আপডেট :

        দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে

        দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে উপজেলায় থাকবেন একজন করে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট

        বার্সেলোনার সঙ্গে লিওনেল মেসির চুক্তির গল্পটা সবারই জানা

        সেকেন্ড হ্যান্ড পণ্য কেনার প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়তে শুরু করেছে

        চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের বিলুপ্ত

        চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের বিলুপ্ত

        চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের বিলুপ্ত

        উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা

        উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা

        ডিবি অফিস থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন মামুনুল হক

        ডিবি অফিস থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন মামুনুল হক

        নদীতে গোসল করতে নেমে শিশুসহ দুইজনের মৃত্যু!

        কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ধান কাটা বিরোধের জের ধরে খুন

        ভারতের জনপ্রিয় গায়িকা ও অভিনেত্রী মোনালি ঠাকুর মা কে হারালেন

        পাকিস্তানে দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের একটি মেয়েদের স্কুলের বোমা হামলা

        স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের মূল্যবৃদ্ধি

        কিরগিজস্তানের বিশকেকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করা হামলার ঘটনা

        দমে যাবেন না পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো

        নিজের ৪০তম জন্মদিনে একটু ভিন্নভাবে সেজেছেন মার্ক জাকারবার্গ

        ক্রিকেটার তাসকিনের বদলে যাওয়ার গল্প

ক্যালিফোর্নিয়ায় বাবা-মাকে খুনের দায়ে বাংলাদেশি হাসিব দোষী সাব্যস্ত

ক্যালিফোর্নিয়ায় বাবা-মাকে খুনের দায়ে বাংলাদেশি হাসিব দোষী সাব্যস্ত

ক্যালিফোর্নিয়ায় নিজ বাড়িতে বাংলাদেশি দম্পতি খুনের ঘটনায় নিহত দম্পতির বড় ছেলে হাসিব বিন গোলাম রাব্বিকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন আদালত। স্থানীয় সান্তা ক্লারা কাউন্টির হল অব জাস্টিসে দীর্ঘ এক মাস ধরে শুনানির পর গত ২৫ অক্টোবর তাকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন আদালত।

ক্যালিফোর্নিয়ার সান হোসে এলাকায় মা-বাবার সঙ্গে থাকতেন হাসিব। ২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল নিজ বাড়িতে মা-বাবা দুজনকেই হত্যা করেন তিনি। হত্যার পরপরই তিনি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। ওই বছরের ২৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় ট্র্যাসি এলাকা থেকে হাসিবকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর তাকে সান্তা ক্লারা কাউন্টি জেলে পাঠানো হয়।

ঘটনার দিন বিকেলে হাসিবের কয়েকজন বন্ধু তাদের সান হোসের ওই বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে তারা বাড়ির দরজা খোলা দেখতে পান। ঘরে ঢুকেই তাদের চোখে পড়ে খুনের ভয়াবহ দৃশ্য। হাসিবের বাবা-মায়ের রক্তাক্ত মৃতদেহ কাঠের মেঝেতে পড়ে ছিল। সে সময় নিহত দম্পতির ১৭ ও ২১ বছর বয়সী দুই ছেলে বাড়িতে ছিলেন না বলে জানায় তাদের বন্ধুরা। খুনের দুইদিন পর রাব্বি দম্পতির ১৭ বছর বয়সী ছোট ছেলের সন্ধান পায় পুলিশ। তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার বড় ছেলে হাসিব রাব্বিকে (২১) ট্র্যাসি এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

পেশায় প্রকৌশলী গোলাম রাব্বি এবং হিসাবরক্ষক শামিমা সান হোসের এভারগ্রিন ইসলামিক সেন্টারের সদস্য ছিলেন বলে জানা গেছে। তাদের দেশের বাড়ি বগুড়া জেলায়।

তারা ১৯৭৬ সালের দিকে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে খ্যাতি অর্জনকারী ‘এমদাদ অ্যান্ড সিতারা খান ফাউন্ডেশনের’ চেয়ারপারসন সিতারা খানের ছোট ভাই গোলাম রাব্বি। নয় বোন এবং দুই ভাইয়ের মধ্যে গোলাম রাব্বি ছিলেন পঞ্চম। তার তিন বোন মারা গেছেন। চার বোন যুক্তরাষ্ট্রেই বসবাস করেন। জীবিত একমাত্র ভাই রয়েছেন বাংলাদেশে। নিহত দম্পতির ঘরে একটি চিরকুটও পাওয়া যায় যাতে লেখা ছিল- ‘দুঃখিত, আমার প্রথম খুনটি ছিল বিরক্তিকর’।

এ ছাড়া তদন্ত কর্মকর্তারা ওই বাড়ির দেয়ালে লেখা আরেকটি বার্তা দেখতে পান। বার্তাটি এমন- ‘তোমার মতো আমি মিথ্যাবাদী হতে পারব না। আমি ওদের (মা-বাবা) অজ্ঞাতে অথবা সম্মতি ব্যতীত কাউকে ভালোবাসতে পারব না।’

আদালতে হাসিব নিজেই নিজের পক্ষে আইনি লড়াই চালান। তিনি তার ১৭ বছর বয়সী ছোট ভাই ওমরের ওপর মা-বাবাকে হত্যার দায় চাপানোর চেষ্টা করেন। অবশ্য ২০১৬ সালে গ্রেফতারের পরপর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হাসিব জানিয়েছিলেন, এক অপরিচিত লোক তাদের বাড়িতে এসে তাকে তার মা-বাবাকে হত্যা করতে বাধ্য করে।

হাসিব ও তার ছোট ভাই ওমরকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে ওমর জানায়, তার মা-বাবার মৃতদেহ দুটি রাখা হয়েছিল গ্যারেজে। সেখান থেকে কোনো রক্তের ধারা যেন বাইরে না যায়, তা নিশ্চিত করতে তার ভাই তাকে বলেছিল।

এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত