছিল তার প্রথম ফিচার ফিল্ম। ছবিটি ‘শ্রেষ্ঠ পরিচালক’ ও ‘শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা’ হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এনে দেয় তাকে।
সরকারি অনুদানে সবশেষ তিনি নির্মাণ করেন ‘চাঁদের অমাবস্যা’। ইতিমধ্যে ছবির পোস্টারও প্রকাশ হয়েছে। গত বছর ছবিটি মুক্তির পরিকল্পনা থাকলেও দেশের সার্বিক অবস্থা এবং নিজের অসুস্থতার কারণে মুক্তি দিতে পারেননি। খুব শিগগির সিনেমাটি দর্শকদের সামনে নিয়ে আসতে আগ্রহী ছিলেন।
জাহিদুর রহিম অঞ্জন বাংলাদেশ শর্টফিল্ম ফোরামের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়াও একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন