শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে সংবাদ , পত্রিকা অফিসে আগুন
লেবানন সীমান্তে সম্ভাব্য যুদ্ধের প্রস্তুতির আরেকটি ধাপ সম্পন্ন হয়েছে
ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দেশটির উত্তর ফ্রন্ট, লেবানন সীমান্তে সম্ভাব্য যুদ্ধের প্রস্তুতির আরেকটি ধাপ সম্পন্ন হয়েছে। রোববার ইসরাইলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে এ কথা জানা গেছে ।
প্রতিরক্ষা থেকে আক্রমণে স্থানান্তরের প্রস্তুতি শিরোনামের এক বিবৃতিতে ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলেছে, ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী -এর বৃহত্তর সেনা সমাবেশের সরঞ্জামকেন্দ্রিক প্রস্তুতি পর্ব সম্পন্ন হয়েছে।
গত বছরের ৮ অক্টোবর থেকে লেবাননের দক্ষিণ সীমান্তে ইসরাইলের সঙ্গে গোলা বিনিময় করে আসছে লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী। গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের যুদ্ধের প্রতিবাদে ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে ইসরাইলি ভূখণ্ডে নিয়মিত রকেট হামলা চালাচ্ছে গোষ্ঠীটি। ইসরাইলও লেবাননে গোষ্ঠীটির অবস্থানে পাল্টা হামলা চালিয়ে আসছে।
ইসরাইলি বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিয়মিত ও রিজার্ভ ইউনিটের সেনারা যেকোনও ডাকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সাড়া ও সজ্জিত হতে এবং প্রতিরক্ষা ও আক্রমণ অভিযানে সম্মুখভাগে মোতায়েনে প্রস্তুত থাকবে।
গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে ইসরাইল-হামাসের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। ওইদিন সকালে আচমকাই সীমানা পেরিয়ে ইসরাইলে ঢুকে পড়ে হামাসের যোদ্ধারা। অন্তত ১১৭০ জন ইসরাইলির মৃত্যু হয় এই হামলায়। শতাধিক ইসরাইলিকে পণবন্দি করে হামাস।
এ ঘটনার পরে হামাসকে নিঃশেষ করতে বিশেষ অভিযান শুরু করেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। হাজারো বিরোধিতা, নিন্দার ঝড় সত্ত্বেও নিজের অবস্থানে অনড় তিনি।
ছয় মাস ধরে চলতে থাকা এ সংঘর্ষে অন্তত ৩৩ হাজার ১৭৫ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। ইসরাইলের দাবি, ১২ হাজার হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে তাদের সেনা। যদিও হামাসের পক্ষ থেকে এ সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি। অন্যদিকে ২৬০ জন ইসরাইলি সেনার মৃত্যু হয়েছে। ইসরাইলি পণবন্দিদের মধ্যে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে ১২ জনের দেহ ফেরত পাঠিয়েছে হামাস।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন