আটককেন্দ্রে মেক্সিকান অভিবাসীর মৃত্যু, চলতি বছরে আইসিই হেফাজতে ১৪তম প্রাণহানি
সিলেটে শপিংমলে ভয়াবহ আগুন
সিলেট নগরের জিন্দাবাজারস্থ কাকলি শপিং সেন্টারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে ৮ম তলার দেয়ালের বেশকিছু ডেকোরেশন ও দোকানের আসবাবপত্র পুড়ে অন্তত পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
বুধবার রাত ৭টায় ৮ম তলায় সিগারেটের অবশিষ্টাংশ থেকে কাগজে আগুন লাগে। এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে আগুনের কারণে আগত ক্রেতারা হুড়োহুড়ি করে সিঁড়ি ও লিফট ব্যবহার করে মার্কেট ত্যাগ করেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, সন্ধ্যায় কাকলি সেন্টারের ৮ম তলায় মার্কেটেরই কেউ আড্ডা দিচ্ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, অজ্ঞাত ওই ব্যক্তি সিগারেট ফুঁকে টুকরো ফেলে দেন ওই তলায় সংরক্ষিত কাগজে। কাগজ থেকে আগুন দ্রুত আসবাবপত্রে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ধোঁয়ার কুণ্ডলী উড়ে মার্কেটের বাইরে আসছিল। পোড়া গন্ধও ছড়িয়ে পড়ে।
পথচারীরা আগুন দেখে মার্কেটের ব্যবসায়ীদের অবগত করলে মুহূর্তেই মার্কেটে আতঙ্ক দেখা দেয়। আগত ক্রেতাদের মধ্যেও আতঙ্ক বিরাজ করে। দিগ্বিদিক দৌড়াদৌড়ি করে ক্রেতারা মার্কেট থেকে বেরিয়ে যান। ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে দেন। কিছু ব্যবসায়ীরা আগুন নেভাতে ওপরে ৮ম তলায় যান। পাশের ব্লু-ওয়াটার মার্কেট থেকে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট গাড়িসহ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। দমকল কর্মী ও ব্যবসায়ীরা মিলে ৮ম তলায় আগুন নেভাতে কাজ শুরু করেন। অন্তত ১৫ জন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পানি ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। কিন্তু ততক্ষণে আগুনে মার্কেটের ৩ লাখ টাকার আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। একই সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বিকিকিনি বাবদ আরো ২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তারা।
কাকলি শপিং সেন্টারের বণিক সমিতির সহ-সভাপতি গাজী আবদুল মাবুদ জানান, সিগারেটের টুকরো থেকে কাগজে আগুন লাগে। ৮ম তলায় কোনো দোকান ছিল না। খালি ফ্লোরে কিছু আসবাবপত্র ছিল। তা পুড়েছে। এছাড়া বেশি কোনো ক্ষতি হয়নি। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ও ব্যবসায়ীরা মিলে আগুন নেভাতে সক্ষম হন।
সিলেট ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, কেউ কাগজে সিগারেটর টুকরো ফেলেছিল। এতে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি গাড়িতে ১২ জন কর্মী এসে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভান। ক্ষতি ৫ লাখ টাকার। আগুনে উদ্ধার পুরো মার্কেট। এমনকি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে পাশের ব্লু-ওয়াটার মার্কেটেও ছড়ানোর আশঙ্কা ছিল।
এলএবাংলাটাইমস/এস/এলআরটি
শেয়ার করুন