জানালেন দিল্লি আছেন কিন্তু আনোয়ারুল আজিম আনারের সর্বশেষ লোকেশন বিহারে
ইউএস-ম্যাক্সিকো সীমান্ত সংকট কতোটা গুরুতর?
ছবি: এলএবাংলাটাইমস
প্রতি বছর ইউএস-ম্যাক্সিকো বর্ডারে হাজার হাজার অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করে থাকে। এই বছর দক্ষিণের সীমান্তে অন্যান্য বছরগুলোর তুলনায় অভিবাসীর সংখ্যা বেড়ে গেছে।
বাড়তি এই চাপের কারণে সৃষ্টি হয়েছে মানবিক সংকট, গণমাধ্যমে শোনা যাচ্ছে এমন খবর। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সময়ে বাড়তি অভিবাসীদের সংখ্যা দেখা দেওয়া মোটেও গুরুতর সংকট নয়, বরং এটি স্বাভাবিক।
ইউএস ইমিগ্রেশসন পলিসি সেন্টারের ডিরেক্টর এবং পলিটিক্যাল সায়েন্সের সহকারী অধ্যাপক ড. টম ওং বলেন,’পত্রপত্রিকায় দেখা যাচ্ছে দক্ষিণের বর্ডারে অভিবাসূ ঢেউ এবং এর ফলে সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে তথ্য-উপাত্ত এমনটি বলছে না’।
তিনি যোগ করেন, ‘সাধারনত যখন শীত শেষ হয়ে গরম পড়তে থাকে, তখন বৈধ কাগজপত্রহীন অভিবাসীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এর ফলে কাস্টমস এন্ড বর্ডার প্রোটেকশনে বাড়তি চাপের সৃষ্টি হয়’।
কাস্টমস এন্ড বর্ডার প্রোটেকশন এর তথ্য মতে, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে অভিবাসীর সংখ্যা বেড়েছিলো ৩১ শতাংশ। আর এই বছর একই সময়ে দক্ষিণ সীমান্তে অভিবাসীর সংখ্যা বেড়েছে ২৮ শতাংশ।
২০১৯ সালের মে মাস পর্যন্ত মোট ১ লাখ ৪৪ হাজার অভিবাসীকে আটক করেছিলো কাস্টমস এন্ড বর্ডার প্রোটেকশন। তবে এই বছরের ফেব্রুয়ারিতেই এখন পর্যন্ত এক লাখের বেশি অভিবাসী আটক হয়েছে।
এসব অভিবাসীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হারে বেড়েছে অভিভাবকহীন শিশুদের সংখ্যা। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে সংখ্যাটি বেড়েছিলো ৩১ শতাংশ। অপরদিকে, এই বছরের চলতি মাস পর্যন্ত এই সংখ্যা বেড়েছে ৬১ শতাংশ।
মূলত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বর্ডারে শুধুমাত্র শিশুদের আশ্রয় দেওয়ার প্রক্রিয়া চালু রয়েছে। করোনার কারণে ট্রাম্প প্রশাসন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তিদের আশ্রয় আবেদন গ্রহণ বন্ধ রেখেছিলো, সেটি এখনো অব্যাহত রয়েছে।
ড. ওং বলেন, ‘শিশু পাচারকারীরা প্রতি শিশু বাবদ ১০ হাজার ডলার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের স্বপ্ন দেখিয়ে থাকে। অভিভাবকদের বুঝানো হয় তাদের শিশুদের উন্নত জীবনযাপনের জন্য এখনই যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের আদর্শ সময়। ফলে অভিভাবকহীন শিশুদের সংখ্যা বাড়ছে’।
ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি আলেজান্দ্রো মেয়রকাস সম্প্রতি বলেন, দক্ষিণের সীমান্তে গত বছরের তুলনায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক অভিবাসী সংকট মোকাবেলা করতে হবে বাইডেন প্রশাসনকে।
তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোতে দারিদ্র্যতা ও সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় অভিবাসী প্রত্যাশীদের সংখ্যা বেড়ে গেছে। একই সাথে ট্রাম্প শাসনামলে বিভিন্ন ফান্ড কমিয়ে দেওয়ায় এই সমস্যা আরো বেড়েছে। ভঙ্গুর এই সিস্টেমকে ঠিক করতে বেশ সময়ে লেগে যাবে।
ড. ওং আরো বলেন, দক্ষিণ সীমান্তে যেটিকে সংকট বলে উল্লেখ করা হচ্ছে, এটি মোটেও সংকট নয়। এটি সীমান্তের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। স্বাভাবিকভাবেই এই সময়ে অধিক নিরাপত্তা বাহিনী ও আশ্রয়শিবিরগুলোতে বাড়তি লোকের প্রয়োজন হয়’।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন