উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে সারাদেশে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ মোতায়েন
তৃতীয় স্টিমুলাস চ্যাকে পরিবর্তন হচ্ছে না আয়ের সীমা
ছবি: এলএবাংলাটাইমস
তৃতীয় প্রণোদনা প্যাকেজ বিষয়ে আরো বিস্তারিত প্রকাশ করেছে হাউজ ডেমোক্র্যাটরা। সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত বিস্তারিত অনুযায়ী, এবারের স্টিমুলাস বিল কারা পাবেন, সেটি নির্দিষ্ট আয়ের উপর ভিত্তি করে বদলে ফেলা হচ্ছে না।
দ্বিতীয় স্টিমুলাস চ্যাকের সময় আয়ের উপর ভিত্তি করে ভাতা দেওয়া হয়েছিলো, এবারও সেই একই আয়ের উপর ভিত্তি করে ১৪০০ ডলার করে ভাতা দেওয়া হবে।
যেসব একক ব্যক্তির গত বছরের আয় ৭৫ হাজারের কম রয়েছে, তারা ১৪০০ ডলার ভাতা পাবে। আর দুইজনের আয়ের পরিমাণ ১ লাখ ৫০ হাজার হলে ভাতা পাওয়া যাবে ২৮০০ ডলার। আর পরিবারে যদি কোনো শিশু সন্তান বা ডিপেন্ডেন্ট থাকে, চারজন মিলে ভাতার পরিমাণ দাঁড়াবে ৫৬০০ ডলার।
২০১৯ বা ২০২০ ট্যাক্স সেশন থেকে এই গ্রস ইনকাম বিবেচনা করা হবে।
এককভাবে আয়ের পরিমাণ ঠিক করা হয়েছে ৭৫ থেকে ১ লাখ ডলার আর জয়েন্ট ফাইলিং এর জন্য ১ লাখ ৫০ হাজার ডলার থেকে ২ লাখ ডলার পর্যন্ত।
দ্বিতীয় প্রণোদনা প্যাকেজে এডাল্ট ডিপেন্ডেন্ট ভাতা থেকে বঞ্চিত হয়েছিলো। এবারের তৃতীয় প্রণোদনা প্যাকেজের এদেরকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এছাড়া যেসব পরিবারে ১৮ বছরের নিচে দুইটি শিশু রয়েছে, তারা ভাতা পাবে ৪২০০ ডলার। এর আগের বার এই ভাতার পরিমাণ ছিলো ২৪০০ ডলার।
১ লাখ ৯০ হাজার কোটি ডলারের এই প্যাকেজ পাশ করাতে খুব দ্রুত কাজ করছেন ডেমোক্রেটিকরা।
দ্বিতীয় প্রণোদনা প্যাকেজে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষদের মাত্র ১১ সপ্তাহের সহায়তা দেওয়ার মতো তহবিল পাস করা হয়, যা আগামী মার্চেই শেষ হয়ে যাবে। ফলে একটা অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছিল কাজ হারানো মানুষদের। বাইডেনের প্রস্তাব নিঃসন্দেহে তাদের আশ্বস্ত করবে। এ ছাড়া ঘণ্টাপ্রতি মজুরি হার ১৫ ডলারে উন্নীত করতে কংগ্রেসকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাইডেন।
এছাড়া মহামারির সময়ে কাজ হারানো নিম্ন ও মধ্য আয়ের পরিবারগুলোকে বাড়িভাড়ায় সহায়তা দিতে ২ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের তহবিল রাখার কথা বলা হয়েছে। গত ডিসেম্বরে দ্বিতীয় প্রণোদনায় ঘোষিত আড়াই হাজার কোটি ডলারের তহবিলের সঙ্গে এটি যোগ হবে।
এর বাইরে বাড়ির বিপদগ্রস্ত বাড়ির মালিকদের বিভিন্ন সেবার বিল পরিশোধ বাবদ ৫০০ কোটি ডলারের একটি তহবিল রাখা হয়েছে। এ ছাড়া গৃহহীন হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা পরিবারগুলোকে সহায়তার জন্য উদ্যোগ নিতে অঙ্গরাজ্য ও স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা দিতে আরো ৫০০ কোটি ডলার রাখার কথাও বলেছেন বাইডেন।
পাশাপাশি ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় উচ্ছেদের আশঙ্কায় থাকা পরিবারগুলোকে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উচ্ছেদ না হওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। ফেডারেল সরকারের পক্ষ থেকে এই নিশ্চয়তা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন