আপডেট :

        এখনও পিআর পদ্ধতি বুঝতে পারছেন না গয়েশ্বর

        লুকানো অর্কিডের সন্ধান

        ক্যালসিয়াম কম? দুধ ছাড়া পূরণ করুন এই খাবারে

        আয়ের বড় অংশ খাদ্য কেনায় যায়: ১০% পরিবার

        তৃতীয় সিজনে অ্যালিস ইন বর্ডারল্যান্ড কেমন হলো?

        জামায়াত আমিরের উষ্ণ শুভেচ্ছা বার্তা

        পুলিশের কাছে অসংগতিপূর্ণ বক্তব্য মামুনুর রশীদের

        ফেনী-১ আসন থেকে ভোটে অংশ নিতে পারেন খালেদা জিয়া

        চোরের বদলে চোর নিয়ে সরকার করল? — ফয়জুল করীমের তোপ

        ১৭ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি

        রিকশার সমস্যার সমাধান কোথায়?

        পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের প্রস্তাব এশিয়া কাপে ভারতের জন্য

        মোদিকে কড়া জবাব ওয়াইসির

        সরকারি বালিকা স্কুলে চ্যাম্পিয়নসত্তা অর্জন

        সিলেটের গরম: ৩৭ ডিগ্রি পার, শনিবারের আবহাওয়া

        বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের মদদের অভিযোগ

        হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের উদ্বেগ

        বাংলায় ভাষণ দিচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

        টনি ব্লেয়ারের নেতৃত্বে গাজায় নতুন প্রশাসন ভাবনা

        নেতানিয়াহুর বক্তব্যে সদস্য রাষ্ট্রের ওয়াক আউট

ইকো ট্যুরিজম উন্নয়নে ১০ কোটি টাকার প্রকল্প

ইকো ট্যুরিজম উন্নয়নে ১০ কোটি টাকার প্রকল্প

এশিয়ার বৃহত্তম হাওর হাকালুকির সৌন্দর্য উপভোগের জন্য পর্যটক টানতে এখানকার হাল্লা পাখিবাড়ির (বঙ্গবন্ধু পুরস্কারপ্রাপ্ত) জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও হাওর কেন্দ্রিক ইকো ট্যুরিজমের উন্নয়নে ১০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে এই উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এমপি।

জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে কাজটি ২ বছরের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ। এ উপলক্ষে হাল্লা এলাকায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রকল্প পরিচালক এবং মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এমপি। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় তালিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমান, তালিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বিদ্যুৎ কান্তি দাস প্রমুখ।


প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও ইকো ট্যুরিজম উন্নয়নে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে কাজ করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ২৫ শতাংশ ভূমি বৃক্ষাচ্ছাদনের আওতায় আনার লক্ষ্যে দেশব্যাপী ব্যাপকভাবে গাছ লাগানো হচ্ছে। মানুষের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য বন সৃষ্টি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার কোনো বিকল্প নেই। তাই, সবার জন্য একটা স্বাস্থ্যকর দেশ গড়তে সবাইকে গাছ লাগিয়ে তার যতœ করতে হবে।’
হাকালুকি হাওরে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও ইকো ট্যুরিজম প্রকল্পের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘হাকালুকি হাওরে পরিবেশবান্ধব ইকোট্যুরিজম এখানকার পর্যটনে গতি আনবে। স্থানীয় অনেক মানুষের কর্মসংস্থান বাড়বে। বাড়বে রাজস্ব।’

মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে- পাখিদের বাসা বাঁধা, বিশ্রাম উপযোগী গাছ-পালার সংরক্ষণ ও হাওরের পরিবেশের সাথে অভিযোজিত উদ্ভিদ প্রজাতির বনায়ন সৃজনের মাধ্যমে আবাসস্থলের উন্নয়ন ও প্রাকৃতিক পুনর্জন্মের সুরক্ষা করা। পাখি সংরক্ষণ সম্পর্কিত গবেষণা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের সচেতনতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ। ইকো ট্যুরিজম পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় স্থাপনাসহ সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধিকরা ও বিকাশ সাধন। পাখিবাড়ি সংলগ্ন হাওরের উপর নির্ভরশীল স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবিকা নির্বাহের জন্য এআইজি কার্যক্রমের সহায়তায় স্থানীয় সম্প্রদায়ের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। স্থানীয় জনগণের দক্ষতা উন্নয়ন ও স্বত:স্ফুর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে হাকালুকি হাওরের পাখিকূলের দীর্ঘমেয়াদী আবাসস্থল সংরক্ষণ। অন্যদিকে, ইকো ট্যুরিজম উন্নয়নে পর্যটকদের জন্য আবাসিক রুম, রিসিপশন, সভা ও প্রশিক্ষণ কক্ষ, কিচেন ও ইনিং সম্বলিত তিন তলা বিশিষ্ট রিসোর্ট, পুরুষ ও নারীদের জন্য শৌচাগার, দুটি নন্দন প্রবেশ গেট, ফুট ট্রেইল, সাবমারসিবল ওয়াকিং ট্রেইল, আর সিসি বসার বেঞ্চ, দিক নির্দেশনামূলক সাইনেজ স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি এখানে জেটি, ইঞ্জিন চালিত ফাইবার বডি বোট, পর্যটকদের লেকে চলাচলের জন্য প্যাডেল বোট থাকবে।

এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত