মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চুরির অপবাদে
সিলেটের গোয়াইনঘাটে চুরির অপবাদ দিয়ে মক্তার আলী নামে এক যুবককে হাত পা বেঁধে ঘরের ছাদের খুঁটির সঙ্গে ঝুলিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা ঘটনায় ৪ মিনিট ২৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। নির্যাতনের শিকার ওই যুবক উপজেলার ১ নম্বর রুস্তমপুর ইউনিয়নের টকুইর গ্রামের মৃত মখন মিয়ার ছেলে মোক্তার আলী।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্যাতনের ভিডিও চাউর হওয়ার পর তাৎক্ষণিক গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের ওসি কেএম নজরুলের তৎপরতায় উপজেলার একই ইউনিয়নের নোয়াপাড়া বীরমঙ্গল গ্রামের মৃত ইসরাইল আলীর ছেলে উস্তার আলী (৪৯), মছদ্দর আলী (৫১), উস্তার আলীর ছেলে মখলিছ মিয়া (২২), এবং এরশাদ আলীর ছেলে শাহ আলম (৩৫)কে আটক করেছে থানা পুলিশ।
ভিডিওতে দেখা যায়, পুরনো একটি চুরির ঘটনার বিচার ও ঐ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার স্বীকারোক্তির জন্য যুবককে হাত-পা বেঁধে মাথা ঝুলিয়ে রেখে ঘরের ছাদের খুঁটির সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। দড়ি দিয়ে হাত পা বেঁধে পা উপর দিকে ঝুলিয়ে পায়ের তলায় লাঠি দিয়ে বেধড়ক প্রহার করছেন আটকৃতরাসহ অপরাপর কয়েকজন। ঐ সময় যুবক আর্তচিৎকার করলেও তাকে রক্ষায় কেউ এগিয়ে আসেনি। বেধড়ক নির্যাতনের কারণে মোক্তারের শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় নির্যাতনকারী ব্যক্তিরা ঐ রাত আনুমানিক ৩টায় চিকিৎসার জন্য (সিওমেক) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরদিন সোমবার ভোরে মোক্তার আলীকে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাউর হলে মোক্তার আলীকে হাসপাতালে রেখেই নির্যাতনকারীরা পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ১ নম্বর রুস্তুমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন শিহাব বলেন, মোক্তার আলীকে চুরির অপবাদে হাত পা বেঁধে নির্যাতনের খবর রাত ১২টায় জানতে পেরে আমি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করি কিন্তু তারা আমার কথায় কোন কর্নপাত না করায় বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করি।
গোয়াইনঘাট থানার ওসি কেএম নজরুল বলেন, মোক্তার আলীকে নির্যাতনের ঘটনায় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন