চাহিদা কমলেও দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় বাড়ির দাম এখনো আকাশচুম্বী
টিকটকের নিষেধাজ্ঞা ফের বাড়াচ্ছেন ট্রাম্প: তিন মাসের জন্য সময়সীমা বৃদ্ধি
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক অন্তত আরও তিন মাস চলবে, কারণ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিষেধাজ্ঞা বা বিক্রির সময়সীমা আবার বাড়াতে যাচ্ছেন। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শিগগিরই নতুন একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন। এর ফলে টিকটক যুক্তরাষ্ট্রে সচল থাকবে। এটি হবে সময়সীমা বাড়ানোর তৃতীয় পদক্ষেপ।
চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্স যদি যুক্তরাষ্ট্রে কোনও প্রতিষ্ঠানকে টিকটক বিক্রি না করে, তবে অ্যাপটি নিষিদ্ধ হওয়ার কথা ছিল। জানুয়ারি ছিল সেই বিক্রির শেষ সময়সীমা। কিন্তু এখন সেই সময় আরও ৯০ দিন বাড়ানো হচ্ছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ব্যবহারকারীদের তথ্য নিরাপদ রাখতে একটি চুক্তি সম্পন্ন করার প্রয়োজন।
বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, সময়সীমা বাড়ানোর জন্য সম্ভবত চীনের অনুমতি প্রয়োজন হবে। তবে তিনি আশাবাদী যে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং অনুমতি দেবেন। তিনি আরও বলেন, সময় বাড়ানোর জন্য তার প্রশাসনের কাছে পর্যাপ্ত আইনি ভিত্তি রয়েছে। এই ঘোষণাটি কংগ্রেসের পাসকৃত আইন ও মতামতের বিরোধী।
এর আগে কংগ্রেস যে বিক্রি না হলে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে এমন আইন পাস করেছিল, সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সেটিতে স্বাক্ষর করেন। তবে ট্রাম্পের বারবার সময় বাড়ানোতে অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, বাস্তবে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না। ফোরেস্টার বিশ্লেষক কেলসি চিকেরিং বলেন, টিকটকের বর্তমান অবস্থান ও আত্মবিশ্বাস দেখেই বোঝা যাচ্ছে তারা ভবিষ্যৎ নিয়ে মোটেই চিন্তিত নয়।
টিকটক সম্প্রতি ফ্রান্সের কানে নতুন এআই ভিডিও টুলও উন্মোচন করেছে, যা তাদের আত্মবিশ্বাসেরই প্রমাণ। অন্যদিকে, ছোট ভিডিও প্ল্যাটফর্মগুলো যেমন স্ন্যাপ এই সুযোগে জনপ্রিয়তা বাড়ানোর চেষ্টা করতে পারে। তবে বিশ্লেষকদের মতে, টিকটকের শক্তিশালী অবস্থানের কারণে তারা সফল হবে না। কারণ, এই দফায় টিকটকের ভবিষ্যৎ তেমন অনিশ্চিত নয়।
টিকটক বিক্রির বিষয়ে এখন পর্যন্ত একটি চুক্তি সম্পন্ন হয়নি, তবে আলোচনায় রয়েছে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রয়েছে ওরাকল কোম্পানি, যার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ। এছাড়াও আছেন ধনকুবের ফ্রাঙ্ক ম্যাককোর্ট, কেভিন ও’লেরি, অ্যালেক্সিস ওহানিয়ান এবং ইউটিউবার MrBeast। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।
২০২০ সালে ট্রাম্প প্রথমবার টিকটক বিক্রির জন্য চাপ দেন। তবে ২০২৪ সালের নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পাওয়ার কারণে এখন ট্রাম্পের মনোভাব কিছুটা নরম। তিনি বলেন, টিকটকের জন্য তিনি তরুণদের কাছে ৩৪ পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন। যদিও অধিকাংশ তরুণ ভোটার কমলা হ্যারিসকে সমর্থন করেছিলেন, তবুও ট্রাম্প অ্যাপটির গুরুত্ব স্বীকার করেন।
এই সময়সীমা বৃদ্ধির ফলে আপাতত টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা নেই। তবে চূড়ান্ত বিক্রি না হওয়া পর্যন্ত বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত নয়। টিকটক ও বাইটড্যান্স এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। আপাতত যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীরা টিকটক ব্যবহার চালিয়ে যেতে পারবেন।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন