আপডেট :

        দীর্ঘ অভিজ্ঞতার পরও এড়ানো গেল না বিমান দু র্ঘ ট না

        স্বাস্থ্যসেবার কেন্দ্রেই অবহেলা স্বাস্থ্যবিধি

        পাকিস্তানের শোকবার্তা: ভারতীয় বিমান দু র্ঘ ট না

        পাচার হওয়া অর্থের তথ্য সংগ্রহে বড় চ্যালেঞ্জ: মন্তব্য

        এ টি এম আজহারুল: ‘জনসমর্থন থাকলে পালানোর প্রশ্নই ওঠে না’

        নির্বাচনী কাঠামো পরিবর্তন ছাড়া নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন অসম্ভব

        তারেক রহমান জানালেন ভারত বিমান দু র্ঘ ট না র জন্য শোক

        একতরফা নির্বাচন নিয়ে সরব জিএম কাদের

        আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ব্যাটারি হেলথ কেমন?

        জোভানের ‘আশিকি’ দখল করল ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষ স্থান

        ‘কোন একদিন’ দিয়ে ফিরলেন আফজাল-মৌ জুটি

        আমিরের সঙ্গে পর্দায় ফিরছেন জেনেলিয়া

        অবশেষে অনুদানের অর্থ ফেরত দিতে বাধ্য শাকিব খান

        সমু চৌধুরী উদ্ধার: পুলিশ জানালো ঘটনার বিবরণ

        হামজারা এখনও এশিয়ান কাপের দৌড়ে টিকে আছে

        শান্তর মন্তব্য: টেস্ট ফাইনাল নয়, এখন মনোযোগ প্রক্রিয়ায়

        ফিফা র‍্যাংকিংয়ে উন্নতির ঝলক বাংলাদেশের নারী ফুটবলে

        শান্তর সরে দাঁড়ানো: ব্যাটিং ফোকাসেই সিদ্ধান্ত

        লেভানদোভস্কি-কোচ বিরোধ: পোল্যান্ড কোচ সরে দাঁড়ালেন

        ব্লেন্ডার ছাড়াই টিকিয়া বানানোর মজার রেসিপি

উজানের ঢলে ফুঁসছে ধলাই বাঁধ

উজানের ঢলে ফুঁসছে ধলাই বাঁধ

কমলগঞ্জের প্রান্তিক জনপদে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে ফুঁসে ওঠা ধলাই নদী। গত বছরের ভাঙনের ক্ষত না সারতে চলতি মৌসুমে আবারও ভাঙন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয়দের মাঝে। স্থানীয়রা বলছেন, দ্রুত বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত স্থান মেরামত করা না হলে আগ্রাসী নদীর হানা সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে।
খরার রুক্ষতা না কাটতেই টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ি ছরা ধরে উপজেলার নিম্নভাগের সমতল অংশের দিকে ধেয়ে আসতে শুরু করেছে ঢলের পানি। পানি যত বাড়ছে ততই ক্রুদ্ধ রূপ ধারণ করছে খরস্রোতা ধলাই নদী। ঢলের ধাক্কায় এবারও বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আতঙ্কে আছেন স্থানীয়রা।
কয়েক বছরের ভয়াবহ বন্যায় রামপাশা, রামপুর, নারায়ণপুর, চৈতন্যগঞ্জ, কুমড়াকাপন, কান্দিগাঁওসহ প্রায় ১০ থেকে ১২টি গ্রাম তলিয়ে যায়। নদীভাঙনের কারণে ইতোমধ্যে রামপাশা গ্রামের ৪০ থেকে ৫০টি বাড়ি ও ফসলিজমি নদীতে বিলীন হয়েছে। সম্প্রতি স্থানীয়রা পৌর এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বাঁধসংলগ্ন এলাকায় বাঁধ নির্মাণ, জিও ব্যাগ ডাম্পিং দাবিতে ছাইয়াখালী হাওর 
পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেড ও এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছেন।
পৌর এলাকার রামপাশা এলাকা বিগত বছরের বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে ধলাই নদীর রামপাশা এলাকায় বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। যার কারণে এরইমধ্যে নদীতীরবর্তী আব্দুন নূর চৌধুরী, আব্দুর রব চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক চৌধুরী, এম. আর. খান, হারিছ মিয়া, আজিদ মিয়া, জমির মিয়া, রহিম মিয়া, করিম মিয়া, আলমগীর মিয়া, আশিক মিয়া, আরফান মিয়া, রাজু মিয়া, তাজুদ মিয়া, রমজান মিয়া, লটা মালাকার, নিখিল মালাকার, মনীন্দ্র মালাকার, জয়ধন মালাকার, জোগীন্দ্র মালাকার, হায়দর মিয়া, রবেন্দ্র মালাকার, প্রাণেশ কুমার পাল, প্রবেশ কুমার পাল, পরিতোষ কুমার পাল, প্রদীপ কুমার পাল, মণি দেবনাথ, সুনীল দেবনাথ, মাহমুদা বেগম, আক্তার মিয়া, বিরাই বক্স, মতলিব বক্স, মনির বক্স, মন্নান বক্স, আলিজ্জামান, বিকুল কুমারসহ আরও অনেক পরিবারের ভিটা-সম্পদ সব গেছে নদীভাঙনে।
আসন্ন বর্ষা মৌসুমেও বন্যার আশঙ্কা করছেন রামপাশাসহ নদীতীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। এদিকে রামপাশা এলাকায় প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণের দাবিতে গ্রামবাসী মানববন্ধন করেছেন। স্থানীয় জামায়াত নেতা সৈয়দ ইব্রাহিম মোহাম্মদ আবদুহুসহ অনেক নেতাকর্মী বাঁধের জন্য স্থানীয়দের পক্ষ থেকে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছেন বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসী।
এলাকাবাসী জানান, প্রতি বছর ধলাই নদীর ভাঙনের কারণে রামপাশা এলাকা বিলীন হতে চলেছে। গত বছর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে প্রতিরক্ষা বাঁধ এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছিল। সেগুলো তলিয়ে গেছে আরও আগেই। বর্তমানে সে সব স্থান ঝুঁকিপূর্ণ। পানি বাড়লে বাঁধ ভেঙে ১০ থেকে ১২টি গ্রামসহ বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড, মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী খালেদ বিন অলীদ সমকালকে জানান, ধলাই নদীসংলগ্ন বাঁধের ভাঙা অংশ মেরামতের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ এলেই কাজ শুরু হবে।

 

 

এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত