পলাতক পুলিশ কর্মকর্তাদের শাস্তি: সরকার প্রত্যাহার করল সম্মাননা
ইনকগনিটো মোডের সীমাবদ্ধতা: যা আপনার জানা দরকার
ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহারকারীদের সম্পর্কে প্রচুর তথ্য জানে এবং তা সংরক্ষণ করে থাকে। যেমন অনলাইনে কোনো ব্যক্তি যখন কোথাও ভ্রমণের খোঁজ করেন তখন কিছুক্ষণের মধ্যেই বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও ফেইসবুক ফিডে ওই এলাকার হোটেল, টুরিস্ট স্পট আর বেড়ানোর প্যাকেজের বিজ্ঞাপন ভেসে ওঠে।
এমন পরিস্থিতিতে অনেকে ব্রাউজারের ইনকগনিটো বা প্রাইভেট মোড ব্যবহার করেন। তবে এই মোডেরও সীমাবদ্ধতা রয়েছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট ‘হাও স্টাফ ওয়ার্কস’।
ইলেকট্রনিক ফ্রন্টিয়ার ফাউন্ডেশনের সিনিয়র স্টাফ টেকনোলজিস্ট সেথ শোয়েন বলেন, প্রাইভেট ব্রাউজিং প্রথম চালু হওয়ার পর থেকেই ব্যবহারকারীরা বিভ্রান্ত ছিলেন এটি কি শেয়ার করা ডিভাইসের তথ্য অন্য ব্যবহারকারীর কাছ থেকে, ওয়েবসাইট বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক থেকে নাকি ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারীর কাছ থেকে অনলাইন কার্যকলাপ আড়াল করে?
তার মতে প্রাইভেট ব্রাউজিং মোড শেয়ার করা ডিভাইসের ক্ষেত্রে কার্যকর হলেও ওয়েবসাইট ও বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে কিছুটা সুরক্ষা দেয় আর ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারীর ক্ষেত্রে একেবারেই কোনো প্রভাব ফেলে না। ব্রাউজার ডেভেলপাররা বিষয়টি ব্যবহারকারীর কাছে পরিষ্কারভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
ইনকগনিটো মোড ব্যবহার করলেই সম্পূর্ণ গোপন হওয়া যায় না। এটি অনলাইনে অদৃশ্য হওয়ার কোনো বিশেষ ক্ষমতা নয়।
এই মোড, ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারীকে অনলাইন কার্যকলাপ দেখা থেকে আটকাতে পারে না। পরিদর্শন করা ওয়েবসাইটগুলোর কাছ থেকেও অবস্থান গোপন থাকে না। গুগল অ্যাকাউন্টে লগডইন করা অবস্থায় ইনকগনিটো মোডে সার্চ করলে, গুগল তখনও সেই সার্চের তথ্য সংরক্ষণ করে।
২০১৮ সালের এক গবেষণায় উঠে আসে, প্রাইভেট ব্রাউজিং নিয়ে অনেকের ভুল ধারণা রয়েছে। জরিপে অংশ নেওয়া ৫৬ শতাংশ ব্যক্তি মনে করেছিলেন প্রাইভেট মোডে সার্চ করলে তা সংরক্ষিত হয় না যদিও তারা গুগল অ্যাকাউন্টে লগডইন ছিলেন। ৪০ শতাংশ মনে করেছিলেন, অবস্থান গোপন থাকে। আরও ২৭ শতাংশের ধারণা ছিল, প্রাইভেট মোড ম্যালওয়্যার ও ভাইরাস থেকে সুরক্ষা দেয়। আসলে এর কোনোটিই সত্য নয়।
কিন্তু প্রাইভেট মোডের কিছু কার্যকর দিক রয়েছে যেমন, সার্চ হিস্ট্রি অন্য কেউ দেখতে পারে না। কিছু ক্ষেত্রে এটি এমন সীমাবদ্ধতা এড়াতে সহায়ক হয়, যেগুলো কেবল সদস্যদের জন্য কনটেন্ট পড়ার সুযোগ দেয়।
সত্যিকার অর্থে অনলাইনে গোপন থাকতে চাইলে শুধু প্রাইভেট মোড ব্যবহার করলেই হবে না। শোয়েনের মতে, সবচেয়ে সহজ উপায় হলো ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বা ভিপিএন এবং টর। এগুলো ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর যোগাযোগকে মধ্যবর্তী সার্ভারের মাধ্যমে পরিচালনা করে, যাতে ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী অনলাইনে ঠিক কী করা হচ্ছে তা কম জানতে পারে এবং ব্যবহারকারী যেসব ওয়েবসাইট ভিজিট করছেন, সে সাইটগুলো ব্যবহারকারীকে ততটা শনাক্ত করতে পারে না।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন