সৌদি সফরে ট্রাম্পের খাবারের তালিকা
ছবি: সংগৃহীত
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবার পর তার প্রথম বিদেশ সফরে এখন সৌদি আরব আছেন। আট দিনের এ সফরে এরপর তিনি যাবেন ইসরায়েল, সেখান থেকে বেলজিয়াম, ইতালি, ভ্যাটিকান এবং সফরের শেষ অংশে রয়েছে নেটো ও জি-সেভেনের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠক।
জর্জ ডাব্লিউ বুশ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হবার পর এই কয়দিনে দুটি দেশ সফর করে ফেলেছিলেন, আর বারাক ওবামা গিয়েছিলেন নয়টি দেশে। সে জায়গায় ট্রাম্প একই সময়ের মধ্যে আমেরিকার বাইরে পা বাড়াননি। তিনি সময় কাটিয়েছেন শুধু হোয়াইট হাউসে এবং ‘মারা লেগো’ নামের নিজের এক অবকাশ যাপন কেন্দ্রে। আর এই সময় তার মাথার উপরে চেপে বসেছে নির্বাচনের সময় রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগ নিয়ে বিতর্ক।
যখন তিনি প্রার্থী হন, তখন সাংবাদিকদের বলেছিলেন- তিনি বেশি আমেরিকার বাইরে যাবেন না, কারণ আমেরিকার ভেতরেই তার প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। তবে তিনি যে সবসময়ই আমেরিকায় থাকতেই বেশি সাচ্ছন্দ বোধ করেন, নানা ঘটনা থেকে এটা পরিষ্কার।
বিবিসি সংবাদদাতা জোয়েল গান্টার বলছেন, ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণার সময় প্রায় প্রতিটি জনসভা শেষে ম্যানহাটনে নিজের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে ফিরে এসেছেন, হয় হেলিকপ্টারে নয় ব্যক্তিগত জেট বিমানে এবং তার এক সাবেক ব্যবসায়ী সহযোগী বলেছেন, ট্রাম্প তার নামাঙ্কিত কোনো ভবনের বাইরে কোথাও রাত কাটানো পছন্দ করেন না।
তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প এমন একজন ব্যক্তি যিনি নিজের সোফায় বসে ভালো একটা চিসবার্গার খেতে ভালবাসেন’। ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের বন্ধু এবং সাবেক এক উপদেষ্টা রজার স্টোন রয়টার্সকে বলেনে, ‘তিনি নিজের বিছানায় ঘুমাতে পছন্দ করেন। তার জন্য তিনি যেখানেই যান না কেন নিজের ঘরে ফিরতে বাড়তি পথ পাড়ি দিতেও রাজি থাকেন। এমনও হয়েছে মাঝ-রাত পার হয়ে গেছে, কিন্তু তিনি নিজের ফ্ল্যাটে ফিরে গেছেন।’
ট্রাম্পের সবচেয়ে পছন্দের খাদ্য স্টেক এবং টমেটো কেচআপ। বার্তা সংস্থা এপি খবর দিচ্ছে সৌদি আরবে তার জন্য স্টেক আর টমেটো কেচআপের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যদিও অতিথির জন্য রাজপরিবার থেকে স্থানীয় খাবারও তৈরি রাখা হবে। প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনের পররাষ্ট্র বিষয়ক ভাষণ-লেখক ড্যানিয়েল বেনজামিন, বিমানবাহিনীর বিমানে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বহু সফরে সঙ্গী হয়েছিলেন। তিনি বলছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য এ ধরনের সফরগুলো খুবই চ্যালেঞ্জিং হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রথমত এই সফরগুলোতে খুবই ব্যস্ত সময় কাটে। আপনি যদি হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের কাজের ধারা দেখেন, দেখবেন তিনি হুড়োহুড়ি পছন্দ করেন না। তিনি অনেক সময় নিয়ে টিভি দেখেন। কিন্তু এসব সফরে প্রচুর লোকের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করতে হয়, প্রচুর কথা বলতে হয়। সবসময়ই চলার ওপর থাকতে হয়। ওটা তার স্টাইল নয়। ট্রাম্প কিছুটা অন্য মেজাজের মানুষ।’
শেয়ার করুন