সংকট মোকাবিলায় সেনাসদস্যদের তত্ত্বাবধানে—নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে দুই মাস
পৃথিবীতে ফিরল স্পেসএক্স-এর ড্রাগন স্পেসক্রাফট
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
রাত ১০টা ৪৪ মিনিটে প্রশান্ত মহাসাগরে অবতরণ, বিকট শব্দে কেঁপে উঠল ওশেনসাইডসহ আশপাশের এলাকা
দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার অনেক বাসিন্দা শনিবার (২৪ মে) রাত ১০টা ৪৪ মিনিটের দিকে একটি বিকট শব্দে চমকে ওঠেন। জানা গেছে, এটি ছিল স্পেসএক্স-এর ড্রাগন স্পেসক্রাফটের পৃথিবীতে ফিরে আসার সময় সৃষ্টি হওয়া একটি সোনিক বুম। স্পেসএক্স তাদের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে জানায়,
“ড্রাগন প্রশান্ত মহাসাগরে অবতরণের আগে একটি সংক্ষিপ্ত সোনিক বুমের মাধ্যমে তার আগমন ঘোষণা করবে।” এই সময় ড্রাগন দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার ওশেনসাইড উপকূলের কাছে প্রশান্ত মহাসাগরে ‘স্প্ল্যাশডাউন’ করে। এতে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে পোষা প্রাণীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
স্পেসএক্স-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অনুসারে, ড্রাগন একমাত্র সক্রিয় স্পেসক্রাফট যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কার্গো পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম। এটি ছিল প্রথম বেসরকারি মহাকাশযান যা মানুষকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছে দেয়।
নাসা জানায়, ২২ এপ্রিল ড্রাগন মহাকাশ স্টেশনে প্রায় ৬,৭০০ পাউন্ড সরঞ্জাম, বিজ্ঞান বিষয়ক গবেষণা সামগ্রী এবং অন্যান্য মালামাল সরবরাহ করে। এরপর ২৩ মে, শুক্রবার, স্পেসএক্স-এর গ্রাউন্ড কন্ট্রোল টিম ড্রাগনকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের হারমনি মডিউল থেকে বিচ্ছিন্ন করে, যা ছিল তার পৃথিবীতে ফেরার যাত্রার সূচনা।
রাত ১০টা ৪৬ মিনিটে স্পেসএক্স নিশ্চিত করে যে ড্রাগনের ‘স্প্ল্যাশডাউন’ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ছিল স্পেসএক্স-এর ৩২তম বাণিজ্যিক রিসাপ্লাই মিশন (CRS-32)।
এলএবাংলাটাইমস/এজেড
শেয়ার করুন