আপডেট :

        ভারতের উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ দাবানল, ৫ জনের মৃত্যু

        গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে রাজি হয়েছে হামাস

        ইসরায়েলে মার্কিন গোলাবারুদের একটি চালান থামাল বাইডেন প্রশাসন

        জো বাইডেন ‘গেস্টাপো প্রশাসন’ চালাচ্ছেন, অভিযোগ ট্রাম্পের

        বাংলাদেশি তরুণ উইন নিহতের ভিডিও প্রকাশ

        টাইটানিক সিনেমার অভিনেতা বার্নার্ড হিল মারা গেছেন

        অধ্যাপকের পাঁজরের ৯টি হাড় ও হাত ভেঙে দিয়েছে পুলিশ

        ব্রাজিলে বন্যায় ৭০ হাজার মানুষব্রাজিলে বন্যায় ৭০ হাজার মানুষ বাড়ি ছাড়া

        দুবাইয়ে সারা বছর লেগে থাকে পর্যটকদের ভিড়

        উচ্চ আদালতের নির্দেশে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের (জিআই) তালিকা প্রস্তুত

        সৌদি আরবে তেলের দাম বৃদ্ধি

        রাশিয়ায় বিমান হামলা, নিহত ৭

        শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে বয়সসীমা বাড়ানোর একটি পত্র পেয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী

        ৫ মে বৈশ্বিক এই আসরের সূচি প্রকাশ করেছে আইসিসি

        বিলাসবহুল রেল স্টেশন পরিণত হয়েছে বিনোদনকেন্দ্রে, চলে গেছে টিকটকাদের দখলে

        ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন-স্টপ জেনোসাইড’ স্লোগানে ছাত্রলীগ

        ধান কাটার সময় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

        নামছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর

        অফিস শেষে নিমন্ত্রণ রক্ষায় করনীয়

        আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো সংঘাতে নেই

দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়!

দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়!

অনেকেই রাতে দেরি করে ঘুমাতে যান এবং সকালে দেরি করে ঘুম থেকে ওঠেন। জানেন কি, তাদের অকালে মৃত্যুর ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে। গবেষণায় দেখা যায় দেরি করে ঘুম থেকে ওঠার কারণে বিভিন্ন মানসিক ও শারীরিক জটিলতার শিকার হতে হয়।
যুক্তরাজ্যের ৪ লাখ ৩৩ হাজার মানুষের ওপর জরিপ চালিয়ে দেখা যায় সকালে তাড়াতাড়ি ওঠা ব্যক্তিদের চেয়ে রাতজাগা মানুষের অকাল মৃত্যুর আশঙ্কা ১০ শতাংশ বেশি।

বিজ্ঞানীরা এ সংক্রান্ত গবেষণার জন্য চার ধরণের মানুষকে বেছে নিয়েছেন। যারা প্রতিদিন নিয়মিত সকালে ওঠেন, যারা মাঝে মাঝে সকালে ওঠেন, যারা মাঝে মাঝে দেরি করে ঘুমান এবং যারা প্রতিরাতে নিয়মিত রাত জাগেন। এই চারটি ক্যাটাগরিতে থাকা অংশগ্রহণকারীদের বয়স ৩৮ থেকে ৭৩ বছরের মধ্যে। পরে এই গবেষণাপত্রটি আন্তর্জাতিক ক্রোনবায়োলজি জার্নালে প্রকাশ করা হয়। সেখানে দেখা যায় যে ব্যক্তি নিয়মিত সকালে ঘুম থেকে ওঠেন তার গড় আয়ু রাতজাগা ব্যক্তিদের থেকে সাড়ে ছয় বছর বেশি।

তবে এর সঙ্গে ব্যক্তির বয়স , লিঙ্গ, গোত্র, ওজন, আর্থসামাজিক অবস্থা, খাদ্যাভ্যাস, লাইফস্টাইল ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় জড়িত। এই সবগুলো বিষয়ের সামঞ্জস্যপূর্ণ হিসেব শেষেই দেখা যায়, সকাল বেলায় যারা ঘুম থেকে ওঠেন, তাদের অকাল মৃত্যুর হার সবচেয়ে কম। আর যাদের দেহঘড়ি অনিয়মে চলে তাদের এই ঝুঁকি বাড়তেই থাকে।
রাত জাগার বদভ্যাস যারা গড়ে তুলেছেন তাদের ৯০ শতাংশ বিভিন্ন মানসিক ব্যাধির শিকার হন। ৩০ শতাংশের থাকে ডায়বেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি। এছাড়া স্নায়বিক সমস্যা থেকে শুরু করে অন্ত্রের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়।

নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ক্রিস্টেন নুটসন জানান, অবেলায় খাওয়া দাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব, ব্যয়াম না করা, রাতে ঘুম থেকে ওঠা বা মাদক সেবন এ ধরণের বদভ্যাসের পেছনে প্রধান কারণ দীর্ঘদিনের মানসিক চাপ। এমন বিভিন্ন অনিয়মের ফলে মানুষের ঘুমের সময় ওলট পালট হয়ে যায় বলে জানান তিনি।

তবে রাত জাগার কারণে আপনার শরীর মন পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে, এমনটাও ভাবার কোনো কারণ নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন অধ্যাপক নুটসন। তিনি জানান, শরীরের ৪০ থেকে ৭০ শতাংশ জৈব প্রক্রিয়া বা দেহঘড়ির পরিচালনা নির্ভর করে জিনের বৈশিষ্টের ওপর। বাকিটা তার বয়স ও পারিপার্শ্বিক পরিবেশের ওপর নির্ভর করে। অর্থাৎ কিছু বিষয় আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। আবার কয়েকটি ক্ষেত্রে চাইলেই পরিবর্তন আনা সম্ভব।
নিজের দেহঘড়িকে নিয়মের মধ্যে আনতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস দিয়েছেন ঘুম বিশেষজ্ঞরা। চলুন জেনে নেয়া যাক সেইগুল-

১. আপনার শোবার জায়গাটা এমন হতে হবে যেখানে সূর্যের আলো সহজেই পৌছায় কিন্তু রাতের বেলা অন্ধকার থাকে।

২. প্রতিরাতে একটি নির্দিষ্ট সময়ে বিছানায় যাওয়া এবং সেটা যেন খুব দেরিতে না হয়।

৩. সুস্থ লাইফস্টাইলের জন্য যে অভ্যাসগুলো গড়ে তোলা প্রয়োজন সেগুলো আয়ত্বে আনতে নিজের প্রতি কঠোর হওয়া। ঘুমের সময়ের সঙ্গে কোনো অবস্থাতেই আপস করা যাবে না।

৪. দিনের কাজ দিনের মধ্যেই শেষ করে ফেলার চেষ্টা করা।

৫. ঘুমানোর সময় মোবাইল ও ল্যাপটপ থেকে বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার থেকে দূরে থাকা।

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত