নিউ ইয়র্কে ফাহিম হত্যায় হাসপিলের ৪০ বছরের কারাদণ্ড
ছবি: এলএবাংলাটাইমস
নিউ ইয়র্কে রাইড শেয়ারিং অ্যাপস পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফাহিম সালেহ (৩৩) হত্যাকাণ্ডে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২৫ বছর বয়সী টাইরেস হাসপিলকে ৪০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সময় নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের একটি আদালতের বিচারক তাকে এ সাজা প্রদান করেন।
২০২০ সালের ১৩ জুলাই ম্যানহাটনের লোয়ার ইস্ট সাইডের হিউস্টন স্ট্রিটের অভিজাত ফ্ল্যাটে নৃশংসভাবে খুন হন ফাহিম সালেহ। তার সাবেক সহকারী হাসপিল ৪ লাখ ডলার চুরির পর দোষ লুকাতে তাকে গলাকেটে হত্যা করে। এরপর ইলেকট্রিক করাত দিয়ে লাশ কেটে টুকরো টুকরো করে। নিজের ফরাসি প্রেমিকাকে প্রভাবিত করার জন্য হাসপিল ৪ লাখ ডলার চুরির পর নিজকে রক্ষায় ফাহিম সালেহকে খুন করে।
ফাহিম সালেহকে নৃশংসভাবে হত্যার জন্য হাসপিলের বিরুদ্ধে প্রথম-ডিগ্রি হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছিল। মঙ্গলবার প্রায় এক ঘণ্টা আদালতে যুক্তিতর্ক শেষে হাসপিলকে ৫০ বছরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মত দেয় জুড়ি বোর্ড। পরে তাকে ৪০ বছরের সাজা দেওয়া হয়।
প্রসিকিউটররা জানান, ফাহিম সালেহর প্রায় ৪ লাখ ডলার আত্মসাৎ করেছিলেন হাসপিল। এটা লুকাতে ফাহিমকে হত্যা করেন তিনি। ম্যানহাটনের জেলা অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্যার্গ হাসপিলকে দোষী সাব্যস্ত করে বলেন, হাসপিল দুঃখজনকভাবে ফাহিমের জীবনকে সংক্ষিপ্ত করে দিয়েছেন। ফাহিম সম্পর্কে তিনি বলেন, অভিবাসী পরিবারের এ সদস্য এক জন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার ব্যাপারে প্রত্যয়ী ছিলেন।
নিউ ইয়র্কের নিজ অ্যাপার্টমেন্টে ২০২০ সালের ১৩ জুলাই খুন হন ফাহিম। হত্যার পর তার দেহ ইলেকট্রিক করাত দিয়ে টুকরা টুকরা করা হয়। এ কারণে হাসপিলকে প্রথম-ডিগ্রি হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
তদন্তসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র তখন জানায়, ফাহিমের ৪ লাখ ডলার সরিয়ে ফেলেছিলেন হাসপিল। বিষয়টি ধরাপড়ার পর ফাহিম ঐ অর্থ পরিশোধ করার সুযোগ দিয়েছিলেন। হাসপিল ধাপে ধাপে অর্থ পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে আবার অর্থ চুরি করছিল। এ অবস্থায় তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার নেওয়ার হুমকি দেন ফাহিম। এরপরই তিনি এ হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।
এলএবাংলাটাইমস/এজেড
শেয়ার করুন