নিউইয়র্কে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানালেন আ.লীগ নেতা-কর্মীরা
কানাডা থেকে নিউ ইয়র্ক পৌঁছেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৮ সেপ্টেম্বর রোববার অপরাহ্ন ৩টায় নিউইয়র্ক সিটির লাগোয়ার্ডিয়া এয়ারপোর্টে অবতরণের পর জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন তাকে স্বাগত জানান।
এ সময় শেখ হাসিনার গাড়ি বহরের রাস্তার পাশে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী তুমুল স্লোগানে তাকে সাদর অভ্যর্থনা জানান। আগের দিন নিউইয়র্ক সিটিতে বোমা সদৃশ কিছু বিস্ফোরিত হবার ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের কারণে আগের মত শেখ হাসিনা তার গাড়ির গতি কমিয়ে কর্মীদের অভিবাদনের জবাব দিতে পারেননি। তবে, এবার এয়ারপোর্টে বিএনপি এবং তার বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কোন নেতা-কর্মীকে দেখা যায়নি। তারা ঘোষণা দিয়েছেন ‘যেখানে শেখ হাসিনা-সেখানেই প্রতিরোধ’ কর্মসূচি পালনের। বিএনপির এমন কর্মসূচির বিরুদ্ধে আওয়ামী পরিবারের পাল্টা ঘোষণা রয়েছে ‘যেখানে বিএনপি-জামাত-সেখানেই প্রতিরোধ’ এর। আর এমনি উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিএনপি কেন বিক্ষোভ করলো না-তা নিয়ে কৌতুহলের অন্ত নেই।
এয়ারপোর্টে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানানোর বক্তব্যের পাশাপাশি স্লোগানে নেতৃত্ব দেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ড. শাহজাহান মাহমুদ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক নিজাম চৌধুরী, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্রস্থ বাংলাদেশ ল’ সোসাইটির সভানেত্রী মোর্শেদা জামান, যুক্তরাষ্ট্রস্থ পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের সভাপতি আব্দুল কাদির মিয়া, ওয়াশিংটন মেট্র আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি মাহমুদুন্নবী বাকী, লেখক-সাংবাদিক হারুন চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন দেওয়ান ও আব্দুর রহিম বাদশা, আইন বিষয়ক সম্পাদক শাহ বখতিয়ার, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সভাপতি বদরুল হক খান, যুবলীগের সাবেক সভাপতি মিসবাহ আহমেদ, সাবেক সেক্রেটারি ফরিদ আলম, যুবলীগের নবগঠিত কমিটির আহবায়ক তারিকুল হায়দার চৌধুরী, মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী মমতাজ শাহানা, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী বিউটি, রাশেদা কোরেশী, সবিতা দাস, শ্রমিক লীগ সভাপতি কাজী আজিজুল হক খোকন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি নুরুজ্জামান সর্দার, সহ-সভাপতি দরুদ মিয়া রনেল, মহানগর আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি মাসুদ হোসেন সিরাজি, প্রবাসী কল্যাণ সমিতির সেক্রেটারি দেওয়ান বজলু, আমেরিকা-বাংলাদেশ এলায়েন্সের চেয়ারপার্সন এম এ সালাম, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাবেক সেক্রেটারি সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ, নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মিয়া এবং সেক্রেটারি শাহীন আজমল প্রমুখ।
এয়ারপোর্ট থেকে শেখ হাসিনা সোজা জাতিসংঘ সংলগ্ন ওয়াল্ডর্ফ এস্টোরিয়া হোটেলে চলে যান। সেখানেই অবস্থান করবেন জাতিসংঘের কর্মসূচিতে যোগদানকালিন সময়ে।
২২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে ভার্জিনিয়ায় তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়ার কথা শেখ হাসিনার। সেখান থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবেন বলে জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের প্রধান ও স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন জানান। জয়ের বাসায় অবস্থানকালিন সময়ে তিনি কোন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন না বলেও উল্লেখ করেছে দূতাবাসের সূত্র।
এদিকে, জাতিসংঘ সফরের প্রথম দিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনের বাসায় তার সফরসঙ্গিসহ ডিনারে যোগদান করেন শেখ হাসিনা। প্রবাসের বিশিষ্টজনেরাও ছিলেন এ ডিনারে।
এলএবাংলাটাইমস/এনওয়াই/এলআরটি
শেয়ার করুন