রেডিয়াল সিদ্ধান্ত: নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগে আইএইএ কর্মকর্তাদের তেহরান ত্যাগ
গাইলেন, ঘুমালেন, ধূমপানও করলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী!
সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী এবার মঞ্চে গান গাইলেন, ঘুমালেন এবং মানবদেয়াল তৈরি করে মঞ্চের পেছনে ধূমপানও করলেন। শনিবার কুমিল্লার একটি মতবিনিময় সভায় এসব কাণ্ড করে আবারও আলোচনায় সমাজকল্যাণমন্ত্রী।এর আগে ২৭ জানুয়ারি মৌলভীবাজার-৩ সংসদীয় আসনের এ সংসদ সদস্য সিলেটে একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মঞ্চে প্রকাশ্যে ধূমপান করে ব্যাপক সমালোচনার মুখোমুখি হন।গতকাল শনিবার কুমিল্লায় মহানগরীর মুন্সেফ কোয়ার্টারের অবস্থিত প্রস্তাবিত খায়রুন নেছা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চতুর্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে হাসপাতাল আঙিনায় আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখার সময়ও মঞ্চে ঘুমিয়ে পড়েন সমাজকল্যাণমন্ত্রী।
এমপি বাহার যখন তার বক্তব্যে বলছিলেন- বঙ্গবন্ধু এ জাতিকে জাগিয়েছেন। মাও সেতুং চীনের ঘুমন্ত জাতিকে জাগিয়েছেন। এ জাতিকে জাগাতে সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে। এসময় মঞ্চে বসা সমাজকল্যাণমন্ত্রীকে ঘুমাতে দেখা যায়।অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় সমাজকল্যাণমন্ত্রী একটি গানও গেয়েছেন। ‘আজ হলো শনিবার কাল কোন কাজ নেই, রাত জেগে তোমাকেই ভাবছি; নগরের আনাচে যান্ত্রিক গোলযোগে কল্পনা মায়াজাল বুনছি’ গানটি বেসুরা গলায় গাওয়ার পর উপস্থিত অতিথিরা হাসিতে ফেটে পড়েন। এসময় মন্ত্রী বলেন, ‘এটি কোনো প্রেমের গান নয়, সমাজতন্ত্রের গান।’
সমাজ পরিবর্তনে কাজে লাগবে এমন পরিশ্রমী মানুষ দেশের প্রয়োজন উল্লেখ করে বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘কেবল তখনই বাংলাদেশ মালয়েশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার চেয়ে উন্নত দেশ হতে পারবে।’মন্ত্রীর আরও জানান, আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং কৃষক লীগের সংঘর্ষ ও খুনোখুনির খবর পত্রিকায় পড়ে তিনি মর্মাহত।তিনি বলেন, ‘শৃঙ্খলা শৃঙ্খলাই এবং নির্দেশ নির্দেশই। আমরাও ছাত্রলীগে ছিলাম। কিন্তু আমরা নেতাদের নির্দেশ মেনে চলেছি। তোমরা নিজেদের স্বার্থে সংঘর্ষ ও খুনোখুনিতে জড়াচ্ছো। এটা ঠিক নয়। বঙ্গবন্ধু এসব করার জন্য ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেননি।’
হাসপাতালটির জন্য মন্ত্রী ২ কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা দেন অনুষ্ঠানে।মন্ত্রীর বক্তব্যের সময় ছবি তুলতে গেলে তিনি ফটোগ্রাফারদের সরে যেতে বলেন। অনুষ্ঠানের এক ফাঁকে মঞ্চের পেছেন গিয়ে মন্ত্রী ধূমপান করেন। এসময় কেউ যেনো ছবি তুলতে না পারে সে জন্য তার পাশে নিজস্ব লোকজন মানব প্রাচীর গড়ে তোলে।সাংবাদিকদের ‘খবিশ’ বলেও আরেকবার তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী। ৯ আগস্ট সাংবাদিকদের সমালেচনা করতে গিয়ে তিনি আরও বলেছিলেন, সাংবাদিকরা অশিক্ষিত এবং চরিত্রহীন।’
শেয়ার করুন