আপডেট :

        সিকৃবিতে পাঠ্যক্রম অভিযোজন প্রশিক্ষণ

        জাতির পিতার আদর্শে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে: গণপূর্তমন্ত্রী

        ভারতের গ্যাংস্টার রাজনীতিবিদ মুখতারের মৃত্যু

        প্যারিস-বাংলা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে আলোচনা ও ইফতার

        ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

        রাফাহ অভিযানের প্রস্তুতি ইসরায়েলিদের

        চারুপাঠের চিত্রাঙ্কন কর্মশালা অনুষ্ঠিত

        চীনা উদ্যোক্তাদের বস্ত্র-পাট খাতে বিনিয়োগের আহ্বান পাটমন্ত্রীর

        এফটিএক্স প্রতিষ্ঠাতার ২৫ বছরের কারাদণ্ড

        পুলিশের পক্ষ থেকে ইফতার সামগ্রী বিতরণ

        বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা চান ওবায়দুল কাদের

        ওসমানীনগরে বদর দিবস পালিত

        বাংলাদেশের কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান

        ট্রেনের টিকেটসহ কালোবাজারি গ্রেপ্তার

        ৪ বিভাগে ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা

        প্রকাশ পেল তুফান সিনেমার ফার্স্টলুক

        নিউইয়র্কে রাস্তায় আচমকা নারীদের ঘুষি মারছে অজ্ঞাতরা

        যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

        পাপারাজ্জিকে ঘুষি: টেলর সুইফটের বাবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ

        দশ বছরে ৬৪ হাজার অভিবাসীর মৃত্যু, সাগরেই ৩৬ হাজার

ভাইকিংরা কেন গ্রিনল্যান্ড থেকে পালিয়ে গিয়েছিল?

ভাইকিংরা কেন গ্রিনল্যান্ড থেকে পালিয়ে গিয়েছিল?

ছবি: এলএবাংলাটাইমস

আইসল্যান্ড থেকে হত্যার দায়ে এরিক দ্য রেড নামক এক ভাইকিং নির্বাসিত হয়ে অচেনা পথে যাত্রা শুরু করেছিলেন। আইসল্যান্ড থেকে পশ্চিমের পথ ছিল অনেকটাই দুর্গম। ঘন দাড়িওয়ালা, ফ্যাঁকাসে লাল চুলের এরিক হাঁটতে হাঁটতে ১৮০ মাইল দূরে এমন একটি জায়গায় পৌঁছান যেখানে তখনও কোনো ইউরোপীয় বসতি গড়ে ওঠেনি। এরিক একটি বিস্তীর্ণ সবুজ তৃণভূমি দেখতে পান। অঞ্চলটি সবুজ হওয়ায় সর্বপ্রথম তিনিই এর সেই নাম দেন গ্রিনল্যান্ড।

এরপর বহুকাল কেটে যায়। ধীরে ধীরে (৯৮৫ থেকে ১৪৮০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে) বিস্তীর্ণ সবুজ ভূমিতে ভাইকিংসের একটি ছোট বসতি গড়ে ওঠে। দ্বীপের দক্ষিণ উপকূলে চাষাবাদও করেছেন তারা। কিন্তু হঠাৎ ১৪৮০ সালের পর তারা রহস্যজনকভাবে হারিয়ে যান।

বিজ্ঞানী এবং ইতিহাসবিদরা প্লেগ নামক সংক্রামক রোগ, খরা, জলদস্যুদের আক্রমণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য তাদের হারিয়ে হওয়াকে দায়ী করেন। তবে নতুন একটি গবেষণা তাদের হারিয়ে যাওয়ার মূল রহস্য নিয়ে আলোকপাত করেছে।

ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে গবেষণার বরাতে বলা হয়েছে, ভাইকিংসরা গ্রিনল্যান্ড থেকে হয়তো চলে যান ক্রমবর্ধমান সমুদ্রসীমা বিস্তার ও বন্যার ভয়ে। বসতি স্থাপনের চার শতাব্দী ধরে তাদের চারপাশ থেকে পানি ১০ ফুটেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছিল।

পৃথিবীর অতীত জলবায়ু নিয়ে গবেষণা করা বিশেষজ্ঞ (প্যালিওক্লাইমেটোলজিস্ট) বোয়াং ঝাও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন সম্ভবত ভাইকিংদের অন্যান্য চলমান সমস্যাগুলোকেও বাড়িয়ে তোলে। কেননা একটি নির্দিষ্ট কারণকে দায়ী করা ঠিক হবে না। জলবায়ু-সম্পর্কিত কারণগুলো অন্যান্য কারণের (যেমন- হাতির দাঁতের বাণিজ্য) তাদের জীবনযাত্রার অবস্থার অবনতি ঘটায়।

গবেষণার প্রধান লেখক বোরেগিন বলেন, বর্তমানেও আমরা যেসব উদ্বেগের মুখোমুখি হয়েছি, ভাইকিংদের সমস্যাগুলোকেও তার সাথে তুলনা করা যেতে পারে। কারণ আধুনিক মানুষ অন্যান্য সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের শীর্ষে অবস্থান করছে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের মুখোমুখি হচ্ছে। তবে আমাদের আজ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমিত করার সুযোগ রয়েছে, যা ভাইকিংদের হাতে ছিল না।

ভূ-বিজ্ঞানী রিচার্ড অ্যালি বলেন, আজ যারা ক্রমবর্ধমান সমুদ্রের কাছাকাছি বাস করছেন, তারাও নানা প্রতিকূলতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে শেখেন। যেভাবে ভাইকিংরা মানিয়ে নিয়েছিল। তারা চলে যাওয়ার আগে কয়েক শতাব্দী ধরে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে সেখানে বসবাস করেছে।

এলএবাংলাটাইমস/এজেড

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত