আপডেট :

        হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেল রাজ্য সরকার

        সরকারি ব্যাংকের ছয় উপব্যবস্থাপনা পরিচালককে অন্য ব্যাংকে বদলি করা হয়েছে

        ময়নাতদন্তের জন্য দাফনের ১৫ দিন পর কবর থেকে এক ব্যাংক কর্মকর্তার লাশ তুলা হলো

        মেটার রে-ব্যান স্মার্ট রোদচশমা,করা যাবে ভিডিও কল

        পানিসংকটের শঙ্কা ও শিক্ষার্থীদের অসুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে পূর্বনির্ধারিত গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল

        শেয়ারবাজারের টানা পতন ঠেকাতে আবারও শেয়ারের মূল্যসীমায় পরিবর্তন আনা হয়েছে

        দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার জেরে উত্তপ্ত ফরিদপুর

        দেশে একদিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে সোনার দাম কমলো

        বাংলাদেশ সিরিজের জন্য দল ঘোষণা

        মিয়ানমার থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশিরা

        মিয়ানমার থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশিরা

        যুক্তরাষ্টের শিক্ষকদের স্কুলে বন্দুক নিয়ে যাওয়া নিয়ে একটি বিল পাস হয়েছে

        যুক্তরাষ্টের শিক্ষকদের স্কুলে বন্দুক নিয়ে যাওয়া নিয়ে একটি বিল পাস হয়েছে

        র‍্যাবের মুখপাত্র হলেন কমান্ডার আরাফাত

        ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে নেওয়া হচ্ছে পদক্ষেপ

        বিশেষ ট্রেনের ৩ বগি লাইনচ্যুত

        কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ভোটার কতজন?

        বৈশ্বিক গড় উষ্ণতার চেয়ে দ্রুত উত্তপ্ত হচ্ছে এশিয়া অঞ্চল

        বাংলাদেশের হিন্দু শরণার্থীদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে

        বাংলাদেশের হিন্দু শরণার্থীদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে

নতুন একটি সম্ভাবনার হাতছানি : বিংহামটন

নতুন একটি সম্ভাবনার হাতছানি : বিংহামটন

আমেরিকার নিউইয়র্ক সারা বিশ্বের কাছে সমাদৃত। প্রবাসী বাংলাদেশীদের আমেরিকায় প্রথম পদচারনা ঘটে নিউই্য়র্কে। আমেরিকায় বাংলাদেশীদের আগমন ১৯০০ শতকের শুরুর দিকে। বর্তমানে আমেরিকার ৩০ টি স্টেটে ও কয়েকশত সিটিতে বাংলাদেশীরা বসবাস করেন।  আমেরিকায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের সংখ্যা অনুমানে বলা যায় দশ থেকে পনের লাখ হবে। আরো বেশী হবার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। নিউইয়র্কেই বাংলাদেশীদের সংখ্যা ৭/৮ লাখ হবে।

নিউইয়র্কে সবচেয়ে বেশী বাংলাদেশী থাকেন। নিউইয়র্ক এর পর গত দশ বছরে মিশিগানে বাংলাদেশীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাসস্থান। সেই পরিত্যাক্ত শহরটাকে বাংলাদেশের সিলেটিরা বদলে ফেলেছেন। বর্তমানে মিশিগানে ৯০ হাজার প্রবাসী থাকেন। মিশিগানের পর নিউইয়র্ক এর বাফেলো সিটিতে গত এক দশক থেকে বসবাস করছেন বৃহদ এক জনগোষ্ঠী আমাদের।  বাফেলো এক সময় মিশিগানের মত পরিত্যাক্ত ছিল। সেই শহরটাও বাংলাদেশীদের পদচারনায় মুখরিত। সেখানেও ৩৫ হাজার বাংলাদেশী থাকেন। বাংলাদেশীরা নতুন ব্যবসা বাণিজ্য, রিয়েল এস্টেট, মসজিদ মাদ্রাসা তৈরী করে বাফেলোকে বদলে দিয়েছেন।  মিশিগানে যেমন এক দশক আগে ২০/২৫ হাজারে বাড়ী কেনা যেত সেটা আজ ২০০ হাজার। ঠিক তেমনি বাফেলোতেও ৫ /১০/১৫ হাজারের বাড়ী এখন ২০০ হাজার।

বিংহামটন , নিউইয়র্ক এর একটি ছোট সিটি। ব্রোম কাউন্টি। দুরত্বে নিউইয়র্ক থেকে তিনঘণ্টা পথ। বাফেলো  থেকেও তিন ঘন্টার পথ। ইদানীং হঠাত করে শহরটা জনপ্রিয় হতে শুরু করেছে। এই শহরের লোকসংখ্যা মাত্র ৪৭,৯৬৯  জন । আয়তন ১১.১৩ স্কয়ার মাইল। তারমধ্য ১০.৪৮ স্কায়ার মাইল ল্যান্ড ও পয়েন্ট ৬৫ স্কয়ার মাইল পানি। ছোট  এই শহরটায় মেয়র- কাউন্সিলর দ্বারা পরিচালিত। মেয়র জেরেড এম  ক্র‍্যাহাম রিপাবলিকান দলীয়। ছোট পরিছন্ন শহরটায় বাড়ী ঘর অনেক কম মুল্যের হওয়াতে এরই মধ্য ৩/৪ হাজার প্রবাসী ব্লিংহামটন এ বসতি স্থাপন করেছেন।

 নিউইয়র্ক থেকে প্রতিদিন অনেকেই ছুটছেন নতুন সহজলভ্য আাবাসস্থল হিসাবে। আমাদের নিকট বিংহামটন  নতুন হলেও নিউইয়র্ক এর এই সিটিটা ২২০ বছর আগে ১৮০২ সালে সেটেলড হয়। ইনকর্পোরেটেড ভিলেজ হিসাবে পরিনত হয় ১৮৮ সাল আগে ১৮৩৪ সালে, আর সিটি হিসাবে রুপ লাভ করে ১৫৫ সাল পুর্বে ১৮৬৭ সালে ।  বিংহামটন এ চম্যকার বাড়ীগুলোর সুলভ মুল্যে অনেকেই আকৃষ্ট করেছে  আপনি সেখানে ৪০ /৫৫ হাজার থেকে শুরু করে ২০০/৩০০ হাজারে ২/৩/৪ ফ্যামিলীর বাড়ী পাওয়া যায়। প্রত্যেকটি বাড়ীতে সামনে পেছনে অনেক জায়গা। ১০০ হাজারে অনেক সুন্দর বাড়ী কিনছেন অনেকেই।  নিউইয়র্ক এ যারা দীর্ঘদিন বাড়ী কিনতে পারেন নি, মিশিগানে ও যান নি। আবার বাফেলোতেও যেতে পারেননি, এবার করোনা পরবর্তী সনয়টাতে দেরীতে হলেও নিউইয়র্ক ছেড়ে ব্লিংহামটন যাচ্ছেন  সহজ কথায় অজোপাড়া তারপও বাড়ীর কোয়ালিটি ও কম মুল্যের কারনে বিংহামটনে এ সময়টাতে সকলকে আশা জাগিয়ে রেখেছে।


নিউইয়র্ক এ যে গাড়ীর ইনসুরেন্স ৩৫০ তলার, সেটা বিংহামটন এ ৫০ ডলার। স্বাস্থ্য সেবা, নানা বেনিফিট এবং নিউ ইয়র্কের আইডি সবই এক। আপাতত গ্রোসারী অনেকে নিউইয়র্ক থেকে করছেন তবে গ্রোসারী তৈরী হচ্ছে। প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাধ্যমে সহসাই বিংহামটন এ সব পাওয়া যাবে। ফ্রান্স থেকে স্থায়ীভাবে  বসবাস করতে এসেছিলেন জনাব বাবুল। ব্রোন্চ এ ছিলেন কয়েক মাস, তারপর ৮৫ হাজার ডলার দিয়ে বাড়ী কিনে বিংহামটন এর বাসিন্দা। জনাব  বাবুল জানালেন অপার সম্ভাবনার কথা। নিউইয়র্ক এর স্বনামধন্য সাংবাদিক বর্নমালা সম্পাদন্ক মাহফুজুর রহমান জানালেন,তার দৃষ্টিতে ব্লিংহামটন এর গল্প। তিনি বাড়ী কিনেছেন ১৫০ হাজার ডলার দিয়ে। সপ্তাহে দু তিন থাকেন। মেয়ে ও মেয়ের জামাই সহ পুরো পরিবার ভেকেশনের আদলে বিংহামটন এ থাকেন ।  মাহফুজুর রহমান জানালেন, বাফেলোর মত হয়ে যাবে ব্লিংহামটন। এটা নিউইযর্ক এর কাছাকাছি হওয়াতে এখানে নিউইয়র্ক এক বৃহদ গোষ্ঠী মুভ করবেন,করছেন।

সুনামগঞ্জ এর পলাশ জামাইকা থাকেন ২২০০ ডলার ভাড়া দিয়ে। সম্প্রতি বউ বাচ্চা নিয়ে ৪ দিন থেকে এসেছেন বিংহামটন । অনেক বাড়ী দেখে এসেছেন বাবুল সাহেবের মাধ্যমে, চিন্তায় আছেন নিউইয়র্ক ছাড়বেন কিনা। হিসাব মেলাচ্ছেন। নিউইয়র্ক নাটক করেন, এজাজ আলম।  দুই দশকের কাছাকাছি হয়ে গেছে আর সময় নষ্ট করতে চান না। এজাজ আলমের সাথে শিকাগোর ফোবানায় দেখা।  বললাম ব্লিংহামটন এর সুযোগ হাতছাড়া করো না। তিনি বললেন, শুনেছি শহরটার খবর। বাড়ী কিনে ফেলব এবার।  অনেকে জানতে চান, কাজ কর্ম আছে কিনা। ওয়ালমার্ট সহ অনেক কিছু আছে। আর সুযোগ সৃষ্টি হ্চ্ছে, ৪৭ হাজার জনস্ংখ্যার শহরে অনেক ডেভেলপার কাজ করছে । টমি হিলফিগারের হোমনটাউন ব্লিংহামটন।

ব্লিংহামটন ইউনিভারসিটি ও সোনি SUNY স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্ক খুবই পপুলার সেখানে অনেক স্টুডেন্ট কাজ করে পঠাশুনা করে।  ডেভেলপিং কাজ চলমান। নিউইয়র্ক আরেকটি সিটি রচেস্টার যে কোন কারনে রচেষ্টার বাংলাদেশীদের আকর্ষন করতে পারে নি।

 বিংহামটন এ বিখ্যাত কেরোসোল এর জন্য। প্রশ্ন আসতে পারে Carousel জিনিসটা কি। কেরোসোল হল আমাদের দেশের শিশুপার্কে ঘোড়ার গাড়ীতে চলে "আমরা করব জয় একদিন"  এরকম একটা রাউড আছে সেটাকে বোঝায়।

Binghamton is the Carousel Capital of the World।  

A carousel is a circular, rotating amusement ride with seats for children. ব্লিংহামটন এটার জন্য বিখ্যাত। সেখানে আছে ১৯ শতকের ল্যান্ডমার্ক রালপ মিউজিয়াম। রস পার্ক জু, সাযেন্স মিউজিয়াম।

নিউইয়র্ক পার্শ্ববর্তী শহর বিংহামটন  ৪৫ হাজার বাড়ী ঘর। গ্রোয়িং সিটি, ব্যবসা বানিজ্যের অবারিত সুযোগ। বিল্ডাররা নতুন নতুব নেইবার, কন্ডোমেনিয়াম, এপার্টমেন্ট, টাউনহুম তৈরী করতে যাচ্ছেন ও করছেন। বাংলাদেশীরা মিশিগান রিবিল্ট করেছেন, মিশিগানে দেড় শত রিয়েলটর। বাফেলো বাংলাদেশীদের পদচারনায় কর্মমুখর।

বিংহামটন নতুন দ্বারের সুচনা করতে যাচ্ছে। গতকাল কল দিলাম নিউজার্সির পিটারসনে সাবেক যুব সংগঠক সাকের ভাইকে। বললাম কাজ ফেলে ব্লিংহামটন যান, বললেন যাচ্ছি আমরা কয়েকজন আগামী সপ্তাহে। এরই মধ্যে আল আকসা সুপারমার্কেট তৈরী হতে যাচ্ছে সেখানে। যারা নানা নেগেটিভ চিন্তায় নিউইয়র্ক ছাড়েন নি, আমেরিকার দুই তিন দশক একটি স্বপ্নের বাড়ী করতে পারেন নি। তাদের এখুনি এ সুযোগ টা কাজে লাগানো উচিত। যদি একান্তই বিংহামটন  নীরব শহর মনে হয় তাহলে রচেস্টার ঘুরে আসতে পারেন। সবচেয় মজার বিষয় হল, মিশিগান - বাফেলো ও বর্তমানে পপুলার বিংহামটন সিলেটের মানুষদের অবদানে বিনির্মান ঘটেছে।

এই শহরগুলোতে ৮/১০ মাইলে হাজার হাজার প্রবাসী থাকেন। আমেরিকার অন্য স্টেট বা শহরে অনেকেই থাকেন তবে এগুলোর মত ঘনবসতি পুর্ন না।  বিংহামটন  এ কাজের ও ব্যবসার অনেক সুযোগ রয়েছে। চাইলেই স্বপ্নময় বাড়ী কিনে ভাগ্য বদলে ফেলতে পারেন। যেখানে বাড়ীর দাম অনেক কম। রিয়েল এষ্টেট এ সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত। একবার ঘুরে আসুন। মিলে যাবে স্বপ্ন বাস্তবতায়।।

 

 এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/এ

[এলএ বাংলাটাইমসের সব নিউজ আরও সহজভাবে পেতে ‘প্লে-স্টোর’ অথবা ‘আই স্টোর’ থেকে ডাউনলোড করুন আমাদের মোবাইল এপ।]

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত