আপডেট :

        অবৈধ অভিবাসন দমনে হন্ডুরাস ও উগান্ডার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ফেরত চুক্তি

        যুক্তরাষ্ট্রে রেডিওঅ্যাকটিভ শঙ্কায় ওয়ালমার্টের চিংড়ি পণ্য প্রত্যাহার

        ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে ঢুকতেই দাম কমতে শুরু করেছে

        মেইল-ইন ভোট বন্ধ করতে পারবেন কি ট্রাম্প?

        ইসরায়েল গাজাযুদ্ধে ১৯ হাজার শিশু হত্যা করেছে

        টেক্সাসে ভুলে মুক্তি পাওয়া কয়েদিকে খুঁজছে পুলিশ

        সিলেটে পাথরের সঙ্গে শাহ আরেফিন টিলাও লুট হয়ে গেল

        ডাকসুর আজীবন সদস্যের প্রস্তাবে হাসিনা মানতে পারেননি ‘ভেটো’, প্রতিশোধ নিতে একের পর এক হামলা

        চীনের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে স্বস্তিতে ভারত

        যুক্তরাষ্ট্রে শিপিং জালিয়াতি মামলায় ক্যালিফোর্নিয়ার এক ব্যক্তির কারাদণ্ড

        আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে যাত্রী বেড়ে রেকর্ড গড়ল অন্টারিও বিমানবন্দর

        ক্যালিফোর্নিয়ায় গুলিতে তিনজনের মৃত্যু

        মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ৬,০০০ শিক্ষার্থী ভিসা বাতিল করেছে

        বাহামাসের একই রিসোর্টে ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু

        সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেল এজেন্ট মোতায়েন, ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ নিউসমের

        ক্যালিফোর্নিয়ায় পানির নিচ থেকে নিখোঁজ মা ও শিশুর মরদেহ উদ্ধার

        ওয়াশিংটনে ন্যাশনাল গার্ড পাঠাচ্ছে তিন রিপাবলিকান অঙ্গরাজ্য

        হারিকেন এরিন ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দিকে ধেয়ে আসছে, আকারে বড় হচ্ছে ঝড়

        আনাহাইমে কার ওয়াশ ও হোম ডিপোতে অভিবাসন অভিযান, আটক একাধিক ব্যক্তি

        সান বার্নার্ডিনোতে অভিবাসন অভিযানে ফেডারেল এজেন্টের গুলি

যুক্তরাষ্ট্রে প্রধান সংবাদ উৎস এখন সোশ্যাল মিডিয়া, গবেষণায় প্রকাশ

যুক্তরাষ্ট্রে প্রধান সংবাদ উৎস এখন সোশ্যাল মিডিয়া, গবেষণায় প্রকাশ

ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস

সোশ্যাল মিডিয়া ও ভিডিও নেটওয়ার্ক এখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান সংবাদ উৎসে পরিণত হয়েছে, টেলিভিশন ও নিউজ ওয়েবসাইটকে পেছনে ফেলে – এমনটাই জানিয়েছে রয়টার্স ইনস্টিটিউটের এক সাম্প্রতিক গবেষণা।

গবেষণায় দেখা গেছে, ৫৪ শতাংশ মানুষ ফেসবুক, এক্স (সাবেক টুইটার), ইউটিউবের মতো সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম থেকে সংবাদ পান, যেখানে টেলিভিশন থেকে খবর নেন ৫০ শতাংশ এবং নিউজ ওয়েবসাইট ও অ্যাপ ব্যবহার করেন ৪৮ শতাংশ।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “সোশ্যাল মিডিয়া ও ব্যক্তিনির্ভর সংবাদ পরিবেশনের উত্থান যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অনন্য নয়, তবে এখানে পরিবর্তন দ্রুত হচ্ছে এবং এর প্রভাবও তুলনামূলকভাবে বেশি।”

বিশ্বব্যাপী পরিচিত পডকাস্টার জো রগানকে গত সপ্তাহে ২২ শতাংশ মার্কিন নাগরিক কোনো না কোনোভাবে সংবাদ বা মতামতের উৎস হিসেবে দেখেছেন – যা তাকে সবচেয়ে দেখা ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে।

প্রতিবেদনের লেখক নিক নিউম্যান বলেন, “সোশ্যাল ভিডিও ও ব্যক্তিনির্ভর সংবাদ পরিবেশনের এই উত্থান ঐতিহ্যবাহী গণমাধ্যমের জন্য আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ।”

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, অনেক রাজনীতিক এখন মূলধারার সংবাদমাধ্যমের পরিবর্তে সহানুভূতিশীল অনলাইন হোস্টদের সময় দিচ্ছেন, যারা সচরাচর কঠিন প্রশ্ন করেন না এবং অনেক ক্ষেত্রেই ভুল তথ্য বা বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানোর সঙ্গে যুক্ত।

বিশ্বব্যাপী প্রায় ৪৭ শতাংশ মানুষ অনলাইন ইনফ্লুয়েন্সার ও ব্যক্তিত্বদেরকে বিভ্রান্তিকর বা ভুল তথ্যের বড় উৎস হিসেবে দেখেছেন – যা রাজনীতিবিদদের সঙ্গে একই মাত্রায়।

অন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

এক্স (সাবেক টুইটার) এর ব্যবহার যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশেই স্থির বা বাড়ছে। এলন মাস্ক দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্ল্যাটফর্মে ডানপন্থীদের, বিশেষ করে তরুণ পুরুষদের উপস্থিতি বেড়েছে, আর প্রগতিশীলদের ব্যবহার কমেছে।

যুক্তরাষ্ট্রে মাস্কের অধিগ্রহণের পর নিজেকে “ডানপন্থী” হিসেবে চিহ্নিত করা ব্যবহারকারীর সংখ্যা তিনগুণ হয়েছে। যুক্তরাজ্যেও একই ধারা দেখা গেছে।

থ্রেডস, ব্লুস্কাই ও মাস্টোডনের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী নেটওয়ার্কের বিশ্বব্যাপী প্রভাব খুবই কম – খবরের জন্য এদের ব্যবহার ২% বা তারও কম।

টিকটক এখন সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ভিডিও ও সোশ্যাল নেটওয়ার্ক, বিশ্বব্যাপী ১৭ শতাংশ মানুষ এটি ব্যবহার করছেন সংবাদ জানার জন্য – যা গত বছরের তুলনায় ৪ শতাংশ পয়েন্ট বেশি।

এআই চ্যাটবটের মাধ্যমে সংবাদ জানার প্রবণতা বাড়ছে, বিশেষ করে ২৫ বছরের কমবয়সীদের মধ্যে এটি দ্বিগুণ হারে জনপ্রিয়।

তবে বেশিরভাগ মানুষ মনে করেন, এআই ব্যবহার সংবাদকে কম স্বচ্ছ, কম নির্ভরযোগ্য ও কম সঠিক করে তুলবে।

যদিও মানুষ এখন ঐতিহ্যবাহী সংবাদমাধ্যম কম ব্যবহার করে, তারপরও সব প্রজন্মই নির্ভরযোগ্য ও সুনামসম্পন্ন ব্র্যান্ডের সংবাদকে মূল্য দেয়।

এই প্রতিবেদনের এটি ১৪তম সংস্করণ এবং এতে ৪৮টি দেশের প্রায় ১ লাখ মানুষ অংশ নিয়েছেন।

এলএবাংলাটাইমস/ওএম

       

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত