অবৈধ অভিবাসন দমনে হন্ডুরাস ও উগান্ডার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ফেরত চুক্তি
চীনের সঙ্গে রেয়ার আর্থস চুক্তি সম্পন্ন: ট্রাম্প
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, চীনের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ রেয়ার আর্থস (Rare Earths) সরবরাহ চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় চীন যুক্তরাষ্ট্রে প্রয়োজনীয় রেয়ার আর্থ উপাদান এবং ম্যাগনেট সরবরাহ করবে।
এই পদার্থগুলো মোবাইল ফোন, বৈদ্যুতিক গাড়ি, সামরিক প্রযুক্তি, এবং আধুনিক ইলেকট্রনিক্সে ব্যবহৃত হয়, যা আজকের প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে অত্যন্ত অপরিহার্য। বর্তমানে চীন বিশ্বজুড়ে রেয়ার আর্থস প্রক্রিয়াজাতকরণের ৮৫ শতাংশেরও বেশি নিয়ন্ত্রণ করে, যা তাদেরকে একটি কৌশলগত সুবিধা দেয়। এ কারণেই ট্রাম্প প্রশাসন বরাবরই এই উপাদানগুলোর নিরাপদ সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে।
এই চুক্তির অংশ হিসেবে ট্রাম্প জানিয়েছেন, চীনা শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের স্টুডেন্ট ভিসা নীতিতেও ইতিবাচক পরিবর্তন আনা হবে। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর নতুনভাবে ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করবে, যেখানে চীন যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের উপর ১০ শতাংশ শুল্ক ধার্য করবে। ট্রাম্পের মতে, এই চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের শিল্প ও প্রযুক্তি খাতের জন্য একটি বড় জয়ের মতো। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এত উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ উভয় দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং বৈশ্বিক বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।
চুক্তিটি এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে, যা ট্রাম্প এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর যৌথ স্বাক্ষরে কার্যকর হবে। ট্রাম্পের ভাষায়, “এই চুক্তি মার্কিন নিরাপত্তা এবং প্রযুক্তিগত স্বনির্ভরতা নিশ্চিত করতে বড় এক ধাপ।” তবে অনেকে মনে করছেন, এটি দীর্ঘমেয়াদে চীনের উপর নির্ভরতা কমাতে যথেষ্ট না, বরং যুক্তরাষ্ট্রকে আরও রিসোর্স ও প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র গড়তে হবে অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে মিলে। তবুও, এই ঘোষণাকে দুই দেশের সম্পর্কের সাম্প্রতিক উত্তেজনার মধ্যেও একটি কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন