অসিত বরণের অপসারণের দাবিতে স্মারকলিপি
সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার অসিত বরণ দাশ গুপ্তের অপসারণের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন সিলেটের সংস্কৃতিকর্মীরা।
স্মারকলিপিতে অসিত বরণ দাস গুপ্তকে আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর হিসেবে আখ্যা দিয়ে বিভিন্ন দাবি জানানো হয়।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, অসিত বরণ দাশ গুপ্তকে সিলেট ও হবিগঞ্জ জেলার কালচারাল অফিসার পদ থেকে অপসারণ করতে হবে; নতুন কালচারাল অফিসার নিয়োগ দিতে হবে; এবং পুরাতন এডহক কমিটি বাতিল করতে হবে।
এরআগে তার অপসারণের দাবিতে সিলেটে গণসাক্ষর নেওয়া হয়। এতে সাক্ষরদাতাদের মধ্যে রয়েছেন কথাকলি থিয়েটারের সভাপতি শামসুল বাসিত শেরো, নাগরিক আন্দোলনের সংগঠক আবদুল করিম কিম, সাংবাদিক উজ্জ্বল মেহেদী, নাট্যপরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উজ্জ্বল দাস, কবি ও প্রকাশক শামস নুর, নাট্যকর্মী নীলাঞ্জন দাশ টুকু, নাট্যালোকের সভাপতি খোয়াজ রহিম সবুজ, প্রকাশক রাজীব চৌধুরী, সাংবাদিক ও সংস্কৃতিকর্মী রাজিব রাসেল, নাট্যশিল্পী উজ্জ্বল চক্রবর্তী, আলোকচিত্রশিল্পী বাপ্পী ত্রিবেদী, নাট্যকর্মী অপু মজুমদার, নাট্যকর্মী অরূপ বাউল, নাট্যকর্মী রনি দাস, নাট্যকর্মী রাজেশ্বরী বনিক, আলোকচিত্রশিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মী দেবর্ষী চক্রবর্তী, সংস্কৃতিকর্মী অচ্যুত চক্রবর্তী বর্ষণ, সংগীতশিল্পী সোনিয়া তালুকদার, কবি মালেকুল হক, গবেষক বিজিৎ দেব, জারুল সম্পাদক ও নারী এক্টিভিস্ট কাজী জিন্নুর, নাট্যকার সুফি সুফিয়ান, কবি জয় ভট্টাচার্য্য, কবি লিটন লিটু, কবি ও প্রাবন্ধিক ওয়াহিদ রোকন, গবেষক বিজিৎ দেব, নাট্য-নির্দেশক আবদুল্লাহ আশরাফ, কবি গীতিকার মেঘদাদ মেঘ, শিক্ষক ও গবেষক আবদুল লতিফ, প্রকাশক কামরুল আলম, প্রকাশক লুৎফুর রহমান তোফায়েল, সংগীত পরিষদের সদস্য মামুন পারভেজ, সাংবাদিক মুনশি ইকবাল, নাট্যকর্মী মামুন খান, গল্পকার ও সংগঠক সাখাওয়াত হোসেন শাকিল, প্রাবন্ধিক আনোয়ারুল ইসলাম, ছড়াকার শাহাদত বখত শাহেদ, কবি মো. সুয়েজ হোসেন, দুলাল শর্মা চৌধুরী, সংস্কৃতিকর্মী ফারদিন লিয়াকত অপুর্ব, চলচ্চিত্র নির্মাতা লায়েক আহমদ পবন, নাট্যকর্মী পপি দে প্রমুখ।
অসিত বরণ দাস গুপ্তের বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে রয়েছে সাম্প্রদায়িক আচরণ, নারীর শ্লীলতাহানি, শিল্পীর সম্মানী আত্মসাৎ ও ভীতিপ্রদর্শন থেকে শুরু করে নাট্যকর্মীদের শিল্পকলা একাডেমির হল বুকিং না-দেওয়া।
সংস্কৃতিকর্মীদের অভিযোগ, অসিতের একছত্র আধিপত্যের কারণে কোনও সংস্কৃতিকর্মী শিল্পকলা অডিটোরিয়াম ব্যবহারের সুযোগ পেত না, শুধু তার পছন্দের মানুষ ছাড়া। সিলেট শহরের প্রধান অডিটোরিয়াম প্রায় বিকল হবার পরও শিল্পকলায় কোনও সংস্কৃতিকর্মী প্রোগ্রাম করার সুযোগ পায়নি। বেশ কয়েকটা পত্রিকায় তার ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে নিউজসহ তার বিরুদ্ধে নানাজনের অভিযোগপত্র প্রেরণ করা হয়। তাদের দাবি—অসিতকে যথাসময়ের মধ্যে অপসারণ না-করলে তারা এই শান্তিপূর্ণ আচরণে থেকে বের হয়ে কঠিন প্রদক্ষেপের দিকে ধাবিত হবেন।
স্মারকলিপির অনুলিপি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় বরাবর প্রেরণ করা হবে বলে জানান সংস্কৃতিকর্মীরা।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন