আপডেট :

        ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটসের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে দেওয়া হল একহাজার টাকার খাম

        যুক্তরাজ্যে বিদেশি শিক্ষার্থীদের পরিবার নেওয়ার পথ বন্ধ হচ্ছে

        পাকিস্তানের কোনো প্রস্তাবেই রাজি নয় ভারত

        এরদোয়ানকে বাইডেন-পুতিন-জেলেনস্কির অভিনন্দন

        কিয়েভে ফের রাশিয়ার বিমান হামলা

        ফের তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী এরদোয়ান

        শেষ দফার ছাঁটাই শুরু মেটায়

        সাদা নাকি লাল, কোন চিনি খাবেন?

        বিকালের নাশতায় পটেটো ওয়েজেস

        হুমায়ুন ফরীদি: অভিনয়ের সঙ্গে তার যেসব কথা রয়ে গেছে

        সার্বিয়ায় সামান্থার সঙ্গী বলিউড নায়ক বরুণ ধাওয়ান

        আমাদের নিয়ে যা যা রটছে, তার ভিত্তি নেই- সৃজিত

        খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের নতুন তারিখ

        মারধরের অভিযোগের মামলায় তিন মাসের আগাম জামিন পেলেন নিপুন রায়

        নিখোঁজের পরের দিন দুই শিশুর লাশ ভেসে উঠল পুকুরে

        সিলেটে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস পালিত

        সিলেটে ছুরিকাঘাতে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহত

        বাংলাদেশ আর সংঘাত চায় না, জীবনযাত্রার মানের উন্নতি চাই: প্রধানমন্ত্রী

        আজ বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় দ্বিতীয় ঢাকা

        আনোয়ারুজ্জামানের পর মেয়র আরিফের বাসায় সৌজন্য সাক্ষাতে বাবুল

অত্যাধিক মোবাইল ব্যবহারে যে বিপদ হতে পারে

অত্যাধিক মোবাইল ব্যবহারে যে বিপদ হতে পারে

শুধু পথঘাটে নয়, ট্রেনে, বাসে এমনকি, ঘরোয়া আড্ডায় সবর্ত্রই ঘাড় গুঁজে মোবাইল ঘেঁটে চলেছেন অনেকে। এমন দৃশ্য নতুন নয়। এটাই এখন যেন জীবনচর্চায় পরিণত হয়েছে। আর তার হাত ধরেই নানা ধরনের অসুখ হানা দিচ্ছে জীবনে। চিকিৎসা বিজ্ঞান যে রোগের নাম দিয়েছে ‘টেক্সট নেক’।

সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, ৮ শতাংশ মানুষ এই অসুখের শিকার। ৩৫ শতাংশ এই অসুখের কথা জেনেও সচেতন নন। আর প্রায় ২১ শতাংশ একেবারে অসুখের দোরগোড়ায় এসে হাজির হয়েছেন।

এই অসুখে মেরুদণ্ড চিরতরে বেঁকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। শুধু তাই নয়, ঘাড় এবং গলার হাড় ও স্নায়ুর উপর চাপ পড়ে তা চিরতরে ঝুঁকিয়ে দিতেও পারে। শরীর কত ডিগ্রি সামনের দিকে ঝুঁকে আছে, তার উপর নির্ভর করবে ঘাড় ও গলা কতটা ওজন বইবে। মাথা নিচু করে মোবাইল ঘাঁটার সময়ে ঘাড় মোটামুটি ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রি ঝুঁকে থাকে। এতে চাপ পড়ে মেরুদণ্ডের উপর। দীর্ঘ দিন ধরে এমন চলতে থাকলে এক সময়ে সামনের দিকে ঝুঁকে যায় মেরুদণ্ড। ঘাড় বেঁকে যাওয়া, গলা এবং ঘাড় পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়া- এমন মারাত্মক কিছু পরিণতি হতে পারে।

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই অসুখ সারাতে হলে একটাই উপায়, তা হল মোবাইল ব্যবহারে রাশ টানা। না হলেই বয়সের সঙ্গে সঙ্গে এ অসুখ থাবা বসাবে যে কোনো সময়ে। সারাক্ষণ এভাবে ঘাড় গুঁজে মোবাইল ঘাঁটতে নিষেধ করছেন স্বয়ং এর আবিষ্কারক কুপার। এতে নানা রকম বিপদ হতে পারে। মোবাইল যিনি আবিষ্কার করেছেন, তিনিই সেই যন্ত্রের অতিরিক্ত ব্যবহার নিয়ে সরব হয়েছেন।

সত্তরের দশকে ‘মটোরেলা ডাইনাট্যাক ৮০০০এক্স’ মোবাইল ফোনটি দিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল। আজ সেই যন্ত্র বদলে দিয়েছে গোটা দুনিয়াকে। আর সেই মোবাইল ফোনের অন্যতম স্রষ্টা স্বয়ং মার্টিন কুপার দিনে খুব অল্প সময় ফোন ব্যবহার করেন। প্রথম ‘ওয়্যারলেস ফোন’ আবিষ্কার করে গোটা বিশ্বে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। অথচ স্রষ্টাই মোবাইল ফোনের অত্যধিক ব্যবহার নিয়ে সরব হয়েছেন বারবার।

কুপারের মতে, ‘জীবনকে উপভোগ করতে গেলে মোবাইল ফোনের ব্যবহার কমাতে হবে।’ মোবাইল ফোন এখন জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে। কারণে হোক কিংবা অকারণে, দু’চোখ সব সময়েই মোবাইলের পর্দায় আটকে রয়েছে। সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে মার্টিন বলেছেন, ‘মন ভেঙে যায়, যখন দেখি কেউ মোবাইল দেখতে দেখতে রাস্তা পার হচ্ছেন।’

 


এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত