আপডেট :

        দীর্ঘ অভিজ্ঞতার পরও এড়ানো গেল না বিমান দু র্ঘ ট না

        স্বাস্থ্যসেবার কেন্দ্রেই অবহেলা স্বাস্থ্যবিধি

        পাকিস্তানের শোকবার্তা: ভারতীয় বিমান দু র্ঘ ট না

        পাচার হওয়া অর্থের তথ্য সংগ্রহে বড় চ্যালেঞ্জ: মন্তব্য

        এ টি এম আজহারুল: ‘জনসমর্থন থাকলে পালানোর প্রশ্নই ওঠে না’

        নির্বাচনী কাঠামো পরিবর্তন ছাড়া নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন অসম্ভব

        তারেক রহমান জানালেন ভারত বিমান দু র্ঘ ট না র জন্য শোক

        একতরফা নির্বাচন নিয়ে সরব জিএম কাদের

        আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ব্যাটারি হেলথ কেমন?

        জোভানের ‘আশিকি’ দখল করল ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষ স্থান

        ‘কোন একদিন’ দিয়ে ফিরলেন আফজাল-মৌ জুটি

        আমিরের সঙ্গে পর্দায় ফিরছেন জেনেলিয়া

        অবশেষে অনুদানের অর্থ ফেরত দিতে বাধ্য শাকিব খান

        সমু চৌধুরী উদ্ধার: পুলিশ জানালো ঘটনার বিবরণ

        হামজারা এখনও এশিয়ান কাপের দৌড়ে টিকে আছে

        শান্তর মন্তব্য: টেস্ট ফাইনাল নয়, এখন মনোযোগ প্রক্রিয়ায়

        ফিফা র‍্যাংকিংয়ে উন্নতির ঝলক বাংলাদেশের নারী ফুটবলে

        শান্তর সরে দাঁড়ানো: ব্যাটিং ফোকাসেই সিদ্ধান্ত

        লেভানদোভস্কি-কোচ বিরোধ: পোল্যান্ড কোচ সরে দাঁড়ালেন

        ব্লেন্ডার ছাড়াই টিকিয়া বানানোর মজার রেসিপি

মহাশূন্যের সবকিছু গতিশীল হওয়ার কারন কি?

মহাশূন্যের সবকিছু গতিশীল হওয়ার কারন কি?

আমাদের মহাবিশ্বের কোন কিছুই স্থির থাকে না। পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। সূর্য ছায়াপথকে প্রদক্ষিণ করে। এমনকি ছায়াপথগুলোও ক্রমাগত গতিশীল থাকে। মহাশূন্যে থাকা সবকিছুই গতিশীল।


জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী এবং লাস কামব্রেস অবজারভেটরির শিক্ষা পরিচালক এডওয়ার্ড গোমেজ বলেন, মহাবিশ্ব এবং এর মধ্যে থাকা বস্তুগুলো কীভাবে তৈরি হয়েছিল, গতিশীলতার বিষয়টি তার ওপর নির্ভর করে।


বিজ্ঞানীরা মনে করেন, মহাবিশ্বের সূচনা হয়েছিল বিগ ব্যাং বা বিশাল মহাবিস্ফোরণ দিয়ে। একটি অসীম ঘন একক বিন্দু থেকে অতিদ্রুত প্রসারণ- আমরা আজ যা কিছু দেখি, সেসব কিছু গঠনের দিকে ধাবিত হয়।

এডওয়ার্ড গোমেজ বলেন, মহাবিশ্বের শুরু থেকেই এর ব্যাপ্তি বাইরের দিকে প্রসারিত হতে শুরু করেছিল। বিগ ব্যাংয়ের শক্তির প্রভাবে সবকিছু আলাদা হয়ে যায় সে সময়।


বাল্টিমোরের স্পেস টেলিস্কোপ সায়েন্স ইনস্টিটিউটের হাবল স্পেস টেলিস্কোপের জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী এবং আউটরিচ প্রকল্পবিজ্ঞানী ক্যারল ক্রিশ্চিয়ান বলেন, শুরুটা (মহাবিস্ফোরণ) একটা গতিশীলতা সৃষ্টি করে। আর তাই শুরু থেকেই মহাবিশ্বে গতিশীলতা তৈরি হয়েছে।

সুতরাং মহাশূন্যের সবকিছুই গতিশীল হওয়ার একটি কারণ হলো, মহাবিশ্ব সম্প্রসারিত হচ্ছে। এই সম্প্রসারণের প্রভাব খুব বড় আকারে রয়েছে। এমন কিছু নেই যা ঘোরে না।

এটি কৌণিক ভরবেগের কারণেও হয়ে থাকে। যখন মহাকাশে দুটি বস্তু কাছাকাছি চলে আসে, তখন তাদের পারস্পরিক মাধ্যাকর্ষণ তাদের একে অপরের দিকে টানে। তখন যদি সংঘর্ষ না হয় বা বিভিন্ন দিকে উড়ে না যায়, তবে তারা একে অপরকে প্রদক্ষিণ করে। এই ঘটনাটি ক্ষুদ্রতম খনিজ শস্য থেকে শুরু করে বৃহত্তম ছায়াপথ পর্যন্ত সমস্ত কিছুকে প্রভাবিত করে।

এ কারণেই আমাদের সৌরজগতের গ্রহগুলো সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। সৌরজগতটি গ্যাস এবং ধূলিকণার একটি ঘূর্ণায়মান ভর হিসাবে শুরু হয়েছিল, যা শেষ পর্যন্ত তারকা এবং গ্রহগুলোতে একত্রিত হয়েছিল। কৌণিক ভরবেগের কারণেই এটি নিশ্চিত হয়, কখনই ঘূর্ণন বন্ধ হবে না।

গোমেজ বলেন, গতি মহাবিশ্বের একটি মৌলিক উপাদান। এটি দেখায় যে, মহাবিশ্ব জীবিত। রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া, শারীরিক প্রতিক্রিয়া ঘটছে এবং এর জন্য শক্তি প্রয়োজন। আর এই শক্তির সবচেয়ে মৌলিক ফর্ম হল গতি।

তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত