শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে সংবাদ , পত্রিকা অফিসে আগুন
জেগে উঠছে বরফে লুকিয়ে থাকা প্রাচীন সব রোগ
বরফের মাঝে লুকিয়ে থাকতে পারে সহস্র বছরের পুরনো জীবাণু। ছবি: সংগৃহীত
পরিবেশ পরিবর্তনের ব্যাপারটা যত চরম আকার ধারণ করছে ততই মানুষ নতুন নতুন সব বিভীষিকার মুখোমুখি হচ্ছে। সম্প্রতি জানা গেছে, পৃথিবী উত্তপ্ত হবার সাথে সাথে প্রাচীন ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ারা বরফ থেকে নতুন করে জেগে উঠতে শুরু করেছে। গবেষকেরা আশংকা করছেন এই ব্যাপারটা ভবিষ্যতে আরও বাড়বে।
সহস্র বছর ধরে বরফে আটকা পড়ে আছে কিছু কিছু জীবাণু। এদের ব্যাপারে প্রায় কিছুই জানেন না বিজ্ঞানীরা। তারা কী ধরণের ক্ষতি করতে পারে আমাদের, সে ব্যাপারেও তারা নিশ্চিত নন। সাইবেরিয়ার গলতে থাকা পার্মাফ্রস্টের মাঝে গবেষকেরা ইতোমধ্যেই দেখা পেয়েছেন কিছু “জায়ান্ট ভাইরাস” এর জাদের রয়েছে হাজার হাজার জিন। ৩০ হাজারেরও বেশি এমন একটি ভাইরাস ২০১৫ সালে আবিষ্কার হয় এবং তখনো তার মাঝে প্রাণীকে আক্রান্ত করার ক্ষমতা ছিল। সৌভাগ্যবশত তা মানুষের জন্য ক্ষতিকর ছিল না।
এমনও চিন্তা করা হচ্ছে যে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া কিছু প্রাচীন রোগ আবার ফিরে আসতে পারে। কারন পার্মাফ্রস্ট জীবাণু আটকে রাখে এবং এসব জীবাণু থাকে সুপ্ত অবস্থায়, আবার উত্তাপের উপস্থিতিতে জীবিত হতে পারে। ১৯১৮ সালে আলাস্কার তুন্দ্রা অঞ্চলে কবর দেওয়া লাশের মাঝে স্প্যানিশ ফ্লু ভাইরাস খুঁজে পেয়েছেন গবেষকেরা। ১৮৯০ এর দিকে সাইবেরিয়ান একটি শহরের অর্ধেক মানুষ মারা যায় স্মলপক্স হবার কারণে। তখন কোলাইমা নদীর তীরে পার্মাফ্রস্টের মাঝে তাদেরকে কবর দেওয়া হয়। সেই জায়গাটার বরফ এখন গলতে শুরু করছে। ফলে কী ধরণের দুর্যোগ দেখা দিতে পারে, তা বোঝাই যায়।
গত আগস্ট মাসে এ ধরণের একটি দুর্যোগ দেখা যায়। ১০০ জন মানুষ এবং ২,৩০০ টি রেইনডিয়ার আক্রান্ত হয় অ্যানথ্রাক্সে। ১৯৪১ সালের পর এই প্রথম অ্যানথ্রাক্সের প্রাদুর্ভাব দেখা গেল সেখানে। একটি ছেলে মারা যায় এই রোগে। গবেষকেরা বিশ্বাস করেন ২০১৬ সালের উত্তপ্ত গ্রীষ্মে বরফ গলে বের হয় একটি রেইনডিয়ারের অবশেষ, সেখান থেকেই আসে এই জীবাণু।
পার্মাফ্রস্ট গলে শতাব্দী পুরনো মহামারিগুলো ফিরে আসার আশঙ্কা রাশিয়ান বিজ্ঞানীরা ২০১১ সালের একটি গবেষণাপত্রে ব্যক্ত করেছিলেন। গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর ফলে পরিবেশের যেসব অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তার মাঝে অন্যতম একটি হলো পার্মাফ্রস্ট।
সুত্র: হাফিংটন পোস্ট
শেয়ার করুন