আপডেট :

        মাদারীপুরে গাড়ির ধাক্কায় অজ্ঞাতনামা এক পথচারীর মৃত্যু

        রাজধানীতে শুরু হয়েছে বজ্রসহ বৃষ্টি

        টাইটানিক সিনেমার অভিনেতা মারা গেছেন

        আবারো গাজায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

        দুটি এম্বুলেন্সের একটি নষ্ট গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে

        নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউটে মোট শয্যা হবে এক হাজার

        উপজেলা নির্বাচন: ৩ দিন মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ

        ব্যাটে জয় পেলো বাংলাদেশ

        ব্যাটে জয় পেলো বাংলাদেশ

        সম্পূর্ণ বাংলা সাপোর্টের স্মার্টওয়াচ নিয়ে এলো দেশীয় প্রযুক্তি

        ছায়ানটের অন্যতম সদস্য শ্রী অশোক রায় নন্দীর মৃত্যু

        ইসরায়েলে আল জাজিরার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশর পর অফিসে পুলিশের অভিযান

        ব্রাজিলে ভয়াবহ বন্যায় নিহত ৫৭, ঘরছাড়া ৭০ হাজার মানুষ

        ইসরায়েলে আল-জাজিরা টিভি বন্ধের সিদ্ধান্ত

        মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানে বিক্ষোভ

        ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থীদের ওপর ইসরাইলি সমর্থকদের হামলা

        যুক্তরাষ্ট্রে কিশোরকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে শিক্ষিকা গ্রেপ্তার

        যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার পরিস্থিতি ‘বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ’ বলে উল্লেখ উত্তর কোরিয়ার

        যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তিন কর্মকর্তার মৃত্যু

        বান্ধবী খুঁজে পেতে বিলবোর্ডে বিজ্ঞাপন, ব্যাপক সাড়া

করোনাভাইরাসে নিউইয়র্কে কমপক্ষে ১৫ বাংলাদেশীর মৃত্যু

করোনাভাইরাসে নিউইয়র্কে কমপক্ষে ১৫ বাংলাদেশীর মৃত্যু

বাংলাদেশী অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটস এলাকার কাছে এম্‌হার্স্ট হাসপাতাল - সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নিউইয়র্ক স্টেট এবং বিশেষ করে নিউইয়র্ক শহর।

সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এক নিউইয়র্ক সিটিতেই মারা গেছে ৭৮০ জন, আক্রান্তের সংখ্যা কমপক্ষে ৩৪ হাজার।

সেফেস্ট নামে একটি সামাজিক সংগঠন এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের নানা সংগঠনের বরাত দিয়ে নিউইয়র্কের সাংবাদিক লাভলু আনসার বিবিসি বাংলাকে বলেন, গত ১০ দিনে নিউইয়র্ক সিটিতে কমপক্ষে ১৫ জন প্রবাসী বাংলাদেশী মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ছয়জন নারী।

এছাড়া, এক শ'রও বেশি বাংলাদেশী বিভিন্ন হাসপাতালের আইসিইউতে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশী অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটস এলাকার কাছে এম্‌হার্স্ট নামে একটি হাসপাতালে গত সপ্তাহে এক দিনে ২৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে চারজন ছিলেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত।

"হাসপাতালে বেড এবং ভেন্টিলেটর মেশিন না থাকায় অনেক রোগী অপেক্ষারত অবস্থাতে বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন।"

ঐ মৃত্যুর ঘটনায় গভীর ক্ষোভ এবং শোক প্রকাশ করেছেন নিউইয়র্ক রাজ্যের গভর্নর অ্যান্ড্রু ক্যুমো।

লাভলু আনসার বলছেন, এত মৃত্যুর ঘটনায় নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কম্যুনিটিতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

কেন এত বাংলাদেশী মারা গেল?

লাভলু অনসার বলছেন, নিউইয়র্কের পরিস্থিতি ভয়াবহ এবং শুধু বাংলাদেশি নয় নিউইয়র্কে অন্যান্য সব কম্যুনিটির লোকই মারা যাচ্ছে। তবে, তিনি বলেন, ১৯ মার্চ রাজ্যে লক-ডাউন ঘোষণার পর প্রথম দিকে বহু বাংলাদেশী তাকে তেমন গুরুত্ব দেননি।

"অনেক বাংলাদেশী তেমন গায়ে মাখেনি। জ্যাকসন হাইটস, জ্যামাইকার বাংলাদেশী গ্রোসারিগুলোর বাইরে তাদের আড্ডা মারতে দেখা গেছে। একসাথে অনেক মানুষ দোকানে ঢুকে কেনাকাটা করেছেন। অনেকেই মাঝেই সচেতনতা কম ছিল অথবা বিপদ বুঝতে পারেননি।"

তিনি বলেন, "এখন দোকানগুলো একজনের বেশি লোক ঢোকাচ্ছে না। ডাক্তাররাও জানালা দিয়ে রোগীর সাথে কথা বলছেন।"

নিউইয়র্ক সিটি এবং আশপাশে কমবেশি তিনলক্ষ বাংলাদেশীর বসবাস। নিউইয়র্ক এবং নিউজার্সি - এই দুই রাজ্যে করোনাভাইরাসের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। নিউইয়র্ক রাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা রোববার ১,০০০ ছাড়িয়ে গেছে। আক্রান্তের সংখ্যা ৬০হাজার।

নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের এক হাজারেরও বেশি সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

সূত্র : বিবিসি

এলএবাংলাটাইমস/এম/এইচ/টি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত