ছাত্র প্রতিনিধি থাকলেও জনতা ও শ্রমিকের প্রতিনিধি নাই কেন?
মিস্টার বদিউল আলম আপনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের সংস্কার প্রস্তাবনা আনা। কে নির্বাচন করবে আর না করবে’ সেটা ঠিক করার, ওকালতি করার দায়িত্ব আপনার না। বাংলাদেশের কোন প্রধান দল এখনো এমন কথা বলেনি, যা আপনি বলছেন! জনগণ ঠিক করবে কে নির্বাচন করবে’ না করবে, আপনি না। কমিশনের কাজ শুরু করার আগেই নিজেকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করলেন!?শেখ হাসিনা যা করেছে তাঁর মূল্য তাঁকে এবং তাঁর দলকে দিতে হয়েছে। মূল্য তাকে-তাঁদের আরো দিতে হবে। আপনার এবং আপনাদের নির্বাচন কমিশন সংস্কারের উদ্দেশ্য যদি হয় আওয়ামী লীগকে নির্বাচনের বাইরে রাখা তাহলে সংস্কারের দরকার কি? পতিত আওয়ামী লীগের সেই ফর্মুলাই অনুসরণ করেন।
এই আন্দোলন আপনি করেননি। করেছে ’ছাত্র’ ’জনতা’ ’শ্রমিক’ এই সরকারে ছাত্র প্রতিনিধি থাকলেও জনতা ও শ্রমিকের প্রতিনিধি নাই কেন? সেটা নিয়ে প্রশ্ন করেন? এনজিওগ্রাম’রা কি এই আন্দোলনে ছিল? তাদের কারো প্রাণ গেছে, ঘর পুড়েছে?নির্বাচন কমিশনের সংস্কারের প্রয়োজন হবে মূলত এই সব স্থানে, সেখানে মনোযোগ দেন-১. নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ২. স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন ৩. নির্বাচনকে প্রশাসনের প্রভাবমুক্ত করন ৪. নির্বাচনকে অবৈধ টাকার প্রভাবমুক্ত করা ৫. রাজনৈতিক দল ও নেতৃত্ব সংস্কার ৬। এফপিটিপি নয় সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি চালু ৭। প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির শাসন ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা, রাষ্ট্রপতি পদেও নির্বাচন আনা ৮। সংসদকে আইন প্রণয়নের জায়গায় রাখা ৯। আইন, শাসন, বিচারিক প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাধীন ও শক্তিশালী করা ১০। দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ হতে পারে, তাতে খরচ বাড়বে ১১। রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার বন্ধ করা প্রধানত।এর বাইরে কি আর আপনার কাজ আছে? বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নির্বাচন হয়, তাদের ভাল দিকগুলো অনুসরণ করলেই আপনাদের কাজ অনেক কমে যাবে। এই সুযোগ এখন এসেছে সেই কাজ করেন।
এখানে জুলাই অভ্যুত্থানে ১৫০ জন নিহতের তথ্য। এদের মধ্যে ৪৫ জন ছাত্র, ১০৫ জন শ্রমিকসহ অন্যান্য পেশার। নিহত এক হাজার জন ধরে করলে পরিসংখ্যান এমনি হবে। তাহলে এই অভুত্থানে কাদের আত্মদান অধিক? সরকারে তাদের প্রতিনিধি কোথায়?
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন