আপডেট :

        প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার শিকার

        উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে সারাদেশে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ মোতায়েন

        টানা ছয় ম্যাচ জিতে শেষ চার নিশ্চিত করলো ফাফ ডুপ্লেসিসের দল

        কিরগিজস্তান থেকে দেশে ফিরবেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা

        মানুষকে বিশ্রামে উদ্বুদ্ধ করতে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া

        মানুষকে বিশ্রামে উদ্বুদ্ধ করতে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া

        শ্রমিকদের প্রতি সকলকে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার

        শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরছে না

        কান চলচ্চিত্র উৎসবে দেশীয় পতাকা নিয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন আদনান আল রাজীব

        ইসরাইল-হামাস তুমুল লড়াই

        ইসরাইল-হামাস তুমুল লড়াই

        ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলা

        পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয়ব

        ভারতে চলমান লোকসভা নির্বাচনে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা কংগ্রেসের ভোটব্যাংকঃ বিজেপি নেতা অমিত শাহ

        ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির আভাস

        দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে

        দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে উপজেলায় থাকবেন একজন করে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট

        বার্সেলোনার সঙ্গে লিওনেল মেসির চুক্তির গল্পটা সবারই জানা

        সেকেন্ড হ্যান্ড পণ্য কেনার প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়তে শুরু করেছে

        চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের বিলুপ্ত

ইউএস-ম্যাক্সিকো সংকট নিরসনে হ্যারিসকে দায়িত্ব দিলেন বাইডেন

ইউএস-ম্যাক্সিকো সংকট নিরসনে হ্যারিসকে দায়িত্ব দিলেন বাইডেন

ছবি: এলএবাংলাটাইমস

দক্ষিনের ইউএস-ম্যাক্সিকো সীমান্তে সৃষ্টি হয়েছে অভিবাসী সংকট। আর এই সংকট নিরসনে চাপের মুখে রয়েছে বাইডেন প্রশাসন। বর্ধিত অভিবাসীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে ও সার্বিক পরস্থিতি মোকাবিলায় হিমশিম খেতে হচ্ছে বাইডেন প্রশাসন ও সীমান্ত রক্ষীদের। বর্তমানে বাইডেন প্রশাসনের জন্য সীমান্ত সংকট নিরসন ও অভিবাসীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।

আর এই সংকট নিরসনে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দায়িত্ব দিয়েছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিসকে। সীমান্ত সংকট মোকাবিলা অন্যতম চ্যালেঞ্জিং একটি কাজ হতে যাচ্ছে কামালা হ্যারিসের জন্য।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার (২৪ মার্চ) হোয়াইট হাউজে ইমিগ্রেশন বিষয়ে মিটিং এর পর সাংবাদিকদের এই কথা জানান।

জো বাইডেন বলেন, ‘আমি সীমান্ত সংকট নিরসনে কামালা হ্যারিসকে দায়িত্ব দিয়েছি। এর কারণ হচ্ছে, তিনি এই কাজটি করার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যক্তি। ম্যাক্সিকো ও নর্দান ট্রায়াঙ্গেল এর সংকট নিরসনে কামালা সফল হবে বলে আশা করছি’।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন নিজেও সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে অভিবাসী ও সীমান্ত সংকট নিয়ে কাজ করেছেন। ২০১৪ ও ২০১৫ সালে বারাক গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস ও এল সালভ্যাদোর থেকে আসা অভিভাবকহীন শিশুদের সংকট মোকাবিলায় দায়িত্ব পালন করেছেন।

দক্ষিণ সীমান্তের অভিবাসী সংকট ক্রমেই বাড়ছে, ফলে তাদের স্থান সংকুলান করা একটি জটিল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। একই সাথে ডেমোক্রেটিকদের জন্য একটি রাজনৈতিক সংকট হিসেবেও দেখা দিয়েছে এই সীমান্ত সংকট। রিপাবলিকানরা সীমান্ত সংকটকে ইস্যু করে চাপের মুখে রাখছে ডেমোক্রেটিকদের।

এদিকে, দায়িত্ব পাবার পর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ধন্যবাদ দিয়েছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস। তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ আমাকে এই বড় দায়িত্বটি দেওয়ার জন্য। অস্বীকার করার উপায় নেই যে সীমান্ত সংকট একটি জটিল সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। আমরা জানি যে, এখন অভিবাসীদের সীমান্তে আসার কোনো কারণ নেই। তবে আমাদের এটা ভুলে গেলেও চলবে না যে কেনো তারা সীমান্তে আসতে চাইছে’।

এদিকে কামালা হ্যারিস এই দায়িত্ব পাবার পর স্বস্তি প্রকাশ করেছে সীমান্ত সংকট মোকাবিলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। হোয়াইট হাউজের সিনিয়র একজন সংকট নিরসনে পাশে থাকা স্বস্তিদায়ক বলে মন্তব্য করেন তারা।

নির্বাচনের আগে কামালা হ্যারিস জানিয়েছিলেন, অভিবাসী সংকট মোকাবিলায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে চান এবং একই সাথে লাখ-লাখ অভিবাসীদের উচ্ছেদ আশঙ্কা নির্মূলে কাজ করতে চান তিনি।

এরই ধারাবাহিকতায় কামালা হ্যারিস এই দায়িত্ব পেয়েছেন। এখন তিনি সংকট নিরসিনে কী ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন, সেটিই দেখার বিষয়।

কামালা হ্যারিস সীমান্ত সংকট নিয়ে বলেন, ‘আমরা এখনো ১০০ দিন সময়কাল পার করিনি। এরই মধ্যে এই চাপ একটি হতাশাজনক। কিন্তু আমরা এটিকে অবশ্যই উতরে যেতে পারবো’।

প্রসঙ্গত, জো বাইডেন ক্ষমতায় বসার পর থেকেই দক্ষিণের সীমান্তে অভিবাসীদের চাপ বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশ প্রত্যাশীদের পাশাপাশি অভিভাবকহীন শিশুদের সংখ্যাও বেড়ে গেছে অনেক গুণ। ফলে দেখা দিয়েছে আবাসন সংকট, রয়েছে স্বাস্থ্য ও অন্যান্য আরো সমস্যা।

 

এলএবাংলাটাইমস/ওএম

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত