আপডেট :

        চুক্তিতে যেতে আগ্রহ নন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন

        গণহত্যার প্রতিবাদে চীন বর্জনের ডাক

        রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির আশা

        টানা তাপপ্রবাহের মধ্যে আবহাওয়ায় ব্যপক পরিবর্তন

        হানিফ ফ্লাইওভারের উপরের যানজটকে সহনীয় পর্যায়ে আনার জন্য সমন্বয় সভা

        মালদায় দেবের হেলিকপ্টারে আগুন

        প্যারিসের সায়েন্সেস পো ইউনিভার্সিটি থেকে গাজাপন্থী কিছু শিক্ষার্থীকে সরিয়েছে পুলিশ

        চাঁদের উদ্দেশে যাত্রা পাকিস্তানের স্যাটেলাইট

        চাঁদের উদ্দেশে যাত্রা পাকিস্তানের স্যাটেলাইট

        এজলাস কক্ষে এসি স্থাপন সময়ের দাবি

        জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১২৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে বাংলাদেশ

        জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১২৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে বাংলাদেশ

        ট্রেনে গুনতে হবে বাড়তি ভাড়া

        রাজশাহীর গোদাগাড়ির ছেলে রাফায়েল টুডু ১২ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা

        রাজশাহীর গোদাগাড়ির ছেলে রাফায়েল টুডু ১২ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা

        স্বাধীন সাংবাদিকতাকে নিরুদ্দেশ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব

        কেজরিওয়াল ও রাহুলকে ঘিরে চড়ছে ভোটের পার

        রাজধানী ঢাকায় ঝুম বৃষ্টির সম্ভাবনা

        এক টেবিলে গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা দিলেন ১৮ জন!

        এক টেবিলে গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা দিলেন ১৮ জন!

বিপার সনদ বিতরণ ও বিজয় দিবস ২০১৪ উদযাপন

বিপার সনদ বিতরণ ও বিজয় দিবস ২০১৪ উদযাপন

গত ১৪ ডিসেম্বর রবিবার সন্ধ্যা ৬:৩০ স^নামধন্য সাংস্কৃতিক সংগঠন বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব পারফমির্ং আর্টস বিপা “গ্রাজুয়েশন ও বিজয় দিবস ২০১৪” পালন করলো এ্যাস্টোরিয়ার পাবলিক স্কুল ২৩৪’এর মিলনায়তনে। বিপার স্কুল বর্ষ শেষ হয় ডিসেম্বর মাসে। নভেম্বর মাসে সমাপনী পরীক্ষা ও আরো তিনটি সেমিস্টারের গড় ফলাফলের ভিত্তিতে ডিসেম্বর মাসে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে তারা ট্রফি ও সার্টিফিকেট পায়। পাঁচ বছরের কোর্স শেষ করবার পর ছাত্রছাত্রীরা হয় বিপা গ্রাজুয়েটস। পরবর্তিতে বিপা গ্রাজুয়েটসদের জন্য রয়েছে উচ্চতর শিক্ষার ব্যবস্থা,খবর বাপসনিঊজ। 
এবারেও বিপার ক্ষুদে থেকে শুরু করে সিনিয়র ছাত্রছাত্রীরা লালসবুজ পোশাকে সজ্জিত হয়ে মঞ্চ আলো করে একে একে ট্রফি ও সার্টিফিকেট গ্রহন করে অতিথীদের কাছে থেকে । এবারের অতিথী ছিলেন বাংলাদেশ কনস্যুলেটের মাননীয় কনস্যুল জেনারেল শামীম আহম্মেদ,ট্রফি ও সার্টিফিকেট পর্বের স্পন্সর মামুন’স টিউটোরিয়ালের স্বত্বাধিকারী  শেখ আল মামুন। আরো ছিলেন হিলসাইড হোন্ডার মার্কেটিং ডিরেক্টার ও স্পন্সর কামাল হোসেন মিঠু । নিশাত চৌধুরী ও জারিন ইসলামকে বিপার প্রতি তাদের আনুগত্য ও ভালোবাসার স্বীকৃতি হিসেবে বিশেষ পুরষ্কার দেয়া হয়। অতিথিগন তাদের বক্তব্যে একটি কথাই বারে বারে উল্লেখ করেন প্রবাসে বিপা’র ছাত্রছাত্রীরাই বাংলাদেশের যোগ্য প্রতিনিধি হয়ে দেশের ভাবমূর্তিকে সমুজ্জল রাখবে।সেই সঙ্গে তাঁরা  বিপাকে ধন্যবাদ দেন এই রকম একটি স্কুলের প্রতিষ্ঠা ও পারচালনা করবার জন্য। ট্রফি ও সার্টিফিকেট বিতরণের পরে একটি ছোট বিরতি হয়। এর পরেই পরিবেশিত হয় বিজয় দিবসের বিশেষ অনুষ্ঠানমালা। শুরুতে বিপার ছোট ছোট ছাত্রছাত্রীদের পরিবেশনায় বৃন্দ কবিতা ও দলীয় সঙ্গীতের সমন্বয়ে পরিবেশিত হয় “বিজয় পতাকা”। এর পরিকল্পনা,প্রশিক্ষন ও পরিচালনায় ছিলেন নিলোফার জাহান । শিশু কিশোরদের শুদ্ধ উচ্চারণ ও সুরেলা কন্ঠের এই চমৎকার  পরিবেশনাটি দর্শক শ্রোতাদের প্রশংসা কুড়িয়েছে অনেক। এ পর্বের একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো তবলা বিভাগের দুজন ছাত্র অনন্ত অরিত্র ও সারজিল রাজিন এই স্ঙ্গীতানুষ্ঠানে পিনাক পাণি গোস্বামীর প্রশিক্ষণে তবলা সঙ্গত করে। ঐ একই ছাত্রদ্বয় তবলা বাদনের পর্ব ‘তাল তরঙ্গ’ এ পিনাক পাণি গোস্বামীর পরিচালনায় তবলা বাজিয়ে শোনায়।‘পেয়েছি স্বদেশ আমি’ বিজয় দিবসের বিশেষ সঙ্গীতানুষ্ঠানটি পরিবেশিত হয় বিপা’র সিনিয়র ছাত্রছাত্রীদের পরিবেশনায় দেশাত্মবোধক ও মুক্তিযুদ্ধের গান ও কবিতা নিয়ে গ্রন্থিত এই অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন হল ভর্তি দর্শকশ্রোতা। বুদ্ধিজীবিদের স্মরণে কবিতা আবৃত্তির পর্বটি ছিল “অনাদি সঞ্চয়” । দেশ এবং প্রবাসের কবিদের কবিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়ে বিপার ছাত্রছাত্রীরা শ্রদ্ধা জানায় শহীদ বুদ্ধিজীবিদের। এই দুটি অনুষ্ঠানেরই পরিকল্পনা, প্রশিক্ষন ও পরিচালনায় ছিলেন সেলিমা আশরাফ। সহযোগী পরিচালক ছিলেন নিলোফার জাহান। এতে তবলা সঙ্গত করেন বিপা’র তবলার শিক্ষক ও নিউ ইয়র্কের বিশিষ্ট তবলা শিল্পী পিনাক পাণি গোস্বামী।   বাংলাদেশের দুঃস্থ শিশুদের সাহায্যার্থে কর্মরত সংগঠন ডিসিআই’য়ের পক্ষ থেকে তাদের সক্রিয়তার ওপরে একটি প্রমাণ্য চিত্র দেখায় সংগঠনের কর্মী এবং বিপার প্রাক্তন ছাত্রী ডাঃ সালমা সিদ্দীকি। একজন বাঙ্গালী হিসেবে এই সংগঠনের মধ্য দিয়ে শিশুদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়ানোর আবেদন করেন ডাঃ সিদ্দীকি।বিপা আয়োজিত বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানমালার সর্বশেষ আকর্ষণ ছিল নৃত্যানুষ্ঠান “একাত্তুরের বীর বাঙ্গালী”। অত্যন্ত হদয়গ্রাহী এই নৃত্যানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরা হয়। এতে একজন লাচ্ছিত ও নির্যাতিত নারী হিসেবে এ্যানি ফেরদৌস ছিলেন অসাধারণ। মুমু আনসারীর বলিষ্ঠ কন্ঠের আবৃত্তিতে ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। এই নৃত্যানুষ্ঠানটির পরিকল্পনা, কোরিওগ্রাফি ও পোষাক নির্বাচনেও ছিলেন এ্যানি ফেরদৌস। পরিচালনায় ছিলেন মধুমিতা দাসগুপ্তা। সহযোগীতায় নাদিয়া ইসলাম, জারীন মাইসা ও তানজিলা নেওয়াজ। সবশেষে সভাপতি নিলোফার জাহানের ধন্যবাদ জ্ঞ্যাপন ও বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে উত্তর আমেরিকার অন্যতম সাংস্কৃতিক সংগঠন বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব পারর্ফমিং আর্টস বিপার “গ্রাজুয়েশন ও বিজয় দিবস ২০১৪’র সমাপ্তি টানা হয়। বিজয় দিবসের এই অনুষ্ঠানে বিপার যে সব ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকরা পরিবেশন করে তারা হলো সিতারাতুন,দেবোস্মিতা,নিভিয়া,নাফিসরাইসা,মুন,স্বর্ণালী,মাইসাহাসান,সোমাইয়া,রুসমিকা,স্বর্ণম,নাহ্রীন,নিহাল,লিওনা,নাফসীন,চেলসিয়া,সাদিয়া আনোয়ার,রুদবা,আনিস, নওশীন,নাবিলা,সানজানা,জারা,তাসনিম,নিহাল ইসলাম,তারান্নুম,অনন্ত অরিত্র,সারজিল,নাদিয়া আহ্ম্মদ,তাসনিম ইসলাম,জারীন মাইসা,সাদিয়া চৌধুরী,অগ্নিভ,আহনাফ,নিশাত,সাঈদা পারভীন,শিলা,সাবিনা,নামিয়া,সাদিয়া আকতার,নাদিয়া ইসলাম, তানজিলা নেওয়াজ,সাদিয়া আলম,তাসিন ফেরদৌস,অপিয়া,সুদীপা,সেহনুম,সারিয়া,ইনায়া,নুহা,নায়লা ও এ্যানি ফেরদৌস।   
সামগ্রিক এই অনুষ্ঠানটিতে সাবিনা শারমিনের সাবলীল উপস্থাপনা অনুষ্ঠানটিকে শুরু থেকে শেষ অব্দি উপভোগ্য করে তোলে।কলাকুশলীদের মধ্যে আরো ছিলেন, তবলা:পিনাক পাণি গোস্বামী,হারমোনিয়াম: নিলোফার জাহান, নাদিয়া আহ্ম্মদ,তাসনিম ইসলাম,মঞ্চসজ্জা: ফারহানা হুদা ইসলাম,নাদিরা চৌধুরী,বিউটি ইয়াসমিন,নিশাত চৌধুরী,নামিয়া আমিন,ফারজানা মাহমুদ,তাকরিমা ইসলাম,সাহিদা সিকদার হাই,মনিরা ইয়াসমিন,হাফিজা হোসেন,সাদিয়া আকতার প্রমা। স্থিরচিত্র ধারণ: তাসিন ফেরদৌস, জাফর ফেরদৌস,অতিথি আপ্যায়ন: সাইদ মিজানুর রহমান,নাদিম আহ্ম্মদ, মনিরা ইয়াসমিন,শব্দ ও আলোক নিয়ন্ত্রণ: বিডি সাউন্ড,মনিরুল ইসলাম,ট্রফি ও সনদ বিতরণ সমস্বয়: মধুমিতা দাশগুপ্তা,মিজানুর রহমান। 

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত