যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে “নো কিংস” বিক্ষোভের আগে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন
হারিকেনের আলো চাই, সুন্দরবন ধ্বংসকারী বিদ্যুৎ চাই না : বাম মোর্চা
রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প
বাতিলের দাবিতে (১৬-১৮ অক্টোবর) ঢাকা
থেকে সুন্দরবন অভিমুখে রোডমার্চ শুরু
করেছে গণতান্ত্রিক বামমোর্চা। এর আগে
শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে
‘সুন্দরবন ধ্বংসকারী রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প
বাতিলের দাবিতে রাজধানীর প্রেসক্লাবে
গণতান্ত্রিক বামমোর্চা আয়োজিত এক
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘আমরা হারিকেনের
আলো চাই, কিন্তু সুন্দরবন ধ্বংস করে এমন
কোনো ধরনের বিদু্যুৎ প্রকল্প চাই না। বিদ্যুৎ
উৎপাদনের অনেক বিকল্পই আছে, কিন্তু
সুন্দরবনের কোনো বিকল্প নেই।’
সমাবেশে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল
মকসুদ বলেন, যদি হারিকেন জ্বালিয়ে থাকতে
হয় তাতেও রাজি আছি কিন্তু সুন্দরবনকে ধ্বংস
করার বিদ্যুৎ আমরা চাই না। সুন্দরবনে কয়লা
বিদ্যুৎকেন্দ্র লাখ লাখ মানুষের জীবন বিপন্ন
হবে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে অনেক মানুষ
আশ্রয়স্থল হারাবে।সমাবেশে
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তেল-
গ্যাস-বিদ্যুৎ রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব
অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ বলেন, আপনি এক
হাতে সুন্দরবনের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করবেন
অন্য হাতে চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ পুরস্কার
গ্রহণ করবেন আমরা তা মেনে নিতে পারি না।
আনু মোহাম্মদ বলেন, যে সুন্দরবন
বাংলাদেশকে প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা থেকে রক্ষা
করে সে সুন্দরবন ধ্বংস করলে এ দেশ
অরক্ষিত হয়ে পরবে। উন্নয়ন নয়, এটি একটি
ধ্বংস প্রকল্প।রোড মার্চে সংহতি প্রকাশ করে
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক
জুনায়েদ সাকী বলেন, সুন্দরবন ধ্বংসকারী
রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প এ সরকার যদি বাস্তবায়ন
করে তবে তিনি (শেখ হাসিনা) জনগণের মাঝে
পরিবেশ ধ্বংসকারী ও জানমালের লুণ্ঠনকারী
হিসেবে চিহ্নিত হবে এবং তখন তার গদি কেউ
রক্ষা করতে পারবে না।তিনি বলেন, সরকার যখন
শুধু নিজের গদি নিয়ে ভাবে তখনই কেবল
জনগণ ও দেশের স্বার্থবিরোধী পরিবেশ
ধ্বংসকারী এমন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে।
গণতান্ত্রিক বামমোর্চার সমন্বয়ক সাইফুল হক
বলেন, দেশের জনগণ ও আন্তর্জাতিক
সম্প্রদায়ের মতামত সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে
সরকার রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেনÑ জ্বালানি
বিশেষজ্ঞ বি ডি রহমুল্লাহ, বাসদের ভারপ্রাপ্ত
আহ্বায়ক ইয়াসীন মিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
আন্তর্জাতিক বিভাগের অধ্যাপক আকমল
হোসেন, বিপ্লবী গণতান্ত্রিক পার্টির
আহ্বায়ক মোশরেফা মিশু প্রমুখ।সমাবেশ
শেষে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে
সুন্দরবন অভিমুখে রোডমার্চ শুরু হয়। ১৮
অক্টোবর সুন্দরবন সংলগ্ন স্থানে সমাবেশ
অনুষ্ঠিত হবে। রোড মার্চে অংশ নিয়েছে
বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণতান্ত্রিক
বিপ্লবী পার্টি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ,
শ্রমিক-কৃষক সমাজবাদী দল, গণসংহতি
আন্দোলন, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল,
বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনসহ কয়েকটি
বাম দল।
শেয়ার করুন