মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে ফেসবুক
ছবি: এলএবাংলাটাইমস
ফেসবুকের সাবেক কর্মচারী ফ্রান্সেস হোগেন দাবি করেন, ফেসবুক বাচ্চাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি সমাজে বিভেদ তৈরি করে।
৩৭ বছর বয়সী ফ্রান্সেস হোগেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটিতে প্রডাক্ট ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন। সিনেট কর্তৃক আয়োজিত এক শুনানিতে ফ্রান্সেস যোগাযোগ মাধ্যমটির কড়া সমালোচনা করেন।
ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ এই সকল অভিযোগের বিরোধীতা করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য, সুরক্ষা ও পরিচর্যাকে গুরুত্ব দেই। এরকম বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেখা আমাদের জন্য কষ্টদায়ক।‘
ফেসবুক পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। বিশ্বজুড়ে ২৭০ কোটি মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে থাকে। এর পাশাপাশি প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ কোম্পানিটির অন্য যোগাযোগ মাধ্যম যথাঃ ওয়াটসএপ ও ইনস্ট্রাগ্রাম ব্যবহার করে। কিন্তু কোম্পানিটি বারবার সমালোচনার শিকার হয়।
হোগেন জানান, তিনি অনেকগুলো অভ্যন্তরীণ নথি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেন। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল সেগুলো বিশ্লেষন করে জানতে পারে যে ইন্সট্রাগ্রাম কিশোরীদের ওপর বাজে মানসিক প্রভাব ফেলতে পারে।
মঙ্গলবারে (৫ অক্টোবর) হোগেন তাঁর স্বীকোরক্তিতে বলেন, ‘কোম্পানিটির শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা জানেন কিভাবে তাঁরা ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামকে নিরাপদ বানাতে পারবেন। কিন্তু, তাঁরা সেটি করার চেয়ে নিজেদের লাভটাকেই প্রাধাণ্য দেন।‘
তিনি আরো জানান, মার্ক জুকারবার্গ কারো কাছেই জবাবদিহিতা করতে চান না।
মার্ক জুকারবার্গ একটি বিবৃতিতে জানান যে ইনস্ট্রাগ্রাম সম্পর্কিত তথ্যটি ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। ইনস্ট্রাগ্রাম বাচ্চাদের ওপর ভালো প্রভাবও ফেলে। তবে তিনি এটি জানান যে, কোম্পানি নিরাপদ ও সুরক্ষিত পরিবেশ তৈরিতে বদ্ধপরিকর।
মঙ্গলবার রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাটিক উভয় পক্ষই কোম্পানিটিতে পরিবর্তনের আনার প্রয়োজনের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ ছিলেন।
ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর রিচার্ড ব্লুমেন্থাল বলেন, ' ফেসবুকের খারাপ প্রভাব একটি প্রজন্মকে তাড়া করবে'।
রিপাবলিকান ড্যান সুলিভান বলেছেন, ‘বিশ্ব পিছনে ফিরে তাকাবে আর ভাববে, আমরা কি করছিলাম।‘
শুনানির পর ফেসবুক এক বিবৃতিতে জানায় যে তাঁরা মিস হোগেনের বক্তব্যের সাথে একমত নয়। তবে তাঁরা এটি স্বীকার করে যে ইন্টারনেটের জন্য সার্বজনীন নিয়ম তৈরি করা দরকার।
বিবৃতি বলা হয়, ’২৫ বছর আগে ইন্টারনেটের জন্য নীতিমালা তৈরি করা হয়েছিলো যা এখন নবায়ন করা দরকার। কংগ্রেসের উচিত এখনই কাজ করা।‘
জুকারবার্গ জানান, হোগেন খারাপ ফলাফলগুলোকে তুলে ধরে ভাল ফলাফলগুলোকে আড়াল করতে চান। তিনি জানান, এর কারণে ভবিষ্যতে ইন্টারনাল রিসার্চ করার ব্যাপারটি আরো বেশি গোপনীয়তা পাবে।
এলএবাংলাটাইমস/এমডব্লিউ
শেয়ার করুন