ক্যালিফোর্নিয়ার পোশাক পুনর্ব্যবহার আইন: ফ্যাশন শিল্পে বড় পরিবর্তন আনছে
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
ক্যালিফোর্নিয়া প্রথমবারের মতো একটি আইন প্রণয়ন করেছে যা টেক্সটাইল এবং ফ্যাশন কোম্পানিগুলোকে তাদের পণ্য ব্যবস্থাপনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দায়িত্ব নেওয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ করে।
‘রেসপন্সিবল টেক্সটাইল রিকভারি অ্যাক্ট ২০২৪’ কি?
‘রেসপন্সিবল টেক্সটাইল রিকভারি অ্যাক্ট ২০২৪’ যা সিনেট বিল ৭০৭ (SB 707) নামে পরিচিত, ২৮ সেপ্টেম্বর ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউজম স্বাক্ষর করেছেন। এই আইনের লক্ষ্য হলো রাজ্যব্যাপী একটি প্রযোজক দায়িত্বশীলতা কর্মসূচি চালু করা, যার মাধ্যমে টেক্সটাইল বর্জ্য মোকাবিলা করা হবে।
এই আইন ফেব্রুয়ারি ২০২৩-এ সেনেটর জশ নিউম্যান (ডি-ফুলারটন) প্রস্তাব করেন।
কোম্পানিগুলোর জন্য কি পরিবর্তন আসবে?
‘এই আইনটি টেক্সটাইল কোম্পানিগুলোর ব্যবসা পরিচালনায় মৌলিক পরিবর্তন আনবে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে কখনোই তাদের পণ্যের জীবনের শেষ পর্যায়ের দায়িত্ব নিতে বাধ্য করা হয়নি’, বলেন আমেরিকান সার্কুলার টেক্সটাইলসের সিইও র্যাচেল কিব।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই এই ধরনের আইনের মাধ্যমে পুরনো কাপড় পুনর্বিক্রয়, থ্রিফটিং এবং মেরামতের একটি বিশাল নেটওয়ার্ক তৈরি হোক। এটি যেন নিত্যদিনের বিষয় হয়ে ওঠে যে যেকোনো দোকানে গিয়ে পুরনো পোশাক পাওয়া যায়’।
ক্যালিফোর্নিয়ায় টেক্সটাইল বর্জ্যের অবস্থা
ক্যালসাইকেল ২০২১-এর প্রতিবেদন অনুসারে, ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রতি বছর ১২ লাখ টন টেক্সটাইল বর্জ্য ফেলে দেওয়া হয়।
আইনের আওতায় কি করতে হবে কোম্পানিগুলোকে?
SB 707-এর আওতায়, টেক্সটাইল এবং পোশাক কোম্পানিগুলোকে ২০২৬ সালের ১ জুলাইয়ের মধ্যে একটি প্রযোজক দায়িত্বশীলতা সংগঠন (PRO) গঠন করতে হবে। এই সংগঠন সংগ্রহ কেন্দ্র, ড্রপ-অফ স্থান এবং মেইলব্যাক প্রোগ্রামের মতো ব্যবস্থা তৈরি করবে।
PRO-কে একটি পরিকল্পনা জমা দিতে হবে, যাতে পুনরায় ব্যবহার, মেরামত এবং টেক্সটাইল সংগ্রহের পদ্ধতি উল্লেখ থাকবে। এই পরিকল্পনা ক্যালিফোর্নিয়ার ‘ডিপার্টমেন্ট অফ রিসোর্সেস রিসাইক্লিং অ্যান্ড রিকভারি’ অনুমোদন করবে।
ভোক্তাদের জন্য কি কোনো বাধ্যবাধকতা আছে?
আইনটি ভোক্তাদের তাদের পোশাক পুনর্ব্যবহার করতে বাধ্য করছে না। তবে এটি তাদের উৎসাহিত করে।
আইনে বলা হয়েছে, ড্রপ-অফ স্থান এবং মেইলব্যাক প্রোগ্রামের মাধ্যমে ভোক্তারা বিনামূল্যে তাদের পুরনো পোশাক রিসাইকেল বা মেরামত করতে পারবেন।
গভর্নর নিউজম জানিয়েছেন, এই আইনের কারণে ভোক্তাদের জন্য পণ্যের দামে কোনো প্রভাব পড়বে না।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন