শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে সংবাদ , পত্রিকা অফিসে আগুন
আটকে আছে সিলেটের বড় বড় প্রকল্প : মেয়র আরিফ
ঘন বসতিপূর্ণ সিলেট মহানগরে বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে উদ্ধার কাজ ও প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের যন্ত্রপাতির সংকট রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার সিসিকের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান, সিলেটে সম্প্রতি ঘন ঘন ভূমিকম্প অনুভূত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সিসিক দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নগরে ৪টি খেলার মাঠ বা খালি স্থান তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার ৩০% নিজস্ব অর্থ সংকুলানের শর্তে ২টি মাঠ প্রস্তুতের অনুমোদন দিলেও এখনো অর্থ বরাদ্দ না দেওয়ায় প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।
সংবাদ সম্মেলনে সিসিক মেয়র আরও বলেন, সিলেট মহানগরের ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর দিন দিন নিচে নেমে যাচ্ছে। নগরবাসীর প্রতিদিন ৮ কোটি লিটার পানির চাহিদা পূরণে ২টি সার্ফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের পাশাপাশি গভীর উৎপাদক নলকূপের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। যদিও ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলনের ফলে ভূমিকম্প ঝুঁকি বাড়ে বলে বিশেষজ্ঞদের মত রয়েছে। সেজন্য চেঙ্গের খাল নদীর পানি সংগ্রহ করে ৫০ এমএলডি উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন একটি সার্ফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট তৈরির পরিকল্পনা হাতে নেয় সিসিক। কিন্তু দীর্ঘদিন হলেও সরকারের অর্থ বরাদ্দ না পাওয়া সেটিও নির্মাণের কাজ থমকে আছে।
মেয়র আরিফুল বলেন, বর্ধিত সিটি কর্পোরেশন এলাকাসহ সিসিকের উন্নয়নে ৪৫০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প সরকারের কাছে প্রস্তাব করা হলে সেই প্রকল্প ১২০০ কোটি টাকায় নামিয়ে অনুমোদন হয়েছে। কিন্তু এখনো অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।
সিলেট মহানগরে ২৩টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, উচ্চ আদালতের মামলাজনিত কারণে সিসিকের মালিকানাধীন ঝুঁকিপূর্ণ তালিকার সিটি সুপার মার্কেটই ভাঙা যায়নি। একইভাবে বেশিরভাগ ভবন মালিক ও ব্যবসায়ীদের করা উচ্চ আদালতে মামলা এবং মালিকদের ভবনের সক্ষমতা বাড়ানো আবেদনের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছে না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্তিত ছিলেন সিসিকের তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবরসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও শাখার কর্মকর্তাবৃন্দ।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন