আপডেট :

        আটককেন্দ্রে মেক্সিকান অভিবাসীর মৃত্যু, চলতি বছরে আইসিই হেফাজতে ১৪তম প্রাণহানি

        অরেঞ্জ সিটি কাউন্সিলের অনুমোদন: দুর্ঘটনাপ্রবণ ট্রাফিক সার্কেলে নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থা

        লস এঞ্জেলেসে ২.৬২ বিলিয়ন ডলারে কনভেনশন সেন্টার সম্প্রসারণ, লক্ষ্য ২০২৮ অলিম্পিক

        "৫জি প্রযুক্তিতে আফ্রিকার ধীরগতি: কভারেজ সীমিত ১.২ শতাংশ"

        "কষ্ট আমারই বেশি": তাহসানের বিদায়ী বার্তায় উঠে এলো কী রহস্য?

        ডেম্বেলের সোনার বল জয়ের মাঝে পিএসজির কান্না

        কাল নিউইয়র্কে: প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘ অধিবেশনের উদ্বোধনে অংশ নেবেন

        প্যালেস্টাইন স্বীকৃতির তালিকায় ১৫৬ নাম, বাংলাদেশের ৩৭ বছরের অটুট বন্ধুত্ব

        আর্জেন্টাইন পর্বতারোহী ক্যালিফোর্নিয়ায় ২,০০০ ফুট নিচে পড়ে নিহত

        স্টাইভেসান্ট কেলেঙ্কারি: এক বাংলাদেশি ছেলের হাতে নকলের সাম্রাজ্য

        “যা আমরা কল্পনাও করতে পারছি না, তা ঘটবে আগামী ৫ মাসে”: মান্না

        দক্ষ কর্মী ভিসার জন্য বছরে ১ লাখ ডলার ফি আরোপ

        নিয়মিত ভাতের সঙ্গে লেবু খেলে কী কী পরিবর্তন হয়?

        কর আইনজীবী কর ফাঁকির অভিযোগে সমালোচনার মুখে

        ছবির শুটিংয়ে দুর্ঘটনায় জুনিয়র এনটিআর আহত

        ‘জুঁইফুল: সাবিনা ইয়াসমিন’ এবার ঘরে বসে দেখা যাবে

        দশ বছর পর চাকসুর অনার বোর্ডে ফিরল মান্নার নাম

        ৩০ টাকার পটোল এখন কারওয়ান বাজারে ৭০ টাকায় বিক্রি

        কানাডা ঘোষণা: বাংলাদেশে যাত্রীদের জন্য বাড়তি সতর্কতা

        গাজায় নিহত ১৬ জনের মধ্যে ১৫ জন বেসামরিক নাগরিক

"৫জি প্রযুক্তিতে আফ্রিকার ধীরগতি: কভারেজ সীমিত ১.২ শতাংশ"

আফ্রিকার এক বিলিয়নেরও বেশি মানুষের মধ্যে মাত্র ১.২ শতাংশ বর্তমানে ৫জি নেটওয়ার্কের আওতায় রয়েছে। যেখানে বিশ্বব্যাপী গড়ে ২০ শতাংশেরও বেশি মানুষের কাছে এ সেবা পৌঁছে গেছে। আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন ও ইউনেস্কোর যৌথ প্রতিবেদনে ‘দ্য স্টেট অব ব্রডব্যান্ড ইন আফ্রিকা-২০২৫’ এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, মহাদেশটির প্রায় ১ দশমিক ২৪ বিলিয়ন মানুষের কাছে আধুনিকতম ওয়্যারলেস প্রযুক্তি এখনো অপ্রাপ্য। তবে শিল্প বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আগামী দশকে পরিস্থিতি বদলাবে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে আফ্রিকায় ৫জি ব্যবহারকারীর হার ১৭ শতাংশে পৌঁছাতে পারে।

বর্তমানে আফ্রিকার ৭৭ শতাংশ মানুষ ৩জি এবং ৪৪ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ ফোরজি সেবার আওতায় আছে। তবুও ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রত্যাশার তুলনায় অনেক কম। মোবাইল ব্রডব্যান্ড অবকাঠামো থাকা সত্ত্বেও হ্যান্ডসেটের উচ্চমূল্য ও ডিজিটাল দক্ষতার অভাবই এর প্রধান বাধা।

চীনের হুয়াওয়ের মতো কোম্পানিগুলো তুলনামূলক সাশ্রয়ী পণ্য সরবরাহ করে আফ্রিকায় শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে। সাব-সাহারান আফ্রিকায় এখনও থ্রি-জি নেটওয়ার্ক সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় (৫০ শতাংশ), যেখানে ফোর-জি রয়েছে ৩৩ শতাংশে, টু- জি ১০ শতাংশে এবং বাকি অংশে ফাইভ-জি।


মোবাইল অপারেটররা অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে। গত পাঁচ বছরে তারা প্রায় ২৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে এবং ২০২৩-২০৩০ সময়কালে আরও ৬২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে। এর বড় অংশ যাবে ৫জি সম্প্রসারণে।

মোবাইল খাত ইতিমধ্যেই আফ্রিকার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। ২০২৩ সালে এ খাত থেকে ১৪০ বিলিয়ন ডলার জিডিপি অর্জিত হয়, যা মোট অর্থনীতির ৭.৩ শতাংশ। একইসঙ্গে এ খাতে ৩.৭ মিলিয়নেরও বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

তবে আফ্রিকায় ইন্টারনেট ব্যবহারের হার এখনও বৈশ্বিক গড়ের নিচে। ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ব্যবহার ২৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৮ শতাংশে পৌঁছালেও বৈশ্বিক গড় ৬৮ শতাংশ। শহর ও গ্রামে প্রবেশাধিকারের মধ্যে বড় বৈষম্যও রয়ে গেছে। শহরে ৫৭ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে, গ্রামে এ হার মাত্র ২৩ শতাংশ।

এদিকে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে। স্টারলিংক ইতিমধ্যেই ১৪টি আফ্রিকান দেশে কার্যক্রম শুরু করেছে, যার মধ্যে ঘানা, কেনিয়া, নাইজেরিয়া ও বেনিন রয়েছে। সর্বশেষ কঙ্গো ও সোমালিয়া এ তালিকায় যুক্ত হয়েছে।


এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত