আপডেট :

        ঢাকার ভেতরে যারা আছে তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে ডিএমপি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ

        ধ্বংসযজ্ঞকারীদের বিরুদ্ধে জনগণকেই রুখে দাঁড়াতে হবে: শেখ হাসিনা

        সীমিত পরিসরে হলেও চালু থাকুক ইন্টারনেট সেবা

        চার স্টেশন বন্ধ, দুই ভাগে চলছে ট্রেন

        বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) গেটে আগুন

        বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) গেটে আগুন

        ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ভেতরে থেকে পুলিশদের উদ্ধার করতে হেলিকপ্টার

        একটি মাত্র ভিসায় ৬টি দেশ ভ্রমণ করা যায়

        প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আইনমন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমে আলোচনা করবেন আইনমন্ত্রী

        ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘিরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সড়কে যান চলাচল বন্ধ

        হামলার ঘটনাকে ‘নৃশংস’ উল্লেখ করে একের পর এক পদত্যাগ

        শুধু কোটা নয়, গোটা দেশ সংস্কার প্রয়োজন

        মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বিঘ্ন হওয়ার তথ্য জানিয়েছেন ব্যবহারকারীরা

        ইউরো শেষে পদত্যাগ করলেন সাউথগেট

        ফ্লাইওভারে সং ঘ র্ষের ঘটনায় এক তরুণ নি হ ত

        রাহুল গান্ধী পরিপক্ব রাজনীতিবিদে পরিণত হয়েছেন মন্তব্য করলেন অমর্ত্য সেন

        ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের হত্যাকারীদের বিচারের দাবী

        ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের হত্যাকারীদের বিচারের দাবী

        সিদ্ধান্ত মোতাবেক হল ছেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানালো ঢাবি কর্তৃপক্ষ

        ট্রাম্পকে জয়ী করতে মাসে ৪৫ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ইলন মাস্কের

যেভাবে আকবরকে ধরে ফেলে খাসিয়ারা

যেভাবে আকবরকে ধরে ফেলে খাসিয়ারা


মুখে চাপ দাঁড়ি, গলায় মালা। এই হচ্ছে রায়হান হত্যার প্রধান আসামি বরখাস্তকৃত এসআই আকবর হোসেনের বেশভূষা। খাসিয়ারা তাকে পায়ে ও কোমরে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখেছে।

ভারতে পালানোর সময় সিলেটের সীমান্তবর্তী কানাইঘাট উপজেলার ডনা সীমান্তে খাসিয়ারা তাকে আটক করে। পরে তাকে বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ীসহ অন্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরপর তাকে সীমান্ত এলাকায় গ্রেফতার করা হয়।

১৯ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল রফিকুল ইসলাম পিএসসি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রবিবার রাতে ভারতের মেঘালয় এলাকার শিলচরের দনা বস্তি এলাকায় আকবরকে ঘোরাফেরা করতে দেখে স্থানীয় খাসিয়ারা।

আরো পড়ুন: ‘আমাকে বাঁধবেন না, আল্লাহর কসম ভাই আমি ভাগব না’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, আটকের পর এসআই আকবরকে দনা ক্যাম্পে রাখা হয়। পরে খাসিয়ারা তাকে বাংলাদেশি এক গরু ব্যবসায়ীসহ স্থানীয় কয়েকজনের কাছে হস্তান্তর করে। এসময় আকবরের অবস্থা ছিল বিপর্যস্ত।

আটকের ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, ভারতীয় খাসিয়াদের প্রশ্নের জবাবে তিনি তার নাম আকবর বলে জানান।

‘মাত্র ১০ হাজার টাকার জন্য তোমরা মানুষ খুন করো’-এই বলে খাসিয়ারা যখন তাকে তিরস্কার করছিলেন-তখন উত্তরে আকবর বলেন, ‘আমি মারি নাই’।

খাসিয়ারা এও জানান, রায়হানকে হত্যার ভিডিও তারা নেটে দেখেছেন।

আকবর জানান, ভারতে পালিয়ে যেতে তাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন এক সিনিয়র কর্মকর্তা।

কোন অপরাধে রায়হানকে মারা হলো জানতে চাইলে বরখাস্তকৃত এই এসআই বলেন, ‘আমি মারিনি ভাই, আমি ইচ্ছা করে একা মারিনি। তারে মেরেছে ৫-৬ জন। পাবলিক মেরেছে তাই সে মরে গেছে। আমি বরং তাকে হাসপাতালে নিয়েছি। কিন্তু ওখানে সে মারা যায়। সে টাকা ছিনতাই করেছিলো।’

এসময় স্থানীয় অপর একজন বলেন, ‘আর তার জান তোমরা ছিনতাই করেছ?’

উত্তরে আকবর বলেন, ‘ভাই, আমরা জান নেইনি, বরং আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়েছি।’

এদিকে আকবর গ্রেফতারের খবর পেয়ে দুপুরে কানাইঘাটে বিপুল সংখ্যক জনতার ভিড় জমে উঠে। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে নিয়ে কড়া নিরাপত্তার সঙ্গে সিলেট জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের উদ্দেশে রওনা হয় পুলিশ।

আকবরকে সিলেট আনা হচ্ছে এমন সংবাদ প্রচার হলে সন্ধ্যায় পুলিশ সুপার অফিসের সামনে জনতার ঢল নামে। সেখানে আকবরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে জনতা স্লোগান দিতে থাকে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে আকবরকে নিয়ে পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে আসা মাত্রই একদল পুলিশ আকবরকে কর্ডন করে অফিসের ভেতর নেয়।

এসময় ফটো সাংবাদিকদের কাছে ভিড়তে দেওয়া হয়নি। তখন আকবর তার গায়ের চাদর দিয়ে মুখ ঢেকে ফেলেন।

পরে পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন উপস্থিত জনতাকে শান্ত থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, আকবরের বিচার আইনানুগভাবেই হবে। আপনরা শান্ত থাকুন ধৈর্য ধরুন।

১০ অক্টোবর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হয় রায়হানকে। এরপর ১১ অক্টোবর সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।


শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত