মোব কালচারে’ নির্বাচনের চেতনা নষ্ট: জামায়াত আমির শফিকুর রহমান
সিলেটে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী সন্তান জন্ম দিলেন! প্রতারক প্রেমিকের টালবাহানা
সিলেটের ওসমানীনগরে ৬ষ্ঠ শ্রেনির ছাত্রীর সন্তান প্রসব নিয়ে এলাকায় তোড়পাড় চলছে। স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ এলাকায় কয়েক দফা শালিশ বৈঠকের পরও প্রতারক প্রেমিক তাজপুর ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থী সাবুল মিয়া (বুলু) স্ত্রীর স্বীকৃতি দিতে নানা টালবাহানা করে আসছে। সন্তানের পৈত্রিক স্বীকৃতির বিচার চেয়ে নির্যাতিতা দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।
এব্যাপারে ওসমানীনগর থানার দয়ামীর ইউনিয়নের শনির গাঁও (সরিষপুর) গ্রামের সিরাজ মিয়ার মেয়ে ভিকটিম লিজা বেগম (১৫) বাদি হয়ে নারি ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং ৬১/ ২০১৪ইং
মামলার অভিযোগে জানা যায়, ওসমানীনগরের দয়ামীর ইউ/পি শনির গাঁও গ্রামের সিরাজ মিয়ার ৬ষ্ট শ্রেনীতে পড়ুয়া কন্যা লিজা বেগমের সাথে গত দেড় বছর থেকে একই বাড়ির চাচাতো ভাই তাজপুর ডিগ্রী কলেজের ছাত্র সাবুল মিয়া (২৫) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক মেলামেশা করে আসছে। এতে সে অর্ন্তঃসত্বা হয়ে পড়লে প্রতারক সাবুল মিয়া নানা টালবাহানা করতে থাকে গত ১৯ মার্চ লিজার গর্ভে একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়।
এরপর কয়েক দফা শালিশ বৈঠকে লিজাকে স্ত্রীর স্বীকৃতি দিয়ে ঘরে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। প্রথম সালিশ বৈঠকে সাবুলসহ তার পরিবারের লোক লিজাকে বউ করতে রাজি হলেও পরবর্তীর্তে এলাকার একটি কুচক্রী মহলের ইন্দনে সাবুল ও তার পরিবারের লোকজন নানা প্রতাররণার আশ্রয় নিতে থাকে।
অবশেষে অসহায় ভিকটিম লিজা ও তার পরিবার প্রথমে স্থানীয় পঞ্চায়েত, দয়ামীর ইউনিয়ন পরিষদ, ওসমানীনগর থানা, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন অবগত করে বুলুর কাছ থেকে তার গর্বজাত সন্তানের সন্তানের স্বীকৃতি না পেয়ে নিরুপায় হয়ে সিলেট নারি ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা দায়ের করেছে। বর্তমানে সন্তানের স্বীকৃতির জন্য লিজা এলকার সালিশ ব্যাক্তিত্বসহ প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
দয়ামির ইউ/পি চেয়ারম্যান আব্দুল হাই মোশাহিদ জানান, আমরা শুরু থেকে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেছি, কিন্তু একটি মহল উভয় মহলকে রাজি সম্মত করতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্ঠি করেছে। বিষয়টি সামাজিক ভাবে শেষ করাই ভালো।
ওসমানীনগর থানার ওসি জুবের আহমদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি বেশ কিছু দিন ধরে শুনে আসছি। ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের ওসিসি বিভাগ থেকে প্রেরিত রিপোর্টের কপি লুকিয়ে রেখে একটি মহল লোকের কাছ থেকে চাদাবাজি ও ভয়ভীতি দেখিয়েছে। অফিসের সীলগালা কপি অন্য কেউ আনার বা খোলার অধিকার নেই। কিন্ত অনেক নাটকের পর কয়েক মাস পরে আমার কাছে দেয়। থানায় পৌছানোর কথা বলে তারা প্রতারণা করেছে।
শেয়ার করুন