বাহামাসের একই রিসোর্টে ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু
উত্তেজনাপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরে নিয়মিত প্রবেশ অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র
বিরোধপূর্ণ সমুদ্রসীমায় চীনের সাঁজোয়া যান মোতায়েন
দক্ষিণ চীন সাগরের বিরোধপূর্ণ সমুদ্র সীমার যে অংশে কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করা হচ্ছে সেখানে চীনা সেনাবাহিনীর গোলন্দাজ যান মোতায়েন করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা এই দাবি করেন। তবে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী সতর্ক করে দিয়ে বলেন, উত্তেজনাপূর্ণ এ অঞ্চলে নিয়মিত প্রবেশ অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র।যদি এ খবর সত্যি হয় তাহলে এ অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য বিষয়টি হবে বেশ উদ্বেগজনক। কারণ, বিরোধপূর্ণ এই এলাকা নিয়ে চীনের সঙ্গে জাপান, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে দ্বন্দ্ব বেশ প্রকট হচ্ছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি গোয়েন্দা বিমান ওই দ্বীপের ওপর দিয়ে উড়ে গেলে চীন এ বিষয়ে বেশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা গত শুক্রবার জানিয়েছেন, দক্ষিণ চীন সাগরের যে এলাকায় চীন কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে সেখানে দুটি বড় গোলন্দাজ যানের উপস্থিতি দেখা গেছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে বিষয়টি মার্কিন কর্মকর্তাদের নজরে আসে। তবে ওই যান দুটি এখনও সেখানে অবস্থান করছে নাকি সেগুলো চোখের আড়ালে সরিয়ে ফেলা হয়েছে তা নিশ্চিত করতে বলতে পারেননি কর্মকর্তারা। পেন্টাগনের মুখপাত্র ব্রেন্ট কলবার্ন জানান, গোলন্দাজ বাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। তবে তিনি এর বিস্তারিত কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।এদিকে সাগরের ওই বিরোধপূর্ণ নৌসীমায় নির্মাণ কাজ অবিলম্বে বন্ধ করতে চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাস্টন কার্টার।গত শনিবার সিংগাপুরে নিরাপত্তা বিষয়ক এক উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে এ আহ্বান জানিয়েছেন। সাংরি-লা সংলাপ নামের বার্ষিক এ সম্মেলনে চীন, ইউরোপ এবং এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও শীর্ষস্থানীয় সামরিক কর্মকর্তারা যোগ দেন।দক্ষিণ চীন সাগরের বিরোধপূর্ণ অঞ্চলে বেইজিংয়ের আচরণ আন্তর্জাতিক নীতির সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ দাবি করে কার্টার বলেন, সব বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় যুক্তরাষ্ট্র। বিরোধপূর্ণ এলাকায় ভূমি দখল সংক্রান্ত সব কাজ চীনকে অবিলম্বে এবং স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে হবে। বিরোধপূর্ণ এ অঞ্চলে ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন ও তাইওয়ান নানা ধরনের সীমান্ত চৌকি নির্মাণ করেছে বলেও স্বীকার করেন তিনি। রয়টার্স।
শেয়ার করুন