উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে সারাদেশে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ মোতায়েন
বন্দুক আইন কঠোর করতে চান বাইডেন, রিপাবলিকানদের বিরোধীতা
ছবি: এলএবাংলাটাইমস
গত কয়েকদিনে যুক্তরাষ্ট্রে ঘটেছে বেশ কয়েকটি বড়সড় বন্দুক হামলার ঘটনা। এতে আবারো জোরেসোরে সামনে এসেছে বন্দুক নিয়ন্ত্রণের আইন কঠোরতার বিষয়টি।
এরই প্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ডেমোক্রেটিক আইনপ্রণেতারা ক্যাপিটল হিলে মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) বন্দুক নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন জারির কথা জানান। তবে তৎক্ষণাৎ বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইন কঠোর করা নিয়ে বিরোধিতা করেন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সিনেট অধিবেশনে অ্যাসাল্ট বন্দুক বিক্রি নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব পাশ করতে বলেন এবং বন্দুক বিক্রির সময় অবশ্যই ব্যাকগ্রাউন্ড পরীক্ষা করে নেওয়ার দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘এটি কমন সেন্স এর ব্যাপার, বন্দুক আইন কঠোর করলে ভবিষ্যতে আরো অনেক প্রাণ রক্ষা পাবে’।
তিনি বলেন, ‘এটি কোনো রাজনৈতিক বা দলীয় এজেন্ডা নয়। এটি আমেরিকানদের ইস্যু। আমাদের এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে’।
তবে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রস্তাবিত বন্দুক আইন কঠোর ও অ্যাসাল্ট রাইফেল বিক্রি নিষিদ্ধের বিরোধিতা জানিয়েছেন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা। বরাবরের মতোই রিপাবলিকানরা দাবি করে আসছেন, সহিংসতা কমাতে হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়াতে হবে। বন্দুক আইন কঠোর করার কোনো প্রয়োজন নেই।
সিনেটের রিপাবলিকানদের দ্বিতীয় প্রধান নেতা সাউথ ডাকোটার সিনেটর জন ঠুনে বলেন, ‘আমরা এমন কোনো পদক্ষেপ নিতে আগ্রহী নই যেটি মূল সমস্যার সমাধান করতে পারবে না বরং অন্যান্য আরো সমস্যা উস্কে দিবে’।
বন্দুক আইন কঠোর করার ব্যাপারে অনেক আগে থেকেই দ্বিধাবিভক্ত রয়েছে ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকানরা। ২০১২ সালে স্যান্ডি হুক এলিমেন্টারি স্কুলে বন্দুক হামলার পরেও বন্দুক আইন কঠোর করতে ব্যর্থ হোন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ওই হামলায় ২০ জন শিশু ও ছয়জন প্রাপ্ত বয়স্ক বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছিলো। তবে রিপাবলিকানদের বাঁধার মুখে সেবারও বন্দুক আইন কঠোর বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি ডেমোক্রেটিকরা।
সিনেটর থাকা অবস্থায় ১৯৯৪ সালেই অ্যাসাল্ট রাইফেল বিক্রি বন্ধের ব্যাপারে সমর্থন দিয়েছিলেন জো বাইডেন। তবে পরবর্তীতে এই আইন কিছুদিন পর বাতিল হয়ে যায় এবং পুনরায় পাশ করানো যায়নি। এরপর থেকে বন্দুক আইন কঠোর বিষয়ে অন্যান্য আইনগুলোতেও সমর্থন জানিয়ে এসেছেন জো বাইডেন।
প্রসঙ্গত, গত সাতদিনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত সাতটি বড় ধরণের বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। কিছুদিন আগেই জর্জিয়ার এশিয়ান স্পা শপে বন্দুক হামলা চালানো হয়। এতে ছয় এশিয়ান নারীসহ আরো দুইজন শ্বেতাঙ্গ মারা যান। এরপর দুইদিন আগে কলোরাডোতে একটি শপিং সেন্টারে বন্দুক হামলা চালায় এক বন্দুকধারী। এতে এক পুলিশ সদস্যসহ দশজনের মৃত্যু হয়।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন