পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয়ব
নিউইয়র্কে মায়ের সামনেই গাড়ি চাপায় মারা গেল বাংলাদেশি শিশু
মায়ের সামনেই গাড়ির চাপায় প্রাণ গেল ৫ বছর বয়েসী তাশফিক তোফার। নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের বাফেলোতে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় শোকাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে বাংলাদেশীদের নতুন বসতি।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বাফেলোর সিকামোর স্ট্রিটে দ্রুতগামী একটি গাড়ি এ দুর্ঘটনার জন্যে দায়ী বলে তোফার মা ফাতেমা ইয়াসমীন দাবি করলেও তদন্ত কর্মকর্তারা ড্রাইভারকে গ্রেফতার কিংবা অভিযুক্ত করেনি। বাফেলো পুলিশের মুখপাত্র মাইকেল জে ডিজর্জ স্থানীয় মিডিয়াকে বলেছেন, ‘দুর্ঘটনার পরপরই ২২ বছর বয়েসী ড্রাইভার গাড়ি থামিয়ে পুলিশ না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করছিলেন। পুলিশের কাছে দুর্ঘটনার বিবরণীতে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, ‘শিশুটি হঠাৎ করেই দৌড় দেয় রাস্তা অতিক্রমের জন্যে। আমার পক্ষে যতটা সম্ভব চেষ্টা ছিল গাড়ি থামানোর কিন্তু সম্ভব হয়নি।’ তোফার মা বলেছেন, ‘আমার হাত ধরেই হাঁটছিল তোফা। হঠাৎ করে সে হাত ছাড়িয়ে দৌড় দেয় এবং প্রায় একশত গজ আগে চলে যায়। চোখের সামনেই তোফাকে দ্রুতগামী গাড়িটি চাপা দিলো।’
তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, ‘গাড়িটি পরীক্ষা করা হচ্ছে। ব্রেক ঠিকমত কাজ করেছে কিনা, গতিবেগ কত ছিল-তাও দেখা হচ্ছে।’
নিউইয়র্ক সিটি থেকে ৩৭৪ মাইল দূরে এবং কানাডার সীমান্তবর্তী বিশ্বখ্যাত ‘নায়েগ্রা ফলস’ সংলগ্ন এই বাফেলো সিটিতে গত কয়েক বছরে হাজার হাজার বাংলাদেশী বসতি গড়েছেন। তোফার বাবা তোফায়েলও ৪ বছর আগে স্ত্রী-সন্তানসহ নিউইয়র্ক সিটি ছেড়ে বাফেলোতে বসতি গড়েছেন। মৌলভীবাজারের বড়লেখা-জুড়ি উপজেলার সন্তান তোফায়েল শিশু পুত্রের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুকে মেনে নিতে পারছেন না। তিনি সিটি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন আবাসিক এলাকায় গাড়ির গতি কমানোর জন্যে।
পুলিশ উল্লেখ করেছে, দুর্ঘটনার সংবাদ জেনেই এ্যাম্বুলেন্স এসে তোফাকে স্থানীয় হাসপাতালে নেয় এবং জরুরী বিভাগের চিকিৎসকরা প্রাণপন চেষ্টা করেও তাকে বাঁচাতে পারেননি। আর এ দুর্ঘটনাটি ঘটে তোফায়েলের বাড়ি থেকে কয়েকশত গজের মধ্যেই ফিলিমোর এভিনিউতে।
গত ২৬ অক্টোবর বুধবার বাদ যোহর বাফেলো ইসলামিক সেন্টারে তোফার জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। শতশত শোকার্ত মুসল্লী এতে অংশ নেন। স্থানীয় মুসলিম গোরস্তানে তাকে দাফন করা হয়। উল্লেখ্য, তোফা ছিল বাফেলো ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ফার্স্ট গ্রেডের ছাত্র।
শেয়ার করুন